ধর্ম নিয়ে হৈ হুল্লা পক্ষে বিপক্ষে মতবাদ, কথা কাটাকাটির শেষ নেই। এক শ্রেণী ধর্মকে মানবিক করতে চায়, এক শ্রেণী ধর্মকে তার জায়গায় অটুট রাখতে চায়, এক শ্রেণী ধর্ম বেঁচে খায়, এক শ্রেণী ধর্মকে পুরোই বাদ দিতে চায়, এক শ্রেণী ধর্মের কারণে মারা পরে, এক শ্রেণী ধর্মের কারণে মারে, আরেক শ্রেণী ধর্মের কারণে মারা খায়।
ধর্মের মত পুরুষতন্ত্র একটা বর্বর, অমানবিক এবং অপ্রয়োজনীয় বিধান। যা না থাকলে মানুষের নিত্যদিনের কর্মের অথবা বাঁচা মরার কোন হেরফের হবে না। ধর্ম নিয়ে এতো শত দল থাকলেও, এই পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ(নারী পুরুষ) পুরুষতন্ত্রের ক্ষেত্রে সবাই একদল, সবাই একজোট, ছিটে ফোটা বৃষ্টিতেও সব পুরুষতন্ত্রের বাপের ছাওয়েরা এক ছাতার নিচে আশ্রয় নেয়।। এখানে তাদের কোন বিভাগ নাই, শ্রেণী নেই, জাত নেই, ধর্ম নেই, মসজিদ-মন্দির-গির্জা নেই বা এখানে তাদের কোন আলাদা অস্তিত্ব নেই। বিশ্বব্যাপী তাদের একটাই প্রতিষ্ঠান, একটাই সংঘটন-সেটা হলও তাদের ইউনিটি। এখানে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খৃষ্টান, আস্তিক, নাস্তিক সব এক বাপের পোলা, তাদের সবার একটাই শক্তি, তা হলও 'একটাই বল'।
যে বা যারা ওই দল থেকে বের হয়ে পুরুষতন্ত্র এবং পুরুষের প্রতিবাদ করবে তারা হয় উঠে হয় তুমুল পুরুষ বিদ্বেষী, নয় তার কোন কাজকাম নাই তাই তারা ফ্যাশন করে, নয়তো তারা বিশ্বে-বেশ্যা। ধার্মিক বাদে স্যকুলাররাও এমন চিন্তা লালন করে। তারা সারাদিন খেয়ে না খেয়ে ধর্মকে ধুতেই থাকে-ধুতেই থাকে। তার পাশাপাশি পুরুষতন্ত্রকে বগলে করে ধর্ম-মুক্তির ধ্বজা উড়িয়ে নারীকে ঠিকঠাক-মত মারা খাওয়ায়। তাদের জন্য বরাদ্দ হলো মহাবিশ্ব পরিমাণ লজ্জা এবং ঘৃণা!
No comments:
Post a Comment