একবার এক ছেলের স্ট্যাটাসে দেখছিলাম, বয়ঃসন্ধিতে মেয়েদের মুখে ব্রণ হলে বন্ধুরা বলে-''কিরে মুখে কি লাগাইতেছছ? ফেয়ার এন্ড লাভলী নাকি তিব্বত ক্রিম? এইটা বদলায়া মাস্টার গার্ড লাগা।'' আর ছেলেদের মুখে ব্রণ হলে জিজ্ঞাস করে-''মামা আজকে কয়বার মারলি? মুখে এতো ব্রণ কেন?'' বিষয়টা সত্য নাকি মিথ্যা বা এর কোন প্রভাব ব্রণের উপর আছে কি নেই, সেটা আমার জানা নেই। তবে বেশিরভাগ ছেলেরা যে হাত মারে এটা সত্য। অবিবাহিত কোন ছেলে হাত মারে না এটা শুনলে বন্ধুরা ক্ষেপায়, তুই পুরুষ নাকি হিজরা? এক পরিচিত ছেলে বলেছিল স্কুলে থাকতে জুঁই না কোন নারিকেল তেলের বোতলে উন্নত বক্ষা নারীর ছবি দেখে সে হাত মারতো প্রতিদিন। কেউ কেউ ম্যাগাজিনে নারীর ছবি দেখে, পছন্দের কোন নারীর কথা ভেবে বা চটি পরেও হাত মারে। এখন তো পর্ন ছাড়া মোবাইল পাওয়া আর আকাশের চাঁদ পাওয়া একই কথা।
মেয়েদের ক্ষেত্রে এই বিষয়টা এপ্রোভাল না। কারণ তাদেরকে হাইমেন অক্ষত রাখতে হয় বা পুরুষেরা তাদেরকে সন্তুষ্ট করবে বা তারা অসতী হয়ে যাবে, এরকম একটা ধারণা বিদ্যমান। তারমানে এই নয় যে মেয়রা স্বমেহনে অভ্যস্ত হয় না। তারাও কাজটা করে হয়তো, তবে সংখ্যাটা ছেলেদের তুলনায় অনেক কম। বিষয়টা মেয়েরা গোপন রাখতেও পছন্দ করে। একবার নাকি ইডেন কলেজের হলের খাবারের রুমে বস্তার বস্তা বেগুণ পাওয়া গিয়েছিল। গল্পটা বানানো নাকি সত্য জানি না, আমার ধারণা বানানো। সেজন্য ইডেনের মেয়েদের নিয়ে দুর্নাম আছে, তারা বেগুণ মারে। ছেলেরা যদি যখন ইচ্ছা তখন হাত মারতে পারে মেয়েরাও যখন ইচ্ছা তখন স্বমেহন করতে পারে। মেয়েদেরকে এইসব ধরা বাঁধা নিয়ম থেকে বেরিয়ে এসে নিজের যৌনতার প্রতি নিজেদের সচেতন হওয়া উচিত। কোন এক সুপুরুষ এসে আমাকে রক্তাক্ত করে প্রথম যৌনতার সাধ দেবে সেটার জন্য বসে না থেকে নিজের ইচ্ছেমত নিজের শরীরকে উপভোগ করা উচিত, নিজেকে বঞ্চিত করার মানে নেই। নিজের শরীরের সুখের ব্যাপারে মেয়েদেরকে পুরুষ দের থেকে শেখা উচিত। এটাই স্বাভাবিকতা। অস্বাভাবিক জীবনযাপন শরীর ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
আর একটা কথা। আমার মনে হয় ষাঁড়ের মত সুঠাম সাঠাম শরীরের পুরুষ থেকে ছিমছাম, স্লিম পুরুষই মেয়েদের জন্য উপভোগ্য। এদেরকে ইচ্ছেমত দলানো মোচড়ান যায়। আজ থেকে বিশ ত্রিশ বছর পরে মহিষ টাইপের ফিগারের ধারণা থেকে ছেলেরা হয়তো জিরো ফিগারের দিকে ঝুঁকবে। সেক্ষেত্রে মেয়েদের চাহিদার কথা না বললে, ছেলেরা নিজেদের ধ্যান ধারণা অনুযায়ী নিজেদের সৌন্দর্যের মাপকাঠি গড়বে। মেয়েরা কেমন পুরুষ পছন্দ করে, কেমন পুরুষ তাদের উপভোগ্য সেটাও তারা বলতে শিখুক। মোটা পেট ওয়ালা পুরুষদেরকে বলতে শিখুক তারা একেকটা আটার বস্তা বা সারা শরীরে লোম ভর্তি পুরুষদের বলতে শিখুক তারা বনমানুষের মত। তা না হলে ছেলেরাও তাদের সৌন্দর্যের ব্যাপারে সচেতন হবে না।
No comments:
Post a Comment