Wednesday, November 16, 2016

সন্তান কোন অন্যায় করলে তাকে শাসন করার অধিকার প্রতিটা বাবা মায়ের আছে। সন্তানকে মারার অধিকারও তারা রাখে। তারা যেহেতু জন্ম দিয়েছে সেহেতু সন্তানের উপর খবরদারিটা তারা বরাবরই বজায় রাখে। নিম্নবিত্ত পরিবারে একটা বয়সের পর ছেলেরা আর বাবা মায়ের ধার ধারে না। আমাদের গ্রামের প্রায় সব পরিবারের ছেলেই বয়স ১৫/২০ এর মধ্যে বিয়ে করে বাবা মা থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীন জীবনযাপন করে। তারা খোলাখুলি বিড়ি খায় ছোট বড় সবার সামনে। সিনিয়রিটির বিষয়টা তারা পাত্তা দেয় না। শেষ বয়সে বাবা মাকে দেখাশুনাও তারা করে না। মন চাইলে দিন পনেরো পরে বাবা বা মাকে ডেকে এক দুই বেলা খাবার দিলে দেয়, না দিলে নাই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাবা মায়ের সাথে সন্তানদের সম্পর্ক থাকে বৈরি। গালিগালাজ মারামারি পর্যন্ত গড়ায়। উচ্চবিত্তেও বাবা মায়ের সাথে সন্তানের দূরত্ব অনেক। তারাও একটা বয়সে স্বাধীন জীবন যাপন করে।
সমস্যা হল মধ্যবিত্তে। মধ্যবিত্ত শ্রেণীর বাবা মায়েরা তাদের সন্তানদের তাদের বগলে নিয়ে ঘুমাতে চায় জন্ম থেকে মৃত্যু অব্দি। বাবা মা যে স্বপ্ন দেখে সে অনুসারে সন্তান মানুষ না হলে তারা পড়ে যায় বিপদে। সন্তানকে তারা শাসন করে সবচাইতে বেশি। যেহেতু প্রয়োজনের চেয়ে নিতান্ত কম উপার্জনে সংসার চালাতে হয়, নিজেদের সুখ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে সন্তানকে ভাল ভাল খাইয়ে পরিয়ে বড় করে; সে কারণে সন্তানের উপর তাদের দাবিটা ঋণদানের মত। আমি তোমার জন্য এই এই দিয়েছি, এই এই ত্যাগ করেছি, তোমাকেও আমাদের অমুক তমুক দিতে হবে। না হলে চলে অত্যাচার। 
মধ্যবিত্তের সন্তানেরা জীবন যেভাবে দেখে সেভাবে নিম্নবিত্ত আর উচ্চবিত্তের দেখার উপায় নেই। তারা থাকে সর্বদা বাবা মা এবং বড়দের আশীর্বাদ পুষ্ট সন্তানের পাল। তারা থাকে খুব আদুরে। আদরটা চলে শাসনের ফাঁকে ফাঁকে, আদরটাও যেন শাসন মিশ্রিত। গোল্ডেন পেলে সেলফোন পেতে পারো টাইপ আদর। এসব আদুরে সন্তানদের সমস্ত কাজ বাঙালি পিতা মাতা মেনে নিবে, উইদাউট রিলেশনশিপ। পিতা মাতা সন্তানের ভালোর জন্য গায়ে হাত তুলতে পারবে, সন্তান ভালবেসে নিজের ভালোলাগাকে মূল্যায়ন করে প্রেমিক/প্রেমিকার হাত ধরলে তারা তা মেনে নিবে না। তারা সন্তানের সর্বোচ্চ ভাল চায় কিন্তু সন্তানের নিজের ভালোলাগা ভালবাসার জায়গাতে তাদের অবজেকশন। মধ্যবিত্ত শ্রেণীর পিতামাতারা চায় সন্তান বিয়ে করবে বা প্রেম করবে তাদের দেয়া রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী মানুষকে। এইসব সন্তানেরা তাদের বাবা মাকেও কখনো হাত ধরতে দেখে না। তাদের ভালবাসাবাসি থাকে পর্দার আড়ালে অপরাধের মত অপ্রকাশিত।
এক বাঙালি পুরুষের স্ত্রী সেদিন দেশ থেকে এলো। পরদিন তার এক ইতালিয়ান বন্ধু জিজ্ঞাস করলো, কাল রাত তোমার কেমন কেটেছে? তিনি অন্যদিকে তাকিয়ে ভাবলেশহীন ভাবে বললেন, কাল রাতে বৃষ্টি ছিল। এমন একটা ভাব, তার স্ত্রী আসা না আসাতে তার কিছুই আসলো গেলো না। মধ্যবিত্ত বাঙালিরা তাদের ভালবাসা আড়াল করতে ভালবাসে। তারা যে সন্তান জন্ম দেয়, এক্ষেত্রে তারা এমন ভাব করে- স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কোনরকমের ছোঁয়াছুয়ি ছাড়াই সন্তান আকাশ থেকে পেটে পড়েছে। মেয়েরা অপারগ বলে পেট ফুলানোটা বন্ধ করতে পারে না, সম্ভব হলে তাও করতো। এরা সত্যিই এক আজব চিড়িয়া। সবকিছুকে তারা সাধুবাদ জানাবে, শুধু প্রেম ভালোবাসা আর ভালবাসার প্রকাশ ছাড়া। কেউ কারোর সাথে প্রেম করলো, একটু ভালবাসার প্রকাশ করলো, এই শুরু হয়ে গেলো চুলকানি। তাদের পেটে সবই হজম হয় উইদাউট লাভ, তা হোক নিজের সন্তানের অথবা অন্যের সন্তানের। এটা হয়তো মধ্যবিত্তের অর্থনৈতিক সামর্থ্যহীনতার সাইড ইফেক্ট।http://bangla.jagoroniya.com/mass-media/2554/%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE-%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A4-%E0%A6%85%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%A4
১) 'মরি মরি একী লজ্জা!' 'সমাজের একী অধঃপতন!' 'মেয়েটি একা কাপড় খুলেনি ছেলেটিও খুলেছে।' 'মেয়েটা না হয় একটা ভুল করেই ফেলেছে।' 'এরকম ঘটনায় সম্মান কেন একার শুধু মেয়েদেরই যাবে?' আরে ভাউ থামেন, অনেক তো হলো জ্ঞানদান, দিনশেষে যেই লাউ সেই কদু। আমরা কিন্তু রাখাল বালকের ধম্মের অনুসারী, ধম্ম এসব এলাউ করে না আর আমরা কিন্তু পর্ণও দেখি না। তবে দেশি মাছের স্বাদই আলাদা, পাইলে ছাড়ি না। তাই বলি কি- সবারই এরকম ভিডিও বের হোক। ভাউয়েরা আপ্পিরা আপনারা সবাই অন্যের ধারণ করা ভিডু দেখে দেখে এভাবে কতদিন সুখ পাবেন? নিজেরাও নিজেদের ভিডিও ধারণ করুন, তারপর মিডিয়ার প্রচার করুন। নিজেও সুখ পান অন্যদেরও সুখী করুন। এরপর না হয় একটা প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করা হবে। কার চেয়ে পটু মারায় কে বেশি এগিয়ে? আমরা সবাই একই উম্মার ভাই ভাই। মানুষ বেঁচে থাকলে বদলায়। নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, মানুষ হত্যা আমাদের গা সওয়া হয়ে গেছে, আশা করি এটাও এক সময় সহনশীল হয়ে যাবে।
২) গলির মোড়ে দাঁড়িয়ে সদ্য দাঁড়ি গজানো পোলারা যখন বিড়ী (বিড়ী খাওয়া কি জায়েজ না নাজায়েজ?) ফুঁকতে ফুঁকতে এর ওর বোনের পাছ আটে চল্লিশ গুণে, তখন রাখাল বালকের উশর ধম্ম আর নারীর সর্বোচ্চ সম্মান হলদে হয়ে সুয়ারেজ লাইন দিয়ে বঙ্গোপসাগরে ভেসে যায়।
৩) এর ওর প্রেমিকা, বোন, খালা, মামি কতজনরে ভাইবা যে হাতের ছাল তুলছেন, সেটা আপনি ছাড়া কেই বা ভাল জানে ভাউ? ফেবুতে তনু হত্যার বিচার চাই এ লাইক দিতে দিতে পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া বড় আপ্পিদের কতবার মনে মনে ধর্ষণ করেছেন হিসেব করেছেন?
৪) ছোট বড় বসন দিয়ে চরিত্র নির্বাচন মানুষের মাথায় আপনি আসেনি, ধম্ম থেকে এসেছে। নারী যদি বসন খুললে চরিত্রহীন হয়ে যায়, তাহলে পুরুষের বসনের কথা ভাবুন, ভাবুন তারা কতোটা চরিত্রবান?
৫) নারীরা পুরুষের ছুদা খায়, তারপর আবার পুরুষদেরই সমালোচনা করে! তারা কত্তবড় নিমকহারাম, চিন্তা করছেন?
ভালবাসার মধ্যে ছেদ আমার পছন্দ নয়।
কোন ঐশ্বরিক বাণীও যদি
আমার প্রেমের সময় আবির্ভাব হয়,
ইচ্ছে করে আল্লার আরস, দেবালয় সহ
সবখানে আগুন জ্বেলে দেই।
বড় বড় প্রেমের প্রাসাদ ভেঙ্গে চুরচুর হয়ে যায়,
সমস্ত রাজা মহারাজার রন্তভাণ্ডার
মিথ্যে, মূল্যহীন, ফাঁকা আস্ফালন মনে হয়,
যেই মুহূর্তে আমি কাউকে হৃদয়ে স্থান দেই।
অবশ্য আমাকে চড়া দামে
এর মূল্যও পরিশোধ করতে হয়।
তবুও প্রেমের জন্য, ভালবাসার মানুষের জন্য
দেউলিয়া হতে আমার কোন আপত্তি নেই।
১) তিন বছরের কল লগ ডিলিট দিতে সময় লাগে মাত্র কয়েক সেকেন্ড।
২) যুগ পাল্টেছে, এখন আপনাকে নিজেকেই বড় বলে বড় হতে হয়; লোকের কথায় কিছুই আসে যায় না।
৩) কাছের মানুষের অনুরোধ ফেলতে না পারাটা বড় দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ।
৪) সময় দিয়ে যদি অনেক কাঙ্ক্ষিত সময় কিনতে হয়, তবে সে সময়ের সাথে অন্য কোন মূল্যবান বস্তুরও তুলনা চলে না।
৫) বিষও অমৃতের সমান মধুর লাগে যদি সেখানে প্রেম থাকে।
৬) প্রেমে পরলে যা হয়---
ক) তোমার সাথে কথা বললে এতো এনার্জি পাই যে, যে কোন কষ্টের কাজ আমি হাসিমুখে করতে পারব।
খ) তোমার সাথে কথা বললে তুমি আমার সমস্ত শক্তি নিয়ে নাও, এতো দুর্বল লাগে... মনে হয় যেন বসা থেকে উঠে দাঁড়ানোর শক্তিটাও অবশিষ্ট নাই। যে কারোর একটু টুকায়ই জ্ঞান হারাব।
৭) যে কোন খারাপ সিচুয়েশনকে নেশার তালে তলিয়ে ভুলিয়ে দিয়ে পৃথিবীর সবচাইতে সুখী মানুষ ভাবার অনুভূতি দিতে পারে যে ঔষধ, তার নাম প্রেম।
সবসময় কবিতা লেখার অনুরোধটা ছিল,
অহেতুক জনের অপ্রত্যাশিত অনুরোধ
না রাখলেও চলে বলে, আর সব ঠিকঠাক লেখা হলেও
হিসেব করে কবিতা-টাই আর মাথায় এলো না।
আমার বোনের মেয়ে পড়ে কলেজে, আর ছেলে ক্লাস ফাইভে। সারাদিন বাসা-বাহিরের কাজ, বাজার-রান্না,ছেলেকে স্কুল থেকে আনা নেওয়া, ওর পড়া, খেলা ইত্যাদি নিয়েই তার সময় চলে যায়। সে আমাকে কয়েকদিন আগে বলছিলও, ''আরেকটা বাচ্চা নিতে হতো আমার, ভুল করেছি, ছেলেটা তো আর এক বছর পর একা একাই যাতায়াত করবে স্কুলে, নিজের পড়াও নিজেই করবে, তখন আমার সময় কিভাবে কাটবে?'' আমাদের সমাজের বাবা মায়েরা যারা সন্তান নেন, ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় সবই নিজেদের প্রয়োজনে। প্রথমত সন্তান উত্তরাধিকার, বংশলতিকা রক্ষা করবে, দ্বিতীয়ত মানুষ হিসেবে জন্মের একটা অবধারিত নিয়ম হলো সন্তান লালন পালন এবং ভরন পোষণ। মানুষকে কিছু না কিছু কাজ নিয়ে ব্যস্ত থেকে জীবন পার করতে হয়। অভিভাবকেরা সন্তান ধারণ পালন কে জীবনের কাজের অংশ হিসেবেই মেনে নেয়। এটা কিন্তু একজন মানুষ কে মানুষের মত মানুষের হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নয়, সেটা নিজেদের প্রয়োজনেই নিজের অপূর্ণ সাধ আহ্লাদ পূরণের জন্যই করে থাকে। এখানে পুরোপুরিভাবে ব্যক্তিগত আত্মতুষ্টি এবং স্বার্থ জড়িত।
নিজের জঠর ছিঁড়ে বের হয়ে আসে বলেই অথবা নিজের রক্তের টাকায় খাইয়ে পড়ে বাঁচে বলেই সেই সন্তানের প্রতি থাকে বাবা মায়ের সীমাহীন ভাল ভাল ভালোবাসা। একজনের সন্তান ফার্স্ট হতে হলে কাউকে না কাউকে সেকেন্ড হতে হবে। সব বাবা মা-ই চায় আমার সন্তান যেন সেকেন্ড না হয়। একজন পিতা বা মাতা নিজের সন্তানের যতোটা ভাল চায়, ঠিক ততোটুকুই অন্যের সন্তানের খারাপ চেয়ে থাকে। সাধ্যের উপরে নির্ভর করে স্বার্থের পাল্লা। কেউ হয়তো হাজার টাকার জামা কিনে দিতে পারে সন্তানকে, কেউ বা শত টাকার, আক্ষরিক ভাবে স্ট্যাটাস অনুযায়ী পোশাকের চাকচিক্যে ওজনে তারতম্য থাকলেও, সন্তানের জন্য স্বার্থের ভাবানুবাদ সকল বাবা মায়ের এক।
ভাইয়ে ভাইয়ে সম্পর্ক একসময় নষ্ট হয়ে যায়, ভাইদের সন্তানদের উত্তরাধিকার রক্ষার খাতিরেই। মেয়েরা সন্তান জন্মদান লালনপালন করলেও, উত্তরাধিকারে সম্পত্তির সঠিক বণ্টনের নীতি না থাকায় এক্ষেত্রে স্বার্থটাও হিসেব করতে হয় ছেলে সন্তানের উপর নির্ভর করে। এখানে আরেকটা বিষয় বাদ পরে গেলো-সেটা হল ভালোবাসা। সন্তান ভালবাসার ফসল, বাবা মেয়ের সন্তানের প্রতি ভালবাসাও থাকে প্রবল। এটা এমন নয় যে, সন্তানের প্রয়োজনে তারা ভালবেসে জন্ম দেয়, এটা এমন-নিজেদের প্রয়োজনে সন্তান জন্ম দিয়ে তাদেরকে ভালবাসে। ভালবেসে সেই ভালবাসার প্রতিদানও তারা ধার দেওয়া টাকার মতো পদে পদে স্মরণ করিয়ে দেয়। কিন্তু স্বার্থের কাছে সেই ভালবাসাটা হার মেনে যায়। যদি স্বার্থের কাছে ভালোবাসা হার মেনে না যেতো তবে একজন সুস্থ বাচ্চার চেয়ে একজন প্রতিবন্ধী বাচ্চা অবহেলিত থাকতো না। অথবা সম্পত্তি থেকে শুরু করে নারী পুরুষের বৈষম্য মূলক হাজারো নীতি তৈরি হতো না। একটা ছেলে এবং একটা মেয়ে একই মায়ের গর্ভে জন্ম গ্রহণ করার পরও মেয়েটি পরিবারের একজন গৌণ সদস্য হিসেবে ট্রিট হতো না। একই রকম মানব সত্ত্বা হিসেবে জন্মগ্রহণ করেও, মেয়েদেরকে খড়কুটোর মত অস্তিত্বহীন ভাসমান জীবন যাপন করতে হতো না।
''আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে'' ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর রচিত অন্নদামঙ্গল কাব্যের একটি লাইন। সতেরশো সনের মাঝামাঝি থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত এই লাইনটি শিক্ষিত অশিক্ষিত সবার কাছেই সমান ভাবেই সমাদৃত, ভালোই সমাদৃত। লাইনটা শুনতে ভাল শোনায়, কাজেও ভাল দেখায়। এরকম স্বার্থপর পিতা মাতা থাকলে সন্তানদের নিজেদের ভালমন্দ কাজের বা বিচারের আর কি চিন্তা, সমস্ত ঠিক করার জন্য দুনিয়ার সবচেয়ে সেলফিশ প্রাণী বাবা মা তো আছেনই। শ্রদ্ধা, প্রেম, ভালোবাসা, স্নেহ, মায়া-মমতা, যাই বলা হোক না কেন; একটা ভাল সম্পর্কের ভিত্তি হলো স্বার্থ স্বার্থ এবং স্বার্থ।
একটু ভর্তির খবর নেওয়া যাক-
-ভাবী আমার ছেলে তো বুয়েট।
-ও আমার টা মেডিকেলে।
-শুনছি রুমানা ভাবীর মেয়ে নাকি কোথাও চান্স পায় নাই?
-পাবেই বা কীভাবে, ওই মেয়ের লেখাপড়ায় মন আছে? চরিত্রেরই তো ঠিক নাই। মাথায় শুধু ছেলে ছেলে আর ছেলে ঘুরে।
- আর ওই মেয়ে যে সুন্দরী, পোলাদের যন্ত্রনায় ওরে বেশিদিন ঘরেও রাখা যাবে না, এতো টাকা পয়সা খরচ করে পড়ায়েই বা কি লাভ? সেই তো পরের ঘরেই যেতে হবে।
আর নিশীতে ঘুমকাতুরে হিমবালকের
দূরদেশের পাখিটির কথা ঘুণাক্ষরেও মনে রবে না।
দ্বিপ্রহরের ঘুঘুর ডাকে চলতি পথে উদাস হয়ে
মেঘাচ্ছন্ন দিনের আলোর কুহক ধরা মনে খবর
ব্যাথার হাতে মেসেজ করে তাকে আর জানাতে হবে না। 
অন্ধকারের ছায়া বাড়লে ফোন কল কাটার কথা ভুলে গিয়ে
'আমার কিন্তু ঘুম পাচ্ছে না'
বলতে বলতে রেগে গিয়ে সে আর নাই হবে না।
কথার সাথে ব্যাথারা সব অঙ্গে অঙ্গে মিশে গিয়ে
একই শব্দে তাল মিলিয়ে সুর তোলার চেষ্টা করবে না।
আর রাত্রিতে পাখিটির মাথার ভেতরে ঘুণপোকারা
কুট কুটিয়ে মগজ কেটে ঘুম চিবোবে।
কামড়ে কামড়ে ক্লান্ত হয়ে ঘুম বিলিয়ে বিস্ফারিত চোখে
বর্তমানের মায়ার খেলা দেখতে দেখতে মন ভুলাবে।
বার বার প্রতিবারই রাত কে দিন ভেবে ভুল করবে
ভুলতে ভুলতে নীদ্রাহীনতার রোগে ভোগবে,
আরপর অতীতস্মৃতির ফুলের ঝুড়ি বিস্মৃত হবে।
আগ্নেয়গিরির জ্বলন্ত লাভা চাটা আগুনখেকো তৃষ্ণা নিয়ে
কয়েক আলোকবর্ষের সঞ্চিত অপেক্ষা শেষে
আমাদের জিহ্বাটা শিকারির মত লকলক করে লালায়িত হয়।
আমরা নিজেরা একেকজন রাস্তার ধারে
শুকনো ভেজা সব গু শুঁকা কুকুরের থেকেও নিকৃষ্ট কুকুর যেন! 
তৃষ্ণার চাওয়ার আর না পাওয়ার আক্ষেপের অন্ত নেই।
আজও বিশ্বজুড়ে ক্ষুধায়, দারিদ্রে, হতাশায়, দুঃখ-যন্ত্রনায় মানুষ মারা যায়। ধর্ম মোল্লা পুরোহিতকে মানুষের দ্বারে ভিক্ষার বেলাল্লা কোরমা পোলাও ছাড়া কারো মুখে দু'মুঠো ভাত কোনদিন কাউকেই দিতে পারেনি। জনসংখ্যা আর অশিক্ষা কুশিক্ষার ভারে জর্জরিত বাংলার মানুষেরা আজও এক ধর্মকে শ্রেষ্ঠ করতে অন্যকে মারিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়। কতো বড় অমানবিক দৈন্যতার শিকার মানুষ! ভাবলে বিস্ময়ের সীমা থাকে না! মানুষের মাথায় এতটুকু বোধ কাজ করে না, সব কিছু ছাড়িয়ে আমরা মানুষ। ধর্ম আল্লা ভগবান ঈশ্বর যদি থেকে থাকেন তবে তিনি অন্যকে নিন্দা করার, হত্যা করার, ধ্বংসযজ্ঞে মেতে উঠার শিক্ষাটা অন্তত দেওয়ার কথা না।
আজ যেসকল হিন্দু পরিবারকে দেখছেন দেশ ত্যাগের রাস্তা ধরেছে। এরকমভাবেই ৪৭ এর পর থেকে প্রায় ৫০ শতাংশ হিন্দু দেশ ছাড়ার এই পথ পাড়ি দিয়েছে। তাদের সবারই অন্তরের গহীনে নাসিরনগরের মত শত নগরীর ক্ষত জড়িত। ৩০০ পরিবারের আগুন বড় বলে আজ তাপটা গায়ে লেগেছে। এক দুই তিন করে কতো তিন লক্ষ, তিন কোটি পরিবার এভাবেই দেশছাড়া হয়েছে। আমরা সেগুলো কখনোই দেখেও দেখিনি, তাদের পরিবারের কান্নার বন্যায় এখনো বঙ্গের নদী প্লাবিত হয়। আমরা যারা মুসলিম পরিবারে জন্মেছি তাদের কখনো বুঝার সাধ্য নেই আপন প্রিয় প্রতিবেশির অত্যাচারে নিষ্পেষিত হয়ে ভিটেমাটি ছাড়া কতোটা অপমানের, কতোটা লজ্জার, কতোটা দুঃখের, আর কতোটাই বা যন্ত্রণার!
দোল চেয়ারে বসলেই
ঘুম চলে আসে না।
রাত্রি বাড়লে চেনা ঘুমেরা
ধর্ষক প্রেমিকের মত
চুমুর ছলে ধর্ষণ সেরে,
ভোর হওয়ার আগেই
নিজের অস্তিত্ব ও উপস্থিতিকে
আত্মবিশ্বাসের সাথে অস্বীকার করে।
ই বিষণ্ণ, ক্লান্ত, আর অবসন্ন ভিনদেশী রাত্রিতে,
বহু বছরের সঞ্চিত শীতের আভরণ খুলে, অসীমের আঁধার ভেঙ্গে
হাড়ভেদী আলো আর উত্তাপ ছড়ায়ে;
হৃদয়ের মাটিতে বসন্ত আসে।
ক্ষণিক হাসিতে, ক্ষণিক কথায় আর ক্ষণিক আশ্বাসে-
মনের আকাশে যখন তখন ঝাঁকেঝাঁকে সারস পাখি ডানা ঝাঁপটায়!
বিয়ার পানের অভ্যাসটা নতুন। আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি এই অভ্যাসটা আমার সাথে সাথে রয়ে যাবে অনেকদিন। বিভিন্ন ব্র্যান্ড ছাঁকা শেষে একটাতে থিতু হবো হয়তো। বরফ শীতল বিয়ারের গ্লাসে চুমুক দিতে দিতে বইয়ের পাতা উল্টাতে বেশ লাগে। আমার প্রাগৈতিহাসিক আধুনিক এন্ড্রয়েড ফোনের বাতিটা আর জ্বলে না অনেকদিন। এটা ঠিক করাতে যে টাকা ম্যাকানিক দাবী করেছে সেই টাকা দিয়ে আরেকটা ভাল মডেলের এন্ড্রয়েড মোবাইল কেনা যাবে। নতুন কোন ফোন কেনার তাড়া অনুভব করছি না ভেতর থেকেই। কথা বলার জন্য একটা ফোন আছে, কালে ভদ্রে রিং বেজে উঠে, আর না হলে আমিই রিং বাজাই। সপ্তাহে চারদিন কালিজিরা বেচা ছাড়া দিন রাতের বেশিরভাগ সময় ঘুমিয়ে কাটাই। যেন কয়েক শতাব্দীর ঘুম নিয়ে পুনর্জন্ম ঘটেছে আমার।
খুব অল্প সময়ের জন্য ফেবুতে এলে ছাইয়ে চাপা পরা পুরনো আগুনে হাত পোড়ানোর জ্বালার মত সমস্ত গায়ের চামড়া খসখস করে। ল্যাপটপের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকি ঘণ্টার পর ঘণ্টা, অনুভূতিরা যেন সূচের খোঁচায় প্রাণ ক্ষতবিক্ষত করে তুলে, হাঁপিয়ে উঠি। অস্থির সময়, অসহ্য অসহায় নৈতিকতা! তবুও এফ বি থেকে বের হতে ইচ্ছে করে না। নেশার করা মাতালের মত মাথা ঝিম ঝিম করতে থাকে। এরপর আমার ক্লান্তি, হতাশা আর দৈন্যতার সবচেয়ে কাছাকাছি পৌঁছানো এক প্রাণের আহ্বানে আবার ঘুমাতে যাই। মেয়ে হয়ে জন্মানোর কৃপা সরূপ পুরুষদের আহ্বান আরেক দফা সামনে এগিয়েছে। এখানে বিদেশীরা ডাকে প্রেমের জন্য নয়, এরা ডাকে জৈবিক তাড়নায় বিছানায়। বেশ কয়েকজনকে বলেছি আমার প্রেমিক বা স্বামী আছে দেশে; তবুও তারা নির্লজ্জের মত অবিশ্বাস করে। বলেই বসে- প্রেমিক থাকলে সমস্যা কি, আমরা থাকি একসাথে, তোর প্রেমিক এলে আলাদা হয়ে যাবো। কি জানি আমার চেহারা দেখে হয়তো মনে হয় আমি প্রেম ট্রেম করতে পারি না। এদেরকে কেমনে বুঝাই প্রেম ছাড়া শরীর উপভোগ করতে পারলে এতদিনে কয়েকটা বাচ্চার মা হওয়ার মত সৌভাগ্য অর্জন করতে পারতাম।
তাছাড়া অতীতের চরিত্রহীনতা বা সুচরিত্রের শীর্ষে পৌঁছানো নিঃসঙ্গ প্রেমিকেরাও ছুঁতে পারে না আমার মনের কোন কোণ। খুব দুঃসময়ের পাশে থাকা এক বন্ধুর সঙ্গ ছাড়া আমার সমস্ত অন্তরাত্মা জুড়ে আছে ঝর্ণার মত ঠাণ্ডা শীতল এক কণ্ঠস্বর, আর দ্যুতিতে ভরপুর দুটি উজ্জ্বল চকচকে চোখ, যা কিনা আমার ভেতর বাহির তোলপাড় করে ভুলিয়ে দেয় ভাল মন্দ বিচারের বোধবুদ্ধি এবং দিন তারিখ সনসহ স্বার্থ হিসেবের সময়জ্ঞান।
স্বল্প পোশাক যদি আধুনিকতা হয় তাহলে পশুরা সবচেয়ে বেশি আধুনিক।
কবিতা আবৃত্তি করলে যদি কোন ব্যক্তি সেক্যুলার হয় তাহলে শিমুল মোস্তফা সবচেয়ে বেশি সেক্যুলার।
খাবার খেয়ে বেঁচে থাকা যদি মানুষের কাজ হয় তাহলে জন্তু জানোয়ারেরা সবচেয়ে বেশি মানুষের মত বাঁচে।
সেক্স করলে যদি মানুষের বাচ্চার জন্ম হয় তাহলে কুকুর শকুরের সেক্সে সবচেয়ে বেশি মানুষের বাচ্চা জন্মে।
ধর্ষণ করলে যদি কেবল নারীর চরিত্র নষ্ট হয় তাহলে পুরুষেরা সবচেয়ে বেশি চরিত্রবান।
স্বল্প পোশাক যদি ধর্ষণের কারণ হয় তাহলে সবচেয়ে বেশি পুরুষের দ্বারা ধর্ষিত হয় পশুপাখি।
খঙ্কি মাগী বলে অসাম্প্রদায়িকতা *দাইলে যদি মানবতাবাদ হয় তাহলে সব খঙ্কি মাগী গমনকারী পুরুষেরাই মানবতাবাদী।
রাস্তায় দাঁড়িয়ে মূত্র বিসর্জন যদি সভ্যতা হয় তাহলে কুকুরেরা সবচেয়ে বেশি সভ্য।

Sunday, July 24, 2016

ধর্ম নিয়ে হৈ হুল্লা পক্ষে বিপক্ষে মতবাদ, কথা কাটাকাটির শেষ নেই। এক শ্রেণী ধর্মকে মানবিক করতে চায়, এক শ্রেণী ধর্মকে তার জায়গায় অটুট রাখতে চায়, এক শ্রেণী ধর্ম বেঁচে খায়, এক শ্রেণী ধর্মকে পুরোই বাদ দিতে চায়, এক শ্রেণী ধর্মের কারণে মারা পরে, এক শ্রেণী ধর্মের কারণে মারে, আরেক শ্রেণী ধর্মের কারণে মারা খায়।
ধর্মের মত পুরুষতন্ত্র একটা বর্বর, অমানবিক এবং অপ্রয়োজনীয় বিধান। যা না থাকলে মানুষের নিত্যদিনের কর্মের অথবা বাঁচা মরার কোন হেরফের হবে না। ধর্ম নিয়ে এতো শত দল থাকলেও, এই পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ(নারী পুরুষ) পুরুষতন্ত্রের ক্ষেত্রে সবাই একদল, সবাই একজোট, ছিটে ফোটা বৃষ্টিতেও সব পুরুষতন্ত্রের বাপের ছাওয়েরা এক ছাতার নিচে আশ্রয় নেয়।। এখানে তাদের কোন বিভাগ নাই, শ্রেণী নেই, জাত নেই, ধর্ম নেই, মসজিদ-মন্দির-গির্জা নেই বা এখানে তাদের কোন আলাদা অস্তিত্ব নেই। বিশ্বব্যাপী তাদের একটাই প্রতিষ্ঠান, একটাই সংঘটন-সেটা হলও তাদের ইউনিটি। এখানে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খৃষ্টান, আস্তিক, নাস্তিক সব এক বাপের পোলা, তাদের সবার একটাই শক্তি, তা হলও 'একটাই বল'।
যে বা যারা ওই দল থেকে বের হয়ে পুরুষতন্ত্র এবং পুরুষের প্রতিবাদ করবে তারা হয় উঠে হয় তুমুল পুরুষ বিদ্বেষী, নয় তার কোন কাজকাম নাই তাই তারা ফ্যাশন করে, নয়তো তারা বিশ্বে-বেশ্যা। ধার্মিক বাদে স্যকুলাররাও এমন চিন্তা লালন করে। তারা সারাদিন খেয়ে না খেয়ে ধর্মকে ধুতেই থাকে-ধুতেই থাকে। তার পাশাপাশি পুরুষতন্ত্রকে বগলে করে ধর্ম-মুক্তির ধ্বজা উড়িয়ে নারীকে ঠিকঠাক-মত মারা খাওয়ায়। তাদের জন্য বরাদ্দ হলো মহাবিশ্ব পরিমাণ লজ্জা এবং ঘৃণা!
জাতিসংঘ এক প্রতিবেদনে বলেছে, বয়স ২০ হবার আগেই সারা পৃথিবীতে প্রতি ১০ জন মেয়ে শিশুর একজন ধর্ষিত অথবা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন, শিক্ষক, অচেনা ব্যক্তি ছাড়াও এমনকি পরিবারের ঘনিষ্ঠ মানুষদের দ্বারাও এসব ঘটনা ঘটে।
মেয়ে শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন হয় কার হাতেঃ
50% ক্ষেত্রে বাবা -মা বাদ দিয়ে পরিচিত, আপন, পারিবারিক আত্মীয় বা বন্ধুর হাতে ।
25% ক্ষেত্রে বাবা , বায়োলজিকাল অথবা সৎ বাবার হাতে । বাবা/মার প্রেমিকও এই খানে অন্তরভুক্ত ।
25% ক্ষেত্রে উপরের লোক জন বাদ দিয়ে , অন্য কেউ ।
বাবা যখন ধর্ষক হয় তখন নারী জাতির আর ভরসা করার মত জগতে কোন জায়গা অবশিষ্ট থাকে না । আমাদের দেশেও এরকম ঘটনা অনেক আছে, শুধু প্রকাশ হয় না । খবরটি দেখুন লিংক এ দেও্য়া হল ।
-----------
চিঠিটি খোলার আগেও শিক্ষক জানতেন না কী ভয়াবহ বার্তা দিয়েছে মেয়েটি। শিক্ষকের টেবিলে চুপিচুপি ছুটির আবেদন দিয়ে চলে গিয়েছিল সে। যাতে লেখা ছিল প্রতিদিন তাকে ধর্ষিত হতে হয় বাবার দ্বারা। সবকিছু জেনেও চুপ করে থাকেন তার মা। তাই অবশেষে শিক্ষকের দ্বারস্থ হয়েছে কিশোরী মেয়েটি। চিঠি পড়েই এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন শিক্ষক। তাদের সাহায্যেই বাবা, মায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় ধর্ষণের অভিযোগ।
গত সপ্তাহে লেখা চিঠিতে ১৩ বছরের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীটি জানিয়েছিল, আমার বাবা আমাকে ধর্ষণ করে, মা সব জেনেও আমার সাহায্যে এগিয়ে আসেন না। চিঠি পড়েই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছে ছুটে যান শিক্ষক। সোমবার অভিযোগ দায়ের হয়েছে মুম্বইয়ের ভাসি থানায়। পুলিসা জানিয়েছে অভিযুক্ত বাবা একজন ফল বিক্রেতা। বয়স ৪৫ বছর।
পুলিসের কাছে বিবৃতিতে মেয়েটি জানিয়েছে, "মায়ের সামনেই বাবা আমাকে ধর্ষণ করতো। তারপর মাঝে মাঝেই মা আমাকের একটা করে ওষুধ খেতে দিতো। আমার যখন ৭ বছর বয়স তখন থেকে চলে আসছে এই ঘটনা। মা কখনই আমাকে সাহায্য করেনি।" অভিযোগকারিনী মেয়েটির এক দিদি, এক দাদা ও দুজন ছোট ভাই রয়েছে। অন্য ভাইবোনরা বাড়িতে যখন থাকতো না তখনই তাকে ধর্ষণ করা হতো বলে জানিয়েছে সে। মায়ের সাহায্য না পেয়ে বড় দিদির(১৭) কাছে ছুটে গিয়েও লাভ হয়নি। কারণ, দিদিও ছিল একই পরিস্থিতির শিকার। প্রতিবেশীদের জানালে তারাও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
পুলিস জানিয়েছে, নভি মুম্বইয়ের কিছু স্কুলে কয়েকটি এনজিও শিশুদের যৌন নির্যাতন নিয়ে কাউন্সেলিং সেশন করেছিল। তারপরই সাহস সঞ্চয় করে মেয়েটি। তার বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। আপাতত একটি চিলড্রেন্স হোমে রয়েছে মেয়েটি।http://zeenews.india.com/bengali/nation/teenage-gils-writes-to-teacher-how-she-was-raped-by-father_129837.html
যুক্তিঃ ধর্ষণের জন্য নগ্নতাকে দায়ী করার পরও আপনারা কেন নগ্ন হতে এতো উতলা? আপনি বলবেন কি পোষাক কেন তৈরি হয়েছে। তৈরির আগে মানুষ কি লজ্জাস্থান ঢেকে রাখার চেষ্টা করত না? আপনি বলবেন আধুনিতা । তাহলে পশুরা তো পোষাক পড়ে না, তারা কি বেশী আধুনিক?
খন্ডনঃ ধর্ষণের জন্য নগ্নতাকে দায়ী করার পর ও কেন মাদ্রাসার শিশু ও বোরকা পরা মেয়েরা ধর্ষিত হয় ? লজ্জাস্থান ঢেকে খুলে রাখার উপর ধর্ষণ নির্ভর করে না । যে ধর্ষণ করবে সে বোরকা পরা মেয়ে দেখলেও করবে , আর যে করবে না ল্যাংটা মেয়ে দেখলেও করবে না ।ধর্ষণ সম্পূর্ণ নির্ভর করে মানসিকতার উপর , কারো পোশাকের উপর নয় । আপনি বললেন পোশাকের কথা (যদিও আমি কখনো ল্যাংটা হয়ে চলার কথা কোথাও বলিনাই) । ইউরোপ এমেরিকায় মানুষদের থেকে আমরা অধিক বসন পরে কোন কোন দিক দিয়ে তাদের থেকে বেশি আধুনিক? তারা সবাই সল্প বসনে ঘোরাফেরা করে ,তাহলে কি তারা সকলেই পশু ???
এরকম নায়েকীয় যুক্তি নিয়ে মুমিনরা তর্ক করতে আসে আমার পোস্ট এ । কই যাইতাম !

Saturday, July 23, 2016

নিষিদ্ধ গাছ
গাঁজা চাষ বাংলাদেশে নিষদ্ধ। গাঁজা খাওয়ার ব্যাপারেও নিশ্চই নিষেধাজ্ঞা আছে। বাংলাদেশ পুলিশ হ্যান্ডবুক( গাজী শামসুর রহমান) প্রকাশ্যে সিগারেট খেলে ১০০ টাকা শাস্তির কথা বলা হয়েছে। গাঁজা বিষয়ে কিছু পেলাম না। প্রকাশ্যে থুথু ফেললেও ১০০ টাকা জরিমানা। রমজান মাসে মুসুল্লিদের থুথু ফেলায় কি এই আইন শিথিল হবে? গাঁজা খাওয়ার ব্যাপারে আমাদের সরকার মনে হয় নমনীয়।
গাঁজা গাছ সম্পর্কে কিছু তথ্য।
গাঁজার বৈজ্ঞানিক নাম Canabis sativa Linn. গোত্র হলো Urticacea.
গাঁজার স্ত্রী - পুরুষ আছে।দুটিতেই ফুল হয়।তবে পুরুষ গাছের মাদক ক্ষমতা নেই।
স্ত্রী গাছের পুস্পমুঞ্জুরী শুকিয়ে গাঁজা তৈরি করা হয়। এই গাছের কান্ড থেকে যে আঠালো রস বের হয় তা শুকালে হয় চরস।চরস নাকি দুর্গন্ধময় নুংরা কাঁথা গায়ে জড়িয়ে খেতে হয়।
স্ত্রী গাঁজা গাছের পাতা কে বলে ভাং। এই পাতা দুধে জ্বাল দিয়ে তৈরি হয় ভাংগের সরবত। এই সরবত ভয়ংকর এক হেলুসিনেটিং ড্রাগ।
আমার এক বন্ধু আর্কিটেক্ট করিম ভাংগের শরবত খেয়ে কলকাতার এক হোটেলে চব্বিশ ঘন্টা অচেতন হয়ে পরে ছিল। তার কাছে মনে হচ্ছিল,তার হাত ক্রমাগত লম্বা হচ্ছে। হোটেল এর জানালা দিয়ে সেই হাত ক্রমাগত লম্বা হয়ে আকাশের দিকে চলে যাচ্ছে।
গাঁজা গাছের ফুল,ফল,পাতা এবং গা থেকে বের হওয়া নির্যাসে আছে সত্তরের বেশি ক্যানাবিনয়েডস্। এগুলোর মধ্যে ক্যানাবিনল, ক্যানাবিডিওল,ক্যানাবিডিন।নাইট্রোজেন ঘটিত যৌগ ও প্রচুর আছে।
এইসব জটিল যৌগের কারণএ মাদকতা ও দৃষ্টিবিভ্রম।
মহাদেব স্বর্গে নন্দি ভৃংগিদের নিয়ে আছেন।মহাদেবের মনে সুখ নেই,কারণ কোন নেশা করেই আনন্দ পাচ্ছেন না। তিনি পৃথিবিতে নেমে এলেন নেশার বস্তুর সান্ধানে। দেখা করলেন লোকমান হেকিমের সংগে। যদি লোকমান হেকিম কিছু করতে পারেন।ইনিই একমাত্র মানুষ যার সংগে গাছপালা কথা বলে।মহাদেব ও লোকমান হেকিম বনে জংগলে ঘুরছেন,হঠাৎ একটা গাছ কথা বলে উঠলো। আমাকে মহাদেবের হাতে দিন।মহাদেবের মনোবাসনা তৃপ্ত হবে।মহাদেব গাঁজা গাছ নিয়ে স্বর্গে গেলেন। গাঁজা গাছই একমাত্র গাছ যা পৃথিবী থেকে স্বর্গে গেল।
যে বিস্তু শিব নন্দি ভৃংগিকে নিয়ে হজম করবেন আমরা তা কিভাবে হজম করব!
কাজেই 'শত হস্তেন দূরেৎ' ( শত হস্ত দূরে)।
মানুষ কর্তৃক নিষিদ্ধ গাছের কথা জানা গেল।আল্লাহ কর্তৃক নিষিদ্ধ গাছের বিষয় টা কি?
এই নিষিদ্ধ গাছের ফলের নাম 'গন্ধম'। বিবি হাওয়ার প্ররোচনায় আদম এই নিষিদ্ধ বৃক্ষের ফল খেয়েছিলেন।
সমস্যা হল গন্ধম আরবি শব্দ না। ফারসি শব্দ।পবিত্র কোরানে কোথাও এই ফলের নাম দেয়া হয়নি। হাদিসেও নাম নেই।তাহলে আমাদের কাছে এই গন্ধম কোত্থেকে এল? বাউলেরা পর্যন্ত লিখেছেন, ' এই গন্ধমের লাগিয়া..........।'
যিশুখ্রিস্ট জন্মের চারশত বছর আগে এই নিষিদ্ধ বৃক্ষ লিখলেন ইনক।তার বই এ (The sedipigraphik book of lnok) বলা হয়েছে,এই গাছ দেখতে অবিকল তেঁতুল গাছের মত,তবে সুগন্ধযুক্ত।
গ্রিক মিথ বলেছে,নিষিদ্ধ বৃক্ষের ফল হল বেদানা।
রাব্বি নেসেমিয়া বলেছেন, নিষিদ্ধ বৃক্ষের ফল হল ডুমুর।
ধর্মগ্রন্থ তালমুদ বলেছেন,নিষিদ্ধ ফল আঙুর।
প্রচীন চিত্রকলায় আদম, ইভ,এবং সর্পের সংগে যে ফলটল দেখা যায় তার নাম আপেল।
এখন তাহলে মিমাংসা টা কি?
পাদটীকা
বিষাক্ত ফলের তালিকায় আছে আপেল!
আপেলের বিচিতে থাকে বিষ।বিষের নাম সায়ানোজেনিক গ্লাইকোসাইড। একটা বিচি খেলে তেমন কিছু হয় না। একেবারে অধিক খেলে.........।
রিডিং হিজিবিজি
হুমায়ন আহমেদ।
কাল একজন আমার পোষ্ট এ মন্তব্য করল । মেয়েদের সামনের বল আছে বলে মেয়েরা দুর্বল । আরেকজন মন্তব্য করেছে ছেলেরা দৌড়িয়ে বাসে উঠতে পারে মেয়েরা পারে না , কারণ মেয়েরা দুর্বল ।
এর এই দুর্বলতার কারণে সামাজিক পারিবারিক সকল ক্ষেত্রে পুরুষেরা অগ্রাধিকার পায় । আর বাসে দৌড়ে উঠতে পাড়ে না বলেও তাদেরকে দুর্বল ভাবা হয় ।
এরা মেয়ে সম্পর্কে ধারনাই পোষণ করে এরকম । নারী জাতি মায়ের জাতি , নারী জাতি দুর্বল জাতি , নারী জাতি সহনশীল জাতি , নারী জাতি লজ্জা ভূষণ করবে , নারী জাতি অবনত জাতি, নারী জাতি ধীরে কথা বলবে , নারী জাতি মার খাবে , নারী জাতি ধর্ষিত হবে, নারী জাতি অপমানিত হবে , নারী জাতি নির্যাতিত হবে , নারী জাতি নিপীড়িত হবে , নারী জাতি গালি খাবে, নারী জাতি থেলা-ধাক্কা-উস্টা খাবে ।
একজন আট দশ বছরের ছেলে মেয়েতে শক্তির কোন তফাৎ নাই । এর পর নারীকে ঘরে পুরে দুর্বল বানানো হয় । ইউরোপে নারীদের পুরুষের সমান কোথাও কোথাও পুরুষের থেকে বেশি কাজ করতে দেখলে এরা তো হার্ট ফেইল করবে । এদেশের মেয়েরা যেভাবে জড়তা ছারা হাত পা ছেড়ে হাঁটে ও দৌড়ায়, যেভাবে উচ্চস্বরে হাসে , যেভাবে পুরুষের চেয়ে বেশি মদ আর সিগারেট খায় ,তা দেখলে তো এরা অক্কা পাবে । এখানে নারীরা দৌড়ায় শর্ট পোষাকে । এখানে মেয়েরা নিরাপদ । বাংলাদেশের মেয়েরা ইউরোপের মেয়েদের মত দৌড়ালে আপনারাই বোরকার নিচে / কামিজের নিচে বল খুঁজে বেড়াবেন , এখানের পুরুষেরা আপনাদের মত অভদ্র নয় বলে এরা দৌড়াতে পারে । এখানকার পুরুষেরা জন্মের পর নারীর শরীরের বলের দুধ খেয়ে আপনাদের মত বলের প্রতি অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না বলে এখানের নারীরা সেইফ । নারীরা দৌড়ে বাসে উঠতে পারে না ভুল কথা । তাদের গায়ে যেসব পোশাক পরানো হয়েছে তা পরে দৌড় দিলে উস্টা খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরতে হবে । আর দৌড় দিয়ে ঠালাঠেলি করলে ,আপনারাই গায়ে হাতাহাতি করে আপনার মায়ের জাতির গুষ্টি উদ্ধার করবেন । নারীর পায়ে বেড়ি পরিয়ে বলবেন দৌড়াতে পারে না , নারীকে সকাল বিকার সারা বেলা দুর্বলের ঔষধ খাইয়ে বলবেন দুর্বল, নারীকে চরিত্রহীন করে বলবেন বেশ্যা, কথাগুলা আপনাদের মত নিমকহারাম পুরুষদের মুখেই মানায় ।
মাথার ভেতরের ঘুণ পোকারা সুক্ষ সুরে মগজ কাটে,
ঘরে-বাইরে, রোদে-ঝড়ে, শুকনো-কাদায়, দিনে-রাতে ।
যার শব্দে শুধু আমারই ঘুম চলে যায়,
আর পৃথিবী সব মানুষ শান্তিতে ঘুমায় !
'জারজ' শব্দের সোজা বাংলা অর্থ যার পিতৃপরিচয় নেই/অবৈধ সন্তান । মানে কোন নারী পুরুষ বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্ক করার পরে যদি কোন সন্তান নারীর গর্ভে আসে তাকে জারজ বলে ।কোন পুরুষের বীর্য ছারা নারীর গর্ভে সন্তান আসা সম্ভব নয় । যদি আসে তবে সে যীশু মত ইশ্বরের পুত্র রুপে গন্য হবে । সাধারণত আমাদের সমাজে যেসব শিশুকে জারজ বলা হয় ,তারা জন্মের পর তাদের কোন খোঁজ খবর বীর্য প্রদানকারী পুরুষটি নেন না । সেই সন্তানের জন্মদাতা মাতা সেই সন্তান পেটে আসার পর থেকে তার মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তাকে অসতী ট্যাগ খেতে হয় । সেই সন্তান কে ধরা ছোঁয়া বা তার সাথে উঠা বসা, খেলা ধুলা, কোন পিতার সার্টিফিকেটধারী সন্তানদের করতে দেয়া হয় না ।তারা অস্পৃশ্য, অচ্ছুৎ । যেই পিতা তার সন্তানকে নিজের সন্তান বলে পরিচয় দিতে পারে না , তার পিতা হওয়া থেকে না হওয়াই ভাল । কিন্তু সমাজের সকল ক্ষেত্রে জারজ শব্দটিকে খুব ঘৃণার চোখে দেখা হয় । যেহেতু পিতার পেটে সন্তান ধারণ করেনা , তাই আলটিমেটলি এই গালিটা মায়ের উপর যায় ।
মানুষ কতটা স্বার্থপর আমি ভেবে অবাক হই । তারা মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নিয়ে আরেকজন মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেয়া সন্তান কে জারজ বলে । আমার একজন মুক্তমনা বন্ধু সেদিন বলছিলেন, আমি রাজাকার কে জারজ গালি দেই । রাজাকারকে আপনি জারজ গালি দিচ্ছেন আর সেই রাজাকারের বাচ্ছারা বা কোন ধার্মিক মুমিন আপনাকে নাস্তিক হওয়ার জন্য জারজ বলে গালি দিল । তবে ব্যাপারটা কি দাঁড়ালো? ব্যাপারটা দাঁড়ালো আপনার মা আর রাজাকার মা অসতী , মানে আপনার পিতৃপরিচয় নাই তারো নাই । দোষ কার ? আপনার নাকি আপনার মায়ের ? কোন মাই জানেন না তার সন্তান খারাপ হবেন নাকি ভাল হবেন । কেউ কেউ পরিবেশ সমাজ কুসংস্কার ইত্যাদির কারণে চরম খারাপ পথে যায় । যে যায় তার বিচার প্রাপ্য কিতু সেজন্য মা কে উদ্যেশ্য করে কাউকে জারজ গালি দেয়া নারী জাতির প্রতি হেয়ভাব ও বিদ্বেষ লালন করারই বহিঃপ্রকাশ ।
'জারজ' শব্দটি স্রেফ একটি পুরুষতান্ত্রিক গালি । যে অপরাধ নিজেরা করে দোষ চাপায় নারীর উপর ও তার গর্ভ থেকে জন্ম নেয়া সন্তানের উপর । চুরি তার উপর সিনাজুড়ি একেই বলে । আমরা যারা শুভবোধ এর চর্চা করি, সমাজের কু-প্রথার সংস্কার চাই, তাদের উচিত জারজ/বেশ্যা এসব নারী বিদ্বেষী গালি থেকে বের হয়ে আসা । সমাজের আমজনতা এসব প্র্যাকটিস করে । আমাদের উচিৎ তাদের কে শুধরানো , আমরা যদি নিজেরাই এসব শব্দ গালি হিসেবে ব্যবহার করি তবে তারা আর কি করবে !? সর্বোপরি আমিও মানুষ, আর যার পিতৃপরিচয় নেই সেও মানুষ । আমি যেভাবে জন্ম নিয়েছি সেও ঠিক একি ভাবে জন্ম নিয়েছে । আমি যেভাবে খাই ধাই চলাফেরা করি সেও তাই করে । তবে আমি সাধু আর সে অসাধু হয় কি করে ?
কারো অপরাধের ভার অন্যের উপর দিয়ে কি নিজেরা খুব ভাল সাজা যায় ? যায় না , সমাজ জানে কে অপরাধী । কিন্তু দোষ চাপায় নারীর উপর । যত গলদ নারীকে বয়ে চলতে হয় ,যত বিষ নারিকেই গিলতে হয় । ভয়ঙ্কর নারীবিদ্বেষী সমাজ এসব গালিকে তেল পানি দিয়ে লালন করে নিজেদের অপরাধের ভার নারীর উপর ফেলার জন্য এসব শব্দ নারীর ক্ষেত্রেই এপ্লাই করে । যা আমাদের সকলেরি চরম ভাবে পরিত্যাগ করা উচিত ।https://www.facebook.com/who.annopurnadebi/posts/1609339699333238

Tuesday, July 19, 2016

কোন ছেলে ভালো রান্না করতে জানে বা অমুকের স্বামী স্ত্রীকে রান্না করে খাওয়ায়, এই কথা পরিবারের সদস্যরা বড় গর্বের সাথে বলে, 'মুন্না তো রান্না পারে'। এতো কাল যাবত মেয়েরা রান্না করে পুরুষদের খাওয়াচ্ছে সেটা কারোর কাছেই তেমন কোন গর্ব করার মত বিষয় না। বরং রান্নার ভুল ধরার জন্য সকলেই উৎসুক থাকে। কোন মেয়ে যদি রান্না করে তবে তাকে নিজের পছন্দের চেয়ে ফ্যামিলির অন্যদের রুচি পছন্দ এবং চাহিদার উপর নির্ভর করে তাকে রান্না করতে হয়। মেয়েদের সবসময় এই ভয়ে তটস্থ থাকতে হয়, তরকারিতে তেল, নুন, মশলা ঠিক আছে কিনা। প্রতিদিনের রান্নায় একই ভয়, যদি খেতে ভালো না হয় তবে কপালে জুটবে ধিক্কার, তিরস্কার। মেয়ে হলে জন্মালে রান্না ভালো হতেই হবে। এ যেন অবিনশ্বর নিয়ম। মেয়েরা প্রায় প্রতিদিন রান্নার পর জিজ্ঞাস করে খাবার কেমন হলও? এতে করে ভালোবেসে খাইয়ে তৃপ্তি পাওয়ার চেয়ে বেশি কাজ করে তিরস্কার পাওয়ার ভয়। 
জগতে কত শত সাকসেস থাকলেও রান্না ভালো না হলে মেয়েদের সব সাকসেস জলাঞ্জলি যায় লোকের তিরস্কারে। পুরুষের ডিম ভাজি, ভাত টাইপের রান্না বা শেফ হলে দেশী বিদেশী কোন খাবার রান্নাকে অনেকেই গর্বের চোখে দেখে। কিন্তু তা যদি হয় কেবল এক দুই দিনের জন্য। কন্টিনিউয়াস পুরুষেরা বাসায় রান্না করাটা আমাদের কাছে খুব বেমানান। কারণ রান্নার কাজটা আপাত দৃষ্টিতে পুরুষের জন্য অপমানজনক। মেয়েদের কাজ পুরুষেরা করলে তা অপমানজনক, কিন্তু পুরুষের কাজ, যেমন-বাঁচার জন্য রেঁধে খাওয়ানোটা মেয়েরা না করলে সেটা হয় মেয়েদের জন্য অপমানজনক। কোন মেয়ে সংসারী অবস্থায় এই দায়িত্ব স্বেচ্ছায় না নিতে চাইলে তাকে সংসার করার যোগ্যতাও হারাতে হতে পারে। তখন সেটা হয়ে উঠে টিকে থাকার লড়াই, অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। সমাজের হায়েনাবেশী পুরুষের সাথে যুদ্ধ করে টিকে থাকার চেয়ে রান্না ভালো করে পরিবারের সবার মন জয় করে টিকে থাকাটাকেই তারা সহজ বলে মেনে নিয়েছে। রান্না ভালো না করে এই তিরস্কারের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার রাস্তাটা তারা খুঁজে না। এক ধরনের স্বার্থপর পঙ্গু অব্যবহৃত মস্তিষ্ক নিয়ে তারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম কোনরকমে টিকে বাঁচতে পারলেই খুশি। এভাবে অনেক আত্মনির্ভরশীল মেয়েও ব্যক্তিত্বহীন পরগাছাতে রূপান্তরিত হয়। 
একটা মেয়ে শ্বশুর শাশুড়ির সাথে কথা বলা অবস্থায়, তার মোবাইলে ফোন আসলে যদি সে বলল, 'মা আমার একটা ফোন এসেছে-আমি একটু পরে আসছি'। তখন শ্বশুর শাশুড়ির মুখ ম্লান হয়ে যায়। যতোটা না কষ্ট পায় পর্দার শ্বশুর শাশুড়ি তার চেয়ে কষ্ট পায় টিভির দর্শক। কত বেয়াদব মেয়েরে ভাই, ফোনে কথা বলার জন্য জরুরী কথা ছেড়ে উঠে গেলো। ফোন কলটি যদি মেয়েটির স্বামীর হতো, তবে ভেবে নেওয়া হতো অবশ্যই কোন জরুরী কল ছিল। হয়তো ব্যবসা বা অফিসের কোন জরুরী কাজে পুত্রধন উঠে গেছে। সমস্ত বিষয়ে আগে নিজের ইচ্ছার চেয়ে ফ্যামিলির অন্যদের ইচ্ছার কথা ভেবে তাদের প্রতিটি একক পদক্ষেপ ফেলতে হয় প্রতিদিন প্রতিক্ষণ। দিন যত যাচ্ছে তার সাথে সাথে মেয়েদের ব্যক্তিস্বাধীনতা সহ মনের স্বাধীনতাও প্রতিনিয়ত বিসর্জন দিতে দিতে তারা এক অদ্ভুত বশ্যতার শিকার মানসিক প্রতিবন্ধী জাতিতে পরিণত হচ্ছে। এদেরকে যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে ড্রাইভ করানো এজন্যই এতো সহজ। 
বাংলাদেশে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে দাঁড়ি টুপি সম্বলিত ছেলে তেমন না দেখা গেলেও, হিজাব বোরকা-ধারী হাজারো মেয়ে দেখা যায়। স্কুল ড্রেসের সাথে একটা স্কার্ফ থাকে যা একেবারেই অপ্রয়োজনীয়। ধর্ম এবং ধর্মের নিয়ম কানুন ছেলে মেয়ে উভয়ের পালনের দায়িত্ব থাকলেও ছেলেদের থেকে মেয়েরা ধর্মটা লালন পালন করে বেশি। মেয়েদের ধর্ম পালনটা সৃষ্টিকর্তাকে যতটা না খুশি করার জন্য, তার চেয়েও বেশি প্রয়োজনীয় সমাজ ও পরিবারের মানুষদের খুশি করানোর জন্য। নিজেকে বঞ্চিত রেখে অন্যকে ভালোবাসার নামে ভণ্ডামো করে, অন্যের ভালো লাগার জন্য-অন্যের চোখে ভালো হওয়ার জন্য- অন্যকে খুশি করার জন্য-নিজের চোখে নিজেকে না দেখে অন্যের চোখে নিজেকে দেখার মত বিষয় পোশাক-আশাক, ফার্নিচার জাতীয় বস্তু তে মানায়; মানুষে নয়। https://www.facebook.com/who.annopurnadebi/posts/1742137182720155?pnref=story

Friday, July 15, 2016

মেয়েটির জন্ম ব্যাঙ্ককে, বয়স ১৯ বছর। এমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল গুলশান থেকে পড়াশোনা, এরপর এমেরিকার বার্কলির ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া তে এলএলবি তে অধ্যয়নরত ছিল। বাংলাদেশে একটা ব্যাংকে ইন্টার্নিশিপ করার জন্য এসেছিল। বাবার পোশাকের ব্যবসার কারণে তার ঢাকাতেই বসবাস। পরেরদিন চাচার কাছে ইন্ডিয়া যাওয়ার কথা ছিল। বাবা নিজেই মেয়ে ও তাদের বন্ধুদের কে রেস্টুরেন্টে নিয়ে এসেছিল। সেসময় হঠাত একটা জরুরী কাজে তাঁকে বাইরে যেতে হয়। এরপরই আর্টিজানে জঙ্গিদের হামলা শুরু হয়।
সে তার বাবাকে ফোন করে জানায়, সে অনেক ভয় পাচ্ছে; বন্ধুদের সাথে সেও রেস্টুরেন্টের ওয়াশরুমে লুকিয়েছে। সে তার চাচাকে ফোন করে বলেছিল, যারা কোরান পড়তে পারে এদেরকে একপাশে করা হয়েছে আর যারা কোরান পড়তে পারে না তাদেরকে আরেকপাশে করেছে। তারা এক এক করে সবাইকে মেরে ফেলবে, তার বাঁচার আর কোন সম্ভাবনা নেই। সে তার ফেসবুকের লাস্ট স্ট্যাটাসে বলেছিল, সে তার বন্ধুদের সাথে নিয়ে গরিব লোকদের হেল্প করার জন্য এথিকাল এপারেল নামে এক গার্মেন্টস বিজনেস শুরু করার উদ্যোগ নিয়েছে। মেয়েটির নাম তারিশি জেইন। তার স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি। অন্য কোন গুষ্টির স্বপ্ন পূরণের জন্য তাঁকে চলে যেতে হয়েছে অচেনা এক দুঃস্বপ্নের নগরীতে।
একবার এক ছেলের স্ট্যাটাসে দেখছিলাম, বয়ঃসন্ধিতে মেয়েদের মুখে ব্রণ হলে বন্ধুরা বলে-''কিরে মুখে কি লাগাইতেছছ? ফেয়ার এন্ড লাভলী নাকি তিব্বত ক্রিম? এইটা বদলায়া মাস্টার গার্ড লাগা।'' আর ছেলেদের মুখে ব্রণ হলে জিজ্ঞাস করে-''মামা আজকে কয়বার মারলি? মুখে এতো ব্রণ কেন?'' বিষয়টা সত্য নাকি মিথ্যা বা এর কোন প্রভাব ব্রণের উপর আছে কি নেই, সেটা আমার জানা নেই। তবে বেশিরভাগ ছেলেরা যে হাত মারে এটা সত্য। অবিবাহিত কোন ছেলে হাত মারে না এটা শুনলে বন্ধুরা ক্ষেপায়, তুই পুরুষ নাকি হিজরা? এক পরিচিত ছেলে বলেছিল স্কুলে থাকতে জুঁই না কোন নারিকেল তেলের বোতলে উন্নত বক্ষা নারীর ছবি দেখে সে হাত মারতো প্রতিদিন। কেউ কেউ ম্যাগাজিনে নারীর ছবি দেখে, পছন্দের কোন নারীর কথা ভেবে বা চটি পরেও হাত মারে। এখন তো পর্ন ছাড়া মোবাইল পাওয়া আর আকাশের চাঁদ পাওয়া একই কথা।
মেয়েদের ক্ষেত্রে এই বিষয়টা এপ্রোভাল না। কারণ তাদেরকে হাইমেন অক্ষত রাখতে হয় বা পুরুষেরা তাদেরকে সন্তুষ্ট করবে বা তারা অসতী হয়ে যাবে, এরকম একটা ধারণা বিদ্যমান। তারমানে এই নয় যে মেয়রা স্বমেহনে অভ্যস্ত হয় না। তারাও কাজটা করে হয়তো, তবে সংখ্যাটা ছেলেদের তুলনায় অনেক কম। বিষয়টা মেয়েরা গোপন রাখতেও পছন্দ করে। একবার নাকি ইডেন কলেজের হলের খাবারের রুমে বস্তার বস্তা বেগুণ পাওয়া গিয়েছিল। গল্পটা বানানো নাকি সত্য জানি না, আমার ধারণা বানানো। সেজন্য ইডেনের মেয়েদের নিয়ে দুর্নাম আছে, তারা বেগুণ মারে। ছেলেরা যদি যখন ইচ্ছা তখন হাত মারতে পারে মেয়েরাও যখন ইচ্ছা তখন স্বমেহন করতে পারে। মেয়েদেরকে এইসব ধরা বাঁধা নিয়ম থেকে বেরিয়ে এসে নিজের যৌনতার প্রতি নিজেদের সচেতন হওয়া উচিত। কোন এক সুপুরুষ এসে আমাকে রক্তাক্ত করে প্রথম যৌনতার সাধ দেবে সেটার জন্য বসে না থেকে নিজের ইচ্ছেমত নিজের শরীরকে উপভোগ করা উচিত, নিজেকে বঞ্চিত করার মানে নেই। নিজের শরীরের সুখের ব্যাপারে মেয়েদেরকে পুরুষ দের থেকে শেখা উচিত। এটাই স্বাভাবিকতা। অস্বাভাবিক জীবনযাপন শরীর ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
আর একটা কথা। আমার মনে হয় ষাঁড়ের মত সুঠাম সাঠাম শরীরের পুরুষ থেকে ছিমছাম, স্লিম পুরুষই মেয়েদের জন্য উপভোগ্য। এদেরকে ইচ্ছেমত দলানো মোচড়ান যায়। আজ থেকে বিশ ত্রিশ বছর পরে মহিষ টাইপের ফিগারের ধারণা থেকে ছেলেরা হয়তো জিরো ফিগারের দিকে ঝুঁকবে। সেক্ষেত্রে মেয়েদের চাহিদার কথা না বললে, ছেলেরা নিজেদের ধ্যান ধারণা অনুযায়ী নিজেদের সৌন্দর্যের মাপকাঠি গড়বে। মেয়েরা কেমন পুরুষ পছন্দ করে, কেমন পুরুষ তাদের উপভোগ্য সেটাও তারা বলতে শিখুক। মোটা পেট ওয়ালা পুরুষদেরকে বলতে শিখুক তারা একেকটা আটার বস্তা বা সারা শরীরে লোম ভর্তি পুরুষদের বলতে শিখুক তারা বনমানুষের মত। তা না হলে ছেলেরাও তাদের সৌন্দর্যের ব্যাপারে সচেতন হবে না।

হয়তো--
আমি কিছুটা ধীর হব
তুমি আরো স্থির হবে।
ভালবাসা উবে গিয়ে
দূরত্বটাই নীড় হবে।
জঙ্গিবাদ যেভাবে ভুলিয়ে দেয় পুরুষতন্ত্রঃ
আশা করি অন্য কোন নতুন বাদ এসে ভুলিয়ে দিবে জঙ্গিবাদ। তখন জঙ্গিবাদ পুরুষতান্ত্রিক অত্যাচারের মত ভাত মাছ হবে। আর নারীরা হবে অন্য কোন গ্রহের বাসিন্দা।
আজকের খবর:
১) গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় আইরিন জামান (২২) নামে এক গৃহবধূর পায়ের রগ কেটে দিয়েছে নাহিদ হাওলাদার (২২) নামে এক বখাটে যুবক।
২) চট্টগ্রামে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৩) ঢাকার বাসিন্দা আরিফের সঙ্গে মোবাইল ফোনে পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে বরিশালের এক কিশোরীর। ১২ বছরের ওই কিশোরী প্রেমিকা প্রেমের টানে আরিফের সাথে ঢাকায় দেখা করতে এসে ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
৪) বগুড়ার গাবতলীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রুবি বেগম (২৫) বেগম নামে এক গৃহবধূকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার মাদকাসক্ত স্বামী।
একসময় কমার্স কলেজের ছাত্রছাত্রীদের প্রতিদিনের পাঁচটি সংবাদপত্রের খবর ক্লাসে দাঁড়িয়ে বলতে হতো(এখনো নিয়মটা আছে কিনা জানি না)। নারী নির্যাতন বিষয়ে সবাই একটা কমন খবর ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলতো-- ''গলাচিপায় গৃহবধূকে গলাটিপে হত্যা।'' খবরটা অনেকদিন হলো পত্রিকায় দেখি না। সেটা কি আগের থেকে নারী নির্যাতন-হত্যা ইত্যাদি বেড়েছে বলে? নাকি সংবাদপত্রগুলো নারী নির্যাতন বিষয়ক নতুন নতুন মিথ্যে খবর ছাপিয়ে হিট খায় কে জানে!
আমার প্রোফাইল পিকে একটা টিশার্ট দেখে সবাই আবিষ্কার করছে এটা নাকি উলঙ্গ ছবি, এখানে নাকি নাইস নাইস দুধ দেখা যাচ্ছে। ড্রয়িং দেখে ওরা বুঝেছে এটা দুধ, নাইস দুধ। কিশোরীর স্তনও ওদের কাছে দুধ, স্তন্য-দানকারী মায়ের স্তনও ওদের কাছে দুধ, বৃদ্ধার নুইয়ে যাওয়া স্তনও ওদের কাছে দুধ। বহির্বিশ্বে কিন্তু ব্রেস্টকে মিল্ক বলতে আমরা কখনো শুনি না। টিশার্টে সাপ, ব্যং, গরু, গাধা, ছাগল, বেড়ালের ছবি থাকলে এই লোকটির সাপ, ব্যং, গরু, গাধা, ছাগল, বেড়ালের ছবিটা দারুন- সেটা কাউকে বলতে শুনিনি। এদেশি ভাউ ব্রাদারদের স্তনকে দুধ বলাটা, ধর্ষণের খবর পড়ে হাত মারার মত নোংরা মনে হয়। এ সমস্তই আমাদের অশিক্ষা, কুশিক্ষা, বিকৃত মনো-ভাবাপন্ন মস্তিষ্কের বহিঃপ্রকাশ।
১৯৩৪ সালে পুরুষদের এরেস্ট করা হতো টপ-লেস হওয়ার জন্য, ২০১৬ তে এসেও নারীদের এরেস্ট করা হয় টপ-লেস হওয়ার জন্য। ইতিহাস দেখলে আশা করা যায়, মেয়েদের টপ-লেস হওয়াটা এখন সময়ের দাবী! মেয়েরা শুধু সজ্জায় টপ-লেস হবে, অন্যসময় নয়; এটা পুরো বিশ্বজুড়ে পুরুষতান্ত্রিক নিষ্ঠুরতার এক কুৎসিত প্রতিফলন। এবিষয়ে একটা সাক্ষাৎকারে এক লোক বলতে শুনেছি,''মেয়েদের টপ-লেস দেখতে সব মানুষই পছন্দ করে, এটা সুন্দর! সুন্দরকে রেস্টিকটেড করে রাখার অধিকার কারোর নেই।''
আমার কাছে অস্বীকার,
আমার প্রতি অবহেলা,
আমার উপর অনীহা,
আমার সাথে মিথ্যে খেলা--
এসবের মানে হলো--
অন্যেরা যে চুড়ায় পৌঁছেছে,
সেখানে আমি পৌঁছাতে পারিনা।
অন্যেরা যে সাগরে স্নান করে,
সেখানে আমার যেতে পুরো মানা।
অন্যেরা যে তোমাকে ভালবাসে,
তাকে ভালোবাসা আমার উচিত না।
বলো--
আর কত অবাঞ্ছিত হলে,
তোমার কাছে অন্যের মত 'প্রিয়'
হওয়ার যোগ্য, আমিও হতে পারব?
কদাচিৎ--
পৃথিবীর কোথাও মানুষ হত্যা হয়েছে, সেই হত্যার জন্য দায়ী যদি কোন মুসলিম হয় তবে আওয়াজ উঠে- ইসলাম শান্তির ধর্ম, মুসলিমরা কখনো টেরোরিস্ট হয় না। এই হত্যার জন্য দায়ী যদি মুসলিম নাও হয়, তবুও আওয়াজ উঠে- ইসলাম শান্তির ধর্ম, মুসলিমরা কখনো টেরোরিস্ট হয় না। এসব বলে, কয়ে, মেরে, কেটে, আদরে, আহ্লাদে, ইনিয়ে-বিনিয়ে তারা একটা কথাই বলতে চায় --পৃথিবী জুড়েই অশান্তির জয়জয়কার, একমাত্র শান্তির ছায়াতল ইসলাম; তোমরা দয়া করে ইসলামের ছায়াতলে আসো, এতেই কেবল শান্তি আর শান্তির দূতদের বসবাস।
সেদিন টিভির খবর দেখে লিখেছিলাম, গুলশানে জঙ্গিরা নারীদের উপর বীভৎস রূপে আক্রমণ করেছে। শান্তির ছাউয়েরা এসে ঘাউ ঘাউ করতেছিল, এই খবর নাকি আমি বানিয়েছি। ইসলামকে কলঙ্কিত করাই আমার লক্ষ্য। আজকের সমকালের খবর, তারিশি মৃত জেনেও তার সারা শরীরে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে জখম করা হয়েছে, তারা সারা শরীরে ৩০-৪০ টি আঘাতের চিহ্ন। যে দশজন নারী আর্টিজানে মারা গেছে তাদের সবাইকে অন্যদের থেকে বেশি আঘাত করা হয়েছে। অনাগত সন্তানের দোহাই দিয়েও রক্ষা পায়নি ইতালিয়ান সাত মাসের গর্ভবতী নারী মারিয়া বোরিলি। ঊটপুতেরা মানুষ বুঝে না শান্তি বুঝে। তাদের কথায় আচার আচরণে এমন একটা ভাব, জঙ্গিরা তাদের আপন মায়ের পেটের ভাই, এদের বিরুদ্ধে আমি অপপ্রচার চালিয়ে ইসলামের শান্তি নষ্ট করতেছি। তোদের লজ্জা করে না? হারামীর জাত-- মানুষ মারোস আবার শান্তি শান্তি বলে কাউ কাউ করস! আরে তোদের শান্তি আমি কি নষ্ট করব, তোদের জাত ধর্মের ভাই ব্রাদাররাই শান্তিকে ধরে তোদের বাপেদের পেছন দিয়ে ঢুকিয়ে দিয়েছে। ছুদির ইসলামের রক্তের ভাউ ব্রাদারদের পারলে কে কিছু বল, তারা তোদের শান্তিকে কেন অশান্তি বানাচ্ছে?
কাল রাতে প্যারিসে আবার একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে গেল। সেজন্য সেদেশের প্রেসিডেন্ট বলেছে, ''এশার নামাজ না পরে যারা বেপর্দা হয়ে, মদ খেয়ে রাস্তায় উৎসব করতে নামে, তাদের এমন পরিণতি হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না। পুলিশি তদন্ততে এসেছে, সে রাস্তায় কিছু নাস্তিক ব্লগার ছিল। তারা পর্ণ লেখালেখি করতো বিধায় তাদের মৃত্যুতে এতো শোকের কিছু নেই। তাছাড়া জাতীয় উৎসবে রাস্তায় নামা ফ্রান্সের লোকজনের একটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ড্রাইভার মুসলিম হলেও তার ফরেনসিক রিপোর্ট বলছে, হামলার আগে সে দুই পোটলা ক্যাপ্টাগণ ট্যাবলেট খেয়েছে বিধায়, সে তার হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে এমন কান্ড ঘটিয়েছে।। তবে এই বিষয়ে আরও তদন্ত চলছে। আমরা আগেও বলেছি, এখনো বলছি- ফ্রান্সে কোন জঙ্গি নাই। ফ্রান্সের জনগণ শান্তিকামী, তারা জঙ্গিবাদ সমর্থন করে না। ফ্রান্সের উন্নয়নের জোয়ারকে বিশ্বব্যাপী কলঙ্কিত করার জন্য বিরোধী দল এই হামলা চালাতে পারে বলেও সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে এর সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নাই। ইসলাম ধর্মের লোকজন এশার নামাজ বাদ দিয়ে যে মানুষ হত্যা করতে পারে না, সেটা আমরা আগেও বলেছি। এতেই প্রমাণিত হয় এই ড্রাইভার মুসলিম না। তাছাড়া লরির ড্রাইভাররা কখনো মুসলিম হয় না।''
অন্যদিকে ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এক বিবৃতি বলেছে, ''ফ্রান্সে কোন টেরোরিস্ট এটাক হয় নাই, এটা বরাবরের মতই একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ফ্রান্সের জনগণদের বোঝা উচিত--শুধু ফ্রান্স কেন? এরকম ঘটনা বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের মত দরিদ্র দেশেও হচ্ছে। ফ্রান্সের জনগণদের এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে পাত্তা দেয়াটা মোটেও উচিত না। তবে মানুষ গুলো কেন দৌড়ে পালাতে পারল না, গাড়ির নিচেই চাপা পরলো, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তারা কি আসলেই মারা পরেছে, নাকি নিজেরাই সুইসাইড করেছে সেটাই এখন দেখার বিষয়।''
আফসোস! আমার দেশের শান্তির ছত্রছায়ায় আশ্রিত ইমানদার মুমিন মুসলিম জনগণ, মন্ত্রী, এমপিরা সহ স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও যদি গুলাশান হামলাটাকে বেশি সিরিয়াসলি টেরোরিজম হিসেবে না নিয়ে, ফ্রান্সের মত হালকাভাবে নিতো; তবে বিশ্বের দরবারে দেশের ভাবমূর্তিটা আর নষ্ট হতো না।

Thursday, July 7, 2016

ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি ইসলাম ধর্মই একমাত্র সত্য ও ঈশ্বর প্রদত্ত ধর্ম; আর সব ধর্ম মিথ্যা বলে মানেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি অন্যান্য সব ধর্ম ও বিজ্ঞান ফেলে ইসলামই একমাত্র পরিপুর্ণ জীবন বিধান বলে মেনে চলেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি মোনাজাতে কেবলমাত্র মুসলিম উম্মাহর শান্তি প্রার্থনা করেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম যদি আপনি বোরকা হিজাব পরে ঘর নিজেকে পর্দায় রাখেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি নির্ধারিত চৌদ্দ-জন পুরুষ ছাড়া অন্য পুরুষের সাথে দেখা সাক্ষাত কথা না বলেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি আজানের সময় মাথায় কাপড় দেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি কোরান হাদিস মেনে সুন্নত ফরজ সব পালন করে জীবনযাপন করেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি চিত্রকর্মকে জীবনে এলাউ না করেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি কখনো গান না শুনেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি কখনো টিভি না দেখেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি নাচানাচিকে হারাম মনে করেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি আল্লাহ প্রদত্ত শরিয়া আইন মেনে চলেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম যদি আপনি পায়খান প্রস্রাবের পর ঢিলা কুলুপ নেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি আপনার স্বামীকে দাসী সঙ্গম এবং বহুবিবাহে অনুমতি দেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি বিধর্মীদের সাথে বন্ধুত্ব না করেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি প্রতিনিয়ত আল্লাহকে ভয় করতে থাকে।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি জীনে বিশ্বাস করেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি সূর্য রাতের বেলা আল্লার আরশের নিজে অসৎ যায় বিশ্বাস করেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি চন্দ্র ও সূর্য এঁকে অপরের পেছনে ছুটাছুটি করে বিশ্বাস করেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি পৃথিবী সমতল বিশ্বাস করেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি পৃথিবী ছয় দিনে সৃষ্ট বিশ্বাস করেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি কোরান বৈজ্ঞানিক গ্রন্থ বলে মানেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি ছয়-নয় বছরের মেয়ে শিশু বিবাহের যোগ্য বিশ্বাস করেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম যদি আপনি, নারী পুরুষের হাড় থেকে সৃষ্ট বিশ্বাস করেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি জীবনে শুকর মদ না খান।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি পালক পুত্রের বউকে বিয়ে করা যায় মেনে নেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি নবী চৌদ্দ পনেরটা বিয়ে করেছেন নারীর উপকারের জন্য, সেক্সের জন্য নয় বিশ্বাস করেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি ইসলাম রক্ষার জন্য জিহাদ সমর্থন করেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি কবিতা লেখা হারাম জ্ঞান এবং কবির পেট পুঁজে ভর্তি বিশ্বাস করেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি বউ পেটানো অনুমোদন দেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি বোনকে ভাইয়ের অর্ধেক সম্পত্তি দেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি হস্তমৈথুন ও গর্ভপাতকে হারাম মনে করেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি রজঃস্রাবের সময় নারীকে নাপাক মনে করেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি চুরির শাস্তি হাত কাটা মেনে নেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি সুদ ঘোষ কে হারাম বলে মানেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি পরকালের রুপকথায় বিশ্বাস করেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি ধর্ষণে চারজন সাক্ষী রাখেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি নারী নেতৃত্ব হারাম মনে করেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি গণতন্ত্রে না মেনে আল্লাহ প্রদত্ত বিধান শরিয়াহ্‌ মেনে চলেন।
এগুলো যদি আপনি সঠিকভাবে মেনে চলেন তবে ইসলাম অবশ্যই একটি শান্তির ধর্ম। আর এর কোনটা না মানলে ইসলাম কি আর শান্তির ধর্ম থাকে?