Tuesday, July 5, 2016

বিবিসির কাছে ‪#‎প্রধানমন্ত্রী‬ জোকসঃ
১. শেখ হাসিনা বলেছেনঃ //মেয়েদের শিক্ষা ও কাজ দিলে বাল্য বিবাহ কমবে// । আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার সনদ অনুযায়ী (বাংলাদেশ এতে অনুস্বাক্ষর করেছে) ১৮ এর নীচের বয়সীরা শিশু হিসাবে স্বীকৃত। অন্যদিকে সরকার মেয়েদের বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স ১৬ চিন্তা করেছেন । তবে কি দেখা যাচ্ছে সরকার একদিকে নিজে বাল্য বিয়ের বা শিশু বিয়ের বৈধতা দিতে চাচ্ছেন আবার আবার অন্যদিকে বাল্য বিবাহ কমানোর উপায় বাতলে দিচ্ছেন । হাস্যকর !
বাংলাদেশ এখনো ধর্মনিরপেক্ষ আছে বলে তিনি মনে করেন কি না? এরকম প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন ,// ১৯৭৫ সালে আমার বাবাকে হত্যার পর সামরিক শাসক দেশের ক্ষমতা নেয়। তারা সংবিধান সংশোধন করে এবং সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দটি বাদ দেয়। আমার দ্বিতীয় দফা শাসনামলে আবার ধর্মনিরপেক্ষতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করি।// দেশে ব্ল্যাশফেমী আইন বহাল আছে এখনো । যেদেশে প্রতিটা ওয়াজ মাহফিল এ ইসলাম বাদে দুনিয়ার অন্য সব ধর্মের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর পরও ব্ল্যাশফেমীতে কোন বিচার করা হয় না । অথচ ইসলামের বিরুদ্ধে কোন পোষ্ট দিলে/ কথা বললে বা লিখলে নির্দ্বিধায় সংখ্যালঘুদের বাড়ি জ্বালানো হয় । এসবের কোন বিচার হয় না । কিন্তু লতীফ সিদ্দীকিকে গত পরশু হেফাযতে ইসলাম প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়ে যায় এবং সে ইসলামের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করায় তাকে জেল জরিমানা পোহাতে হয় ব্লগারদের দিনে দুপুরে চাপাতি দিয়ে কেটে কল্লা ফেলে দেয়া হয় । দেশ কি তবে ইসলাম ধর্মের পক্ষে নিরপেক্ষ ?বাংলাদেশ এখনো ধর্মনিরপেক্ষ!! হাস্যকর !
জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে: তিন ব্লগারের ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে প্রশ্ন করা হয়, সরকারের সঙ্গে জঙ্গি ইসলামপন্থীদের কোনো সমস্যা আছে কি না। উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, //বিএনপি জঙ্গিদের উৎসাহিত করেছে। আমাদের দুজন সাংসদকে হত্যা করা হয়েছে। আমিও আক্রান্ত হয়েছি। আমি সরকার গঠন করার পর থেকে সন্ত্রাসী বা উগ্রপন্থীদের ছাড় না দেওয়ার কথা ঘোষণা করি।// প্রধানমন্ত্রী বলেন, //জঙ্গিবাদ দমনের বিষয়টি অনেক কঠিন হলেও এখন তা নিয়ন্ত্রণে আছে।//
হুম সেটা হেফাজতের হুমকি, আনসারুল্লার হুমকি আর আজকের পত্রিকার বা টিভির খবরের নতুন নতুন জঙ্গির খবর দেখলেই বুঝা যায় । তবুও যদি বলা হয় জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রনে ,তবে তা হাসির উদ্রেকের জন্য যথেষ্ট ।
তিনি আরো বলেছেন//, ‘একটি বা দুটি ঘটনা ঘটতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে কী হয়েছে? তাহলে আমরা কি ওই দেশটিকে কেবল সন্ত্রাসীদের দেশ বলব? মোটেও তা নয়।’// প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে কয়টা লেখক বা ব্লগার হত্যার খবর জানেন ? উনি কি সন্ত্রাসী আর জঙ্গি কে একি পাল্লায় মাপছেন বা একি সংজ্ঞায় ফেলছেন ? যেমন করে জামাত শিবির পেট্রোল বোম মারলে অথবা অভিজিৎ বাবু অনন্তের খুনিদের দুর্বৃত্ত বলা হয় ?
জঙ্গিদের হত্যাকাণ্ডের তালিকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, //আমরা তালিকার ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় সব ব্যবস্থা নিয়েছি। এ ছাড়া, ওই তালিকা যারা বানিয়েছে, তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। //
শেখ হাসিনা লিস্টেড কত জন ব্লগারকে নিরাপত্তা দিয়েছেন কেউ কি সেই খবর জানেন বা শুনেছেন? বাবু হত্যার পর খুনিরা যে সাথে সাথে ধরা পরলো তাদের বিচার প্রক্রিয়ার কতদুর কি ?
অভিজিৎ এ র জন্য এফবি আই পর্যন্ত আসলো খুনি কই ? প্রশাসন আছে কেন ? খুনি ধরতে কি সাত পাঁচ দিন লাগে ? এই যে হেফাযত বা আনসারুল্লাহ হুমকি দিচ্ছে এদের কে ধরা হচ্ছে না কেন ? নাকি খুনি নিজে এসে যদি বলে যে, ''আমি খুন করেছি বা আমিই তালিকা বানিয়েছি '' তবেই সরকার বলবে আমাদের খুঁজে বের করা যথার্থ হয়েছে ? কৌতুক আর কাকে বলে !?

No comments:

Post a Comment