আমার প্রোফাইল পিকে একটা টিশার্ট দেখে সবাই আবিষ্কার করছে এটা নাকি উলঙ্গ ছবি, এখানে নাকি নাইস নাইস দুধ দেখা যাচ্ছে। ড্রয়িং দেখে ওরা বুঝেছে এটা দুধ, নাইস দুধ। কিশোরীর স্তনও ওদের কাছে দুধ, স্তন্য-দানকারী মায়ের স্তনও ওদের কাছে দুধ, বৃদ্ধার নুইয়ে যাওয়া স্তনও ওদের কাছে দুধ। বহির্বিশ্বে কিন্তু ব্রেস্টকে মিল্ক বলতে আমরা কখনো শুনি না। টিশার্টে সাপ, ব্যং, গরু, গাধা, ছাগল, বেড়ালের ছবি থাকলে এই লোকটির সাপ, ব্যং, গরু, গাধা, ছাগল, বেড়ালের ছবিটা দারুন- সেটা কাউকে বলতে শুনিনি। এদেশি ভাউ ব্রাদারদের স্তনকে দুধ বলাটা, ধর্ষণের খবর পড়ে হাত মারার মত নোংরা মনে হয়। এ সমস্তই আমাদের অশিক্ষা, কুশিক্ষা, বিকৃত মনো-ভাবাপন্ন মস্তিষ্কের বহিঃপ্রকাশ।
১৯৩৪ সালে পুরুষদের এরেস্ট করা হতো টপ-লেস হওয়ার জন্য, ২০১৬ তে এসেও নারীদের এরেস্ট করা হয় টপ-লেস হওয়ার জন্য। ইতিহাস দেখলে আশা করা যায়, মেয়েদের টপ-লেস হওয়াটা এখন সময়ের দাবী! মেয়েরা শুধু সজ্জায় টপ-লেস হবে, অন্যসময় নয়; এটা পুরো বিশ্বজুড়ে পুরুষতান্ত্রিক নিষ্ঠুরতার এক কুৎসিত প্রতিফলন। এবিষয়ে একটা সাক্ষাৎকারে এক লোক বলতে শুনেছি,''মেয়েদের টপ-লেস দেখতে সব মানুষই পছন্দ করে, এটা সুন্দর! সুন্দরকে রেস্টিকটেড করে রাখার অধিকার কারোর নেই।''
No comments:
Post a Comment