মেয়েটির জন্ম ব্যাঙ্ককে, বয়স ১৯ বছর। এমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল গুলশান থেকে পড়াশোনা, এরপর এমেরিকার বার্কলির ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া তে এলএলবি তে অধ্যয়নরত ছিল। বাংলাদেশে একটা ব্যাংকে ইন্টার্নিশিপ করার জন্য এসেছিল। বাবার পোশাকের ব্যবসার কারণে তার ঢাকাতেই বসবাস। পরেরদিন চাচার কাছে ইন্ডিয়া যাওয়ার কথা ছিল। বাবা নিজেই মেয়ে ও তাদের বন্ধুদের কে রেস্টুরেন্টে নিয়ে এসেছিল। সেসময় হঠাত একটা জরুরী কাজে তাঁকে বাইরে যেতে হয়। এরপরই আর্টিজানে জঙ্গিদের হামলা শুরু হয়।
সে তার বাবাকে ফোন করে জানায়, সে অনেক ভয় পাচ্ছে; বন্ধুদের সাথে সেও রেস্টুরেন্টের ওয়াশরুমে লুকিয়েছে। সে তার চাচাকে ফোন করে বলেছিল, যারা কোরান পড়তে পারে এদেরকে একপাশে করা হয়েছে আর যারা কোরান পড়তে পারে না তাদেরকে আরেকপাশে করেছে। তারা এক এক করে সবাইকে মেরে ফেলবে, তার বাঁচার আর কোন সম্ভাবনা নেই। সে তার ফেসবুকের লাস্ট স্ট্যাটাসে বলেছিল, সে তার বন্ধুদের সাথে নিয়ে গরিব লোকদের হেল্প করার জন্য এথিকাল এপারেল নামে এক গার্মেন্টস বিজনেস শুরু করার উদ্যোগ নিয়েছে। মেয়েটির নাম তারিশি জেইন। তার স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি। অন্য কোন গুষ্টির স্বপ্ন পূরণের জন্য তাঁকে চলে যেতে হয়েছে অচেনা এক দুঃস্বপ্নের নগরীতে।
No comments:
Post a Comment