Sunday, July 24, 2016

ধর্ম নিয়ে হৈ হুল্লা পক্ষে বিপক্ষে মতবাদ, কথা কাটাকাটির শেষ নেই। এক শ্রেণী ধর্মকে মানবিক করতে চায়, এক শ্রেণী ধর্মকে তার জায়গায় অটুট রাখতে চায়, এক শ্রেণী ধর্ম বেঁচে খায়, এক শ্রেণী ধর্মকে পুরোই বাদ দিতে চায়, এক শ্রেণী ধর্মের কারণে মারা পরে, এক শ্রেণী ধর্মের কারণে মারে, আরেক শ্রেণী ধর্মের কারণে মারা খায়।
ধর্মের মত পুরুষতন্ত্র একটা বর্বর, অমানবিক এবং অপ্রয়োজনীয় বিধান। যা না থাকলে মানুষের নিত্যদিনের কর্মের অথবা বাঁচা মরার কোন হেরফের হবে না। ধর্ম নিয়ে এতো শত দল থাকলেও, এই পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ(নারী পুরুষ) পুরুষতন্ত্রের ক্ষেত্রে সবাই একদল, সবাই একজোট, ছিটে ফোটা বৃষ্টিতেও সব পুরুষতন্ত্রের বাপের ছাওয়েরা এক ছাতার নিচে আশ্রয় নেয়।। এখানে তাদের কোন বিভাগ নাই, শ্রেণী নেই, জাত নেই, ধর্ম নেই, মসজিদ-মন্দির-গির্জা নেই বা এখানে তাদের কোন আলাদা অস্তিত্ব নেই। বিশ্বব্যাপী তাদের একটাই প্রতিষ্ঠান, একটাই সংঘটন-সেটা হলও তাদের ইউনিটি। এখানে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খৃষ্টান, আস্তিক, নাস্তিক সব এক বাপের পোলা, তাদের সবার একটাই শক্তি, তা হলও 'একটাই বল'।
যে বা যারা ওই দল থেকে বের হয়ে পুরুষতন্ত্র এবং পুরুষের প্রতিবাদ করবে তারা হয় উঠে হয় তুমুল পুরুষ বিদ্বেষী, নয় তার কোন কাজকাম নাই তাই তারা ফ্যাশন করে, নয়তো তারা বিশ্বে-বেশ্যা। ধার্মিক বাদে স্যকুলাররাও এমন চিন্তা লালন করে। তারা সারাদিন খেয়ে না খেয়ে ধর্মকে ধুতেই থাকে-ধুতেই থাকে। তার পাশাপাশি পুরুষতন্ত্রকে বগলে করে ধর্ম-মুক্তির ধ্বজা উড়িয়ে নারীকে ঠিকঠাক-মত মারা খাওয়ায়। তাদের জন্য বরাদ্দ হলো মহাবিশ্ব পরিমাণ লজ্জা এবং ঘৃণা!
জাতিসংঘ এক প্রতিবেদনে বলেছে, বয়স ২০ হবার আগেই সারা পৃথিবীতে প্রতি ১০ জন মেয়ে শিশুর একজন ধর্ষিত অথবা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন, শিক্ষক, অচেনা ব্যক্তি ছাড়াও এমনকি পরিবারের ঘনিষ্ঠ মানুষদের দ্বারাও এসব ঘটনা ঘটে।
মেয়ে শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন হয় কার হাতেঃ
50% ক্ষেত্রে বাবা -মা বাদ দিয়ে পরিচিত, আপন, পারিবারিক আত্মীয় বা বন্ধুর হাতে ।
25% ক্ষেত্রে বাবা , বায়োলজিকাল অথবা সৎ বাবার হাতে । বাবা/মার প্রেমিকও এই খানে অন্তরভুক্ত ।
25% ক্ষেত্রে উপরের লোক জন বাদ দিয়ে , অন্য কেউ ।
বাবা যখন ধর্ষক হয় তখন নারী জাতির আর ভরসা করার মত জগতে কোন জায়গা অবশিষ্ট থাকে না । আমাদের দেশেও এরকম ঘটনা অনেক আছে, শুধু প্রকাশ হয় না । খবরটি দেখুন লিংক এ দেও্য়া হল ।
-----------
চিঠিটি খোলার আগেও শিক্ষক জানতেন না কী ভয়াবহ বার্তা দিয়েছে মেয়েটি। শিক্ষকের টেবিলে চুপিচুপি ছুটির আবেদন দিয়ে চলে গিয়েছিল সে। যাতে লেখা ছিল প্রতিদিন তাকে ধর্ষিত হতে হয় বাবার দ্বারা। সবকিছু জেনেও চুপ করে থাকেন তার মা। তাই অবশেষে শিক্ষকের দ্বারস্থ হয়েছে কিশোরী মেয়েটি। চিঠি পড়েই এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন শিক্ষক। তাদের সাহায্যেই বাবা, মায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় ধর্ষণের অভিযোগ।
গত সপ্তাহে লেখা চিঠিতে ১৩ বছরের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীটি জানিয়েছিল, আমার বাবা আমাকে ধর্ষণ করে, মা সব জেনেও আমার সাহায্যে এগিয়ে আসেন না। চিঠি পড়েই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছে ছুটে যান শিক্ষক। সোমবার অভিযোগ দায়ের হয়েছে মুম্বইয়ের ভাসি থানায়। পুলিসা জানিয়েছে অভিযুক্ত বাবা একজন ফল বিক্রেতা। বয়স ৪৫ বছর।
পুলিসের কাছে বিবৃতিতে মেয়েটি জানিয়েছে, "মায়ের সামনেই বাবা আমাকে ধর্ষণ করতো। তারপর মাঝে মাঝেই মা আমাকের একটা করে ওষুধ খেতে দিতো। আমার যখন ৭ বছর বয়স তখন থেকে চলে আসছে এই ঘটনা। মা কখনই আমাকে সাহায্য করেনি।" অভিযোগকারিনী মেয়েটির এক দিদি, এক দাদা ও দুজন ছোট ভাই রয়েছে। অন্য ভাইবোনরা বাড়িতে যখন থাকতো না তখনই তাকে ধর্ষণ করা হতো বলে জানিয়েছে সে। মায়ের সাহায্য না পেয়ে বড় দিদির(১৭) কাছে ছুটে গিয়েও লাভ হয়নি। কারণ, দিদিও ছিল একই পরিস্থিতির শিকার। প্রতিবেশীদের জানালে তারাও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
পুলিস জানিয়েছে, নভি মুম্বইয়ের কিছু স্কুলে কয়েকটি এনজিও শিশুদের যৌন নির্যাতন নিয়ে কাউন্সেলিং সেশন করেছিল। তারপরই সাহস সঞ্চয় করে মেয়েটি। তার বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। আপাতত একটি চিলড্রেন্স হোমে রয়েছে মেয়েটি।http://zeenews.india.com/bengali/nation/teenage-gils-writes-to-teacher-how-she-was-raped-by-father_129837.html
যুক্তিঃ ধর্ষণের জন্য নগ্নতাকে দায়ী করার পরও আপনারা কেন নগ্ন হতে এতো উতলা? আপনি বলবেন কি পোষাক কেন তৈরি হয়েছে। তৈরির আগে মানুষ কি লজ্জাস্থান ঢেকে রাখার চেষ্টা করত না? আপনি বলবেন আধুনিতা । তাহলে পশুরা তো পোষাক পড়ে না, তারা কি বেশী আধুনিক?
খন্ডনঃ ধর্ষণের জন্য নগ্নতাকে দায়ী করার পর ও কেন মাদ্রাসার শিশু ও বোরকা পরা মেয়েরা ধর্ষিত হয় ? লজ্জাস্থান ঢেকে খুলে রাখার উপর ধর্ষণ নির্ভর করে না । যে ধর্ষণ করবে সে বোরকা পরা মেয়ে দেখলেও করবে , আর যে করবে না ল্যাংটা মেয়ে দেখলেও করবে না ।ধর্ষণ সম্পূর্ণ নির্ভর করে মানসিকতার উপর , কারো পোশাকের উপর নয় । আপনি বললেন পোশাকের কথা (যদিও আমি কখনো ল্যাংটা হয়ে চলার কথা কোথাও বলিনাই) । ইউরোপ এমেরিকায় মানুষদের থেকে আমরা অধিক বসন পরে কোন কোন দিক দিয়ে তাদের থেকে বেশি আধুনিক? তারা সবাই সল্প বসনে ঘোরাফেরা করে ,তাহলে কি তারা সকলেই পশু ???
এরকম নায়েকীয় যুক্তি নিয়ে মুমিনরা তর্ক করতে আসে আমার পোস্ট এ । কই যাইতাম !

Saturday, July 23, 2016

নিষিদ্ধ গাছ
গাঁজা চাষ বাংলাদেশে নিষদ্ধ। গাঁজা খাওয়ার ব্যাপারেও নিশ্চই নিষেধাজ্ঞা আছে। বাংলাদেশ পুলিশ হ্যান্ডবুক( গাজী শামসুর রহমান) প্রকাশ্যে সিগারেট খেলে ১০০ টাকা শাস্তির কথা বলা হয়েছে। গাঁজা বিষয়ে কিছু পেলাম না। প্রকাশ্যে থুথু ফেললেও ১০০ টাকা জরিমানা। রমজান মাসে মুসুল্লিদের থুথু ফেলায় কি এই আইন শিথিল হবে? গাঁজা খাওয়ার ব্যাপারে আমাদের সরকার মনে হয় নমনীয়।
গাঁজা গাছ সম্পর্কে কিছু তথ্য।
গাঁজার বৈজ্ঞানিক নাম Canabis sativa Linn. গোত্র হলো Urticacea.
গাঁজার স্ত্রী - পুরুষ আছে।দুটিতেই ফুল হয়।তবে পুরুষ গাছের মাদক ক্ষমতা নেই।
স্ত্রী গাছের পুস্পমুঞ্জুরী শুকিয়ে গাঁজা তৈরি করা হয়। এই গাছের কান্ড থেকে যে আঠালো রস বের হয় তা শুকালে হয় চরস।চরস নাকি দুর্গন্ধময় নুংরা কাঁথা গায়ে জড়িয়ে খেতে হয়।
স্ত্রী গাঁজা গাছের পাতা কে বলে ভাং। এই পাতা দুধে জ্বাল দিয়ে তৈরি হয় ভাংগের সরবত। এই সরবত ভয়ংকর এক হেলুসিনেটিং ড্রাগ।
আমার এক বন্ধু আর্কিটেক্ট করিম ভাংগের শরবত খেয়ে কলকাতার এক হোটেলে চব্বিশ ঘন্টা অচেতন হয়ে পরে ছিল। তার কাছে মনে হচ্ছিল,তার হাত ক্রমাগত লম্বা হচ্ছে। হোটেল এর জানালা দিয়ে সেই হাত ক্রমাগত লম্বা হয়ে আকাশের দিকে চলে যাচ্ছে।
গাঁজা গাছের ফুল,ফল,পাতা এবং গা থেকে বের হওয়া নির্যাসে আছে সত্তরের বেশি ক্যানাবিনয়েডস্। এগুলোর মধ্যে ক্যানাবিনল, ক্যানাবিডিওল,ক্যানাবিডিন।নাইট্রোজেন ঘটিত যৌগ ও প্রচুর আছে।
এইসব জটিল যৌগের কারণএ মাদকতা ও দৃষ্টিবিভ্রম।
মহাদেব স্বর্গে নন্দি ভৃংগিদের নিয়ে আছেন।মহাদেবের মনে সুখ নেই,কারণ কোন নেশা করেই আনন্দ পাচ্ছেন না। তিনি পৃথিবিতে নেমে এলেন নেশার বস্তুর সান্ধানে। দেখা করলেন লোকমান হেকিমের সংগে। যদি লোকমান হেকিম কিছু করতে পারেন।ইনিই একমাত্র মানুষ যার সংগে গাছপালা কথা বলে।মহাদেব ও লোকমান হেকিম বনে জংগলে ঘুরছেন,হঠাৎ একটা গাছ কথা বলে উঠলো। আমাকে মহাদেবের হাতে দিন।মহাদেবের মনোবাসনা তৃপ্ত হবে।মহাদেব গাঁজা গাছ নিয়ে স্বর্গে গেলেন। গাঁজা গাছই একমাত্র গাছ যা পৃথিবী থেকে স্বর্গে গেল।
যে বিস্তু শিব নন্দি ভৃংগিকে নিয়ে হজম করবেন আমরা তা কিভাবে হজম করব!
কাজেই 'শত হস্তেন দূরেৎ' ( শত হস্ত দূরে)।
মানুষ কর্তৃক নিষিদ্ধ গাছের কথা জানা গেল।আল্লাহ কর্তৃক নিষিদ্ধ গাছের বিষয় টা কি?
এই নিষিদ্ধ গাছের ফলের নাম 'গন্ধম'। বিবি হাওয়ার প্ররোচনায় আদম এই নিষিদ্ধ বৃক্ষের ফল খেয়েছিলেন।
সমস্যা হল গন্ধম আরবি শব্দ না। ফারসি শব্দ।পবিত্র কোরানে কোথাও এই ফলের নাম দেয়া হয়নি। হাদিসেও নাম নেই।তাহলে আমাদের কাছে এই গন্ধম কোত্থেকে এল? বাউলেরা পর্যন্ত লিখেছেন, ' এই গন্ধমের লাগিয়া..........।'
যিশুখ্রিস্ট জন্মের চারশত বছর আগে এই নিষিদ্ধ বৃক্ষ লিখলেন ইনক।তার বই এ (The sedipigraphik book of lnok) বলা হয়েছে,এই গাছ দেখতে অবিকল তেঁতুল গাছের মত,তবে সুগন্ধযুক্ত।
গ্রিক মিথ বলেছে,নিষিদ্ধ বৃক্ষের ফল হল বেদানা।
রাব্বি নেসেমিয়া বলেছেন, নিষিদ্ধ বৃক্ষের ফল হল ডুমুর।
ধর্মগ্রন্থ তালমুদ বলেছেন,নিষিদ্ধ ফল আঙুর।
প্রচীন চিত্রকলায় আদম, ইভ,এবং সর্পের সংগে যে ফলটল দেখা যায় তার নাম আপেল।
এখন তাহলে মিমাংসা টা কি?
পাদটীকা
বিষাক্ত ফলের তালিকায় আছে আপেল!
আপেলের বিচিতে থাকে বিষ।বিষের নাম সায়ানোজেনিক গ্লাইকোসাইড। একটা বিচি খেলে তেমন কিছু হয় না। একেবারে অধিক খেলে.........।
রিডিং হিজিবিজি
হুমায়ন আহমেদ।
কাল একজন আমার পোষ্ট এ মন্তব্য করল । মেয়েদের সামনের বল আছে বলে মেয়েরা দুর্বল । আরেকজন মন্তব্য করেছে ছেলেরা দৌড়িয়ে বাসে উঠতে পারে মেয়েরা পারে না , কারণ মেয়েরা দুর্বল ।
এর এই দুর্বলতার কারণে সামাজিক পারিবারিক সকল ক্ষেত্রে পুরুষেরা অগ্রাধিকার পায় । আর বাসে দৌড়ে উঠতে পাড়ে না বলেও তাদেরকে দুর্বল ভাবা হয় ।
এরা মেয়ে সম্পর্কে ধারনাই পোষণ করে এরকম । নারী জাতি মায়ের জাতি , নারী জাতি দুর্বল জাতি , নারী জাতি সহনশীল জাতি , নারী জাতি লজ্জা ভূষণ করবে , নারী জাতি অবনত জাতি, নারী জাতি ধীরে কথা বলবে , নারী জাতি মার খাবে , নারী জাতি ধর্ষিত হবে, নারী জাতি অপমানিত হবে , নারী জাতি নির্যাতিত হবে , নারী জাতি নিপীড়িত হবে , নারী জাতি গালি খাবে, নারী জাতি থেলা-ধাক্কা-উস্টা খাবে ।
একজন আট দশ বছরের ছেলে মেয়েতে শক্তির কোন তফাৎ নাই । এর পর নারীকে ঘরে পুরে দুর্বল বানানো হয় । ইউরোপে নারীদের পুরুষের সমান কোথাও কোথাও পুরুষের থেকে বেশি কাজ করতে দেখলে এরা তো হার্ট ফেইল করবে । এদেশের মেয়েরা যেভাবে জড়তা ছারা হাত পা ছেড়ে হাঁটে ও দৌড়ায়, যেভাবে উচ্চস্বরে হাসে , যেভাবে পুরুষের চেয়ে বেশি মদ আর সিগারেট খায় ,তা দেখলে তো এরা অক্কা পাবে । এখানে নারীরা দৌড়ায় শর্ট পোষাকে । এখানে মেয়েরা নিরাপদ । বাংলাদেশের মেয়েরা ইউরোপের মেয়েদের মত দৌড়ালে আপনারাই বোরকার নিচে / কামিজের নিচে বল খুঁজে বেড়াবেন , এখানের পুরুষেরা আপনাদের মত অভদ্র নয় বলে এরা দৌড়াতে পারে । এখানকার পুরুষেরা জন্মের পর নারীর শরীরের বলের দুধ খেয়ে আপনাদের মত বলের প্রতি অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না বলে এখানের নারীরা সেইফ । নারীরা দৌড়ে বাসে উঠতে পারে না ভুল কথা । তাদের গায়ে যেসব পোশাক পরানো হয়েছে তা পরে দৌড় দিলে উস্টা খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরতে হবে । আর দৌড় দিয়ে ঠালাঠেলি করলে ,আপনারাই গায়ে হাতাহাতি করে আপনার মায়ের জাতির গুষ্টি উদ্ধার করবেন । নারীর পায়ে বেড়ি পরিয়ে বলবেন দৌড়াতে পারে না , নারীকে সকাল বিকার সারা বেলা দুর্বলের ঔষধ খাইয়ে বলবেন দুর্বল, নারীকে চরিত্রহীন করে বলবেন বেশ্যা, কথাগুলা আপনাদের মত নিমকহারাম পুরুষদের মুখেই মানায় ।
মাথার ভেতরের ঘুণ পোকারা সুক্ষ সুরে মগজ কাটে,
ঘরে-বাইরে, রোদে-ঝড়ে, শুকনো-কাদায়, দিনে-রাতে ।
যার শব্দে শুধু আমারই ঘুম চলে যায়,
আর পৃথিবী সব মানুষ শান্তিতে ঘুমায় !
'জারজ' শব্দের সোজা বাংলা অর্থ যার পিতৃপরিচয় নেই/অবৈধ সন্তান । মানে কোন নারী পুরুষ বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্ক করার পরে যদি কোন সন্তান নারীর গর্ভে আসে তাকে জারজ বলে ।কোন পুরুষের বীর্য ছারা নারীর গর্ভে সন্তান আসা সম্ভব নয় । যদি আসে তবে সে যীশু মত ইশ্বরের পুত্র রুপে গন্য হবে । সাধারণত আমাদের সমাজে যেসব শিশুকে জারজ বলা হয় ,তারা জন্মের পর তাদের কোন খোঁজ খবর বীর্য প্রদানকারী পুরুষটি নেন না । সেই সন্তানের জন্মদাতা মাতা সেই সন্তান পেটে আসার পর থেকে তার মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তাকে অসতী ট্যাগ খেতে হয় । সেই সন্তান কে ধরা ছোঁয়া বা তার সাথে উঠা বসা, খেলা ধুলা, কোন পিতার সার্টিফিকেটধারী সন্তানদের করতে দেয়া হয় না ।তারা অস্পৃশ্য, অচ্ছুৎ । যেই পিতা তার সন্তানকে নিজের সন্তান বলে পরিচয় দিতে পারে না , তার পিতা হওয়া থেকে না হওয়াই ভাল । কিন্তু সমাজের সকল ক্ষেত্রে জারজ শব্দটিকে খুব ঘৃণার চোখে দেখা হয় । যেহেতু পিতার পেটে সন্তান ধারণ করেনা , তাই আলটিমেটলি এই গালিটা মায়ের উপর যায় ।
মানুষ কতটা স্বার্থপর আমি ভেবে অবাক হই । তারা মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নিয়ে আরেকজন মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেয়া সন্তান কে জারজ বলে । আমার একজন মুক্তমনা বন্ধু সেদিন বলছিলেন, আমি রাজাকার কে জারজ গালি দেই । রাজাকারকে আপনি জারজ গালি দিচ্ছেন আর সেই রাজাকারের বাচ্ছারা বা কোন ধার্মিক মুমিন আপনাকে নাস্তিক হওয়ার জন্য জারজ বলে গালি দিল । তবে ব্যাপারটা কি দাঁড়ালো? ব্যাপারটা দাঁড়ালো আপনার মা আর রাজাকার মা অসতী , মানে আপনার পিতৃপরিচয় নাই তারো নাই । দোষ কার ? আপনার নাকি আপনার মায়ের ? কোন মাই জানেন না তার সন্তান খারাপ হবেন নাকি ভাল হবেন । কেউ কেউ পরিবেশ সমাজ কুসংস্কার ইত্যাদির কারণে চরম খারাপ পথে যায় । যে যায় তার বিচার প্রাপ্য কিতু সেজন্য মা কে উদ্যেশ্য করে কাউকে জারজ গালি দেয়া নারী জাতির প্রতি হেয়ভাব ও বিদ্বেষ লালন করারই বহিঃপ্রকাশ ।
'জারজ' শব্দটি স্রেফ একটি পুরুষতান্ত্রিক গালি । যে অপরাধ নিজেরা করে দোষ চাপায় নারীর উপর ও তার গর্ভ থেকে জন্ম নেয়া সন্তানের উপর । চুরি তার উপর সিনাজুড়ি একেই বলে । আমরা যারা শুভবোধ এর চর্চা করি, সমাজের কু-প্রথার সংস্কার চাই, তাদের উচিত জারজ/বেশ্যা এসব নারী বিদ্বেষী গালি থেকে বের হয়ে আসা । সমাজের আমজনতা এসব প্র্যাকটিস করে । আমাদের উচিৎ তাদের কে শুধরানো , আমরা যদি নিজেরাই এসব শব্দ গালি হিসেবে ব্যবহার করি তবে তারা আর কি করবে !? সর্বোপরি আমিও মানুষ, আর যার পিতৃপরিচয় নেই সেও মানুষ । আমি যেভাবে জন্ম নিয়েছি সেও ঠিক একি ভাবে জন্ম নিয়েছে । আমি যেভাবে খাই ধাই চলাফেরা করি সেও তাই করে । তবে আমি সাধু আর সে অসাধু হয় কি করে ?
কারো অপরাধের ভার অন্যের উপর দিয়ে কি নিজেরা খুব ভাল সাজা যায় ? যায় না , সমাজ জানে কে অপরাধী । কিন্তু দোষ চাপায় নারীর উপর । যত গলদ নারীকে বয়ে চলতে হয় ,যত বিষ নারিকেই গিলতে হয় । ভয়ঙ্কর নারীবিদ্বেষী সমাজ এসব গালিকে তেল পানি দিয়ে লালন করে নিজেদের অপরাধের ভার নারীর উপর ফেলার জন্য এসব শব্দ নারীর ক্ষেত্রেই এপ্লাই করে । যা আমাদের সকলেরি চরম ভাবে পরিত্যাগ করা উচিত ।https://www.facebook.com/who.annopurnadebi/posts/1609339699333238

Tuesday, July 19, 2016

কোন ছেলে ভালো রান্না করতে জানে বা অমুকের স্বামী স্ত্রীকে রান্না করে খাওয়ায়, এই কথা পরিবারের সদস্যরা বড় গর্বের সাথে বলে, 'মুন্না তো রান্না পারে'। এতো কাল যাবত মেয়েরা রান্না করে পুরুষদের খাওয়াচ্ছে সেটা কারোর কাছেই তেমন কোন গর্ব করার মত বিষয় না। বরং রান্নার ভুল ধরার জন্য সকলেই উৎসুক থাকে। কোন মেয়ে যদি রান্না করে তবে তাকে নিজের পছন্দের চেয়ে ফ্যামিলির অন্যদের রুচি পছন্দ এবং চাহিদার উপর নির্ভর করে তাকে রান্না করতে হয়। মেয়েদের সবসময় এই ভয়ে তটস্থ থাকতে হয়, তরকারিতে তেল, নুন, মশলা ঠিক আছে কিনা। প্রতিদিনের রান্নায় একই ভয়, যদি খেতে ভালো না হয় তবে কপালে জুটবে ধিক্কার, তিরস্কার। মেয়ে হলে জন্মালে রান্না ভালো হতেই হবে। এ যেন অবিনশ্বর নিয়ম। মেয়েরা প্রায় প্রতিদিন রান্নার পর জিজ্ঞাস করে খাবার কেমন হলও? এতে করে ভালোবেসে খাইয়ে তৃপ্তি পাওয়ার চেয়ে বেশি কাজ করে তিরস্কার পাওয়ার ভয়। 
জগতে কত শত সাকসেস থাকলেও রান্না ভালো না হলে মেয়েদের সব সাকসেস জলাঞ্জলি যায় লোকের তিরস্কারে। পুরুষের ডিম ভাজি, ভাত টাইপের রান্না বা শেফ হলে দেশী বিদেশী কোন খাবার রান্নাকে অনেকেই গর্বের চোখে দেখে। কিন্তু তা যদি হয় কেবল এক দুই দিনের জন্য। কন্টিনিউয়াস পুরুষেরা বাসায় রান্না করাটা আমাদের কাছে খুব বেমানান। কারণ রান্নার কাজটা আপাত দৃষ্টিতে পুরুষের জন্য অপমানজনক। মেয়েদের কাজ পুরুষেরা করলে তা অপমানজনক, কিন্তু পুরুষের কাজ, যেমন-বাঁচার জন্য রেঁধে খাওয়ানোটা মেয়েরা না করলে সেটা হয় মেয়েদের জন্য অপমানজনক। কোন মেয়ে সংসারী অবস্থায় এই দায়িত্ব স্বেচ্ছায় না নিতে চাইলে তাকে সংসার করার যোগ্যতাও হারাতে হতে পারে। তখন সেটা হয়ে উঠে টিকে থাকার লড়াই, অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। সমাজের হায়েনাবেশী পুরুষের সাথে যুদ্ধ করে টিকে থাকার চেয়ে রান্না ভালো করে পরিবারের সবার মন জয় করে টিকে থাকাটাকেই তারা সহজ বলে মেনে নিয়েছে। রান্না ভালো না করে এই তিরস্কারের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার রাস্তাটা তারা খুঁজে না। এক ধরনের স্বার্থপর পঙ্গু অব্যবহৃত মস্তিষ্ক নিয়ে তারা প্রজন্মের পর প্রজন্ম কোনরকমে টিকে বাঁচতে পারলেই খুশি। এভাবে অনেক আত্মনির্ভরশীল মেয়েও ব্যক্তিত্বহীন পরগাছাতে রূপান্তরিত হয়। 
একটা মেয়ে শ্বশুর শাশুড়ির সাথে কথা বলা অবস্থায়, তার মোবাইলে ফোন আসলে যদি সে বলল, 'মা আমার একটা ফোন এসেছে-আমি একটু পরে আসছি'। তখন শ্বশুর শাশুড়ির মুখ ম্লান হয়ে যায়। যতোটা না কষ্ট পায় পর্দার শ্বশুর শাশুড়ি তার চেয়ে কষ্ট পায় টিভির দর্শক। কত বেয়াদব মেয়েরে ভাই, ফোনে কথা বলার জন্য জরুরী কথা ছেড়ে উঠে গেলো। ফোন কলটি যদি মেয়েটির স্বামীর হতো, তবে ভেবে নেওয়া হতো অবশ্যই কোন জরুরী কল ছিল। হয়তো ব্যবসা বা অফিসের কোন জরুরী কাজে পুত্রধন উঠে গেছে। সমস্ত বিষয়ে আগে নিজের ইচ্ছার চেয়ে ফ্যামিলির অন্যদের ইচ্ছার কথা ভেবে তাদের প্রতিটি একক পদক্ষেপ ফেলতে হয় প্রতিদিন প্রতিক্ষণ। দিন যত যাচ্ছে তার সাথে সাথে মেয়েদের ব্যক্তিস্বাধীনতা সহ মনের স্বাধীনতাও প্রতিনিয়ত বিসর্জন দিতে দিতে তারা এক অদ্ভুত বশ্যতার শিকার মানসিক প্রতিবন্ধী জাতিতে পরিণত হচ্ছে। এদেরকে যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে ড্রাইভ করানো এজন্যই এতো সহজ। 
বাংলাদেশে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে দাঁড়ি টুপি সম্বলিত ছেলে তেমন না দেখা গেলেও, হিজাব বোরকা-ধারী হাজারো মেয়ে দেখা যায়। স্কুল ড্রেসের সাথে একটা স্কার্ফ থাকে যা একেবারেই অপ্রয়োজনীয়। ধর্ম এবং ধর্মের নিয়ম কানুন ছেলে মেয়ে উভয়ের পালনের দায়িত্ব থাকলেও ছেলেদের থেকে মেয়েরা ধর্মটা লালন পালন করে বেশি। মেয়েদের ধর্ম পালনটা সৃষ্টিকর্তাকে যতটা না খুশি করার জন্য, তার চেয়েও বেশি প্রয়োজনীয় সমাজ ও পরিবারের মানুষদের খুশি করানোর জন্য। নিজেকে বঞ্চিত রেখে অন্যকে ভালোবাসার নামে ভণ্ডামো করে, অন্যের ভালো লাগার জন্য-অন্যের চোখে ভালো হওয়ার জন্য- অন্যকে খুশি করার জন্য-নিজের চোখে নিজেকে না দেখে অন্যের চোখে নিজেকে দেখার মত বিষয় পোশাক-আশাক, ফার্নিচার জাতীয় বস্তু তে মানায়; মানুষে নয়। https://www.facebook.com/who.annopurnadebi/posts/1742137182720155?pnref=story

Friday, July 15, 2016

মেয়েটির জন্ম ব্যাঙ্ককে, বয়স ১৯ বছর। এমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল গুলশান থেকে পড়াশোনা, এরপর এমেরিকার বার্কলির ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া তে এলএলবি তে অধ্যয়নরত ছিল। বাংলাদেশে একটা ব্যাংকে ইন্টার্নিশিপ করার জন্য এসেছিল। বাবার পোশাকের ব্যবসার কারণে তার ঢাকাতেই বসবাস। পরেরদিন চাচার কাছে ইন্ডিয়া যাওয়ার কথা ছিল। বাবা নিজেই মেয়ে ও তাদের বন্ধুদের কে রেস্টুরেন্টে নিয়ে এসেছিল। সেসময় হঠাত একটা জরুরী কাজে তাঁকে বাইরে যেতে হয়। এরপরই আর্টিজানে জঙ্গিদের হামলা শুরু হয়।
সে তার বাবাকে ফোন করে জানায়, সে অনেক ভয় পাচ্ছে; বন্ধুদের সাথে সেও রেস্টুরেন্টের ওয়াশরুমে লুকিয়েছে। সে তার চাচাকে ফোন করে বলেছিল, যারা কোরান পড়তে পারে এদেরকে একপাশে করা হয়েছে আর যারা কোরান পড়তে পারে না তাদেরকে আরেকপাশে করেছে। তারা এক এক করে সবাইকে মেরে ফেলবে, তার বাঁচার আর কোন সম্ভাবনা নেই। সে তার ফেসবুকের লাস্ট স্ট্যাটাসে বলেছিল, সে তার বন্ধুদের সাথে নিয়ে গরিব লোকদের হেল্প করার জন্য এথিকাল এপারেল নামে এক গার্মেন্টস বিজনেস শুরু করার উদ্যোগ নিয়েছে। মেয়েটির নাম তারিশি জেইন। তার স্বপ্ন আর পূরণ হয়নি। অন্য কোন গুষ্টির স্বপ্ন পূরণের জন্য তাঁকে চলে যেতে হয়েছে অচেনা এক দুঃস্বপ্নের নগরীতে।
একবার এক ছেলের স্ট্যাটাসে দেখছিলাম, বয়ঃসন্ধিতে মেয়েদের মুখে ব্রণ হলে বন্ধুরা বলে-''কিরে মুখে কি লাগাইতেছছ? ফেয়ার এন্ড লাভলী নাকি তিব্বত ক্রিম? এইটা বদলায়া মাস্টার গার্ড লাগা।'' আর ছেলেদের মুখে ব্রণ হলে জিজ্ঞাস করে-''মামা আজকে কয়বার মারলি? মুখে এতো ব্রণ কেন?'' বিষয়টা সত্য নাকি মিথ্যা বা এর কোন প্রভাব ব্রণের উপর আছে কি নেই, সেটা আমার জানা নেই। তবে বেশিরভাগ ছেলেরা যে হাত মারে এটা সত্য। অবিবাহিত কোন ছেলে হাত মারে না এটা শুনলে বন্ধুরা ক্ষেপায়, তুই পুরুষ নাকি হিজরা? এক পরিচিত ছেলে বলেছিল স্কুলে থাকতে জুঁই না কোন নারিকেল তেলের বোতলে উন্নত বক্ষা নারীর ছবি দেখে সে হাত মারতো প্রতিদিন। কেউ কেউ ম্যাগাজিনে নারীর ছবি দেখে, পছন্দের কোন নারীর কথা ভেবে বা চটি পরেও হাত মারে। এখন তো পর্ন ছাড়া মোবাইল পাওয়া আর আকাশের চাঁদ পাওয়া একই কথা।
মেয়েদের ক্ষেত্রে এই বিষয়টা এপ্রোভাল না। কারণ তাদেরকে হাইমেন অক্ষত রাখতে হয় বা পুরুষেরা তাদেরকে সন্তুষ্ট করবে বা তারা অসতী হয়ে যাবে, এরকম একটা ধারণা বিদ্যমান। তারমানে এই নয় যে মেয়রা স্বমেহনে অভ্যস্ত হয় না। তারাও কাজটা করে হয়তো, তবে সংখ্যাটা ছেলেদের তুলনায় অনেক কম। বিষয়টা মেয়েরা গোপন রাখতেও পছন্দ করে। একবার নাকি ইডেন কলেজের হলের খাবারের রুমে বস্তার বস্তা বেগুণ পাওয়া গিয়েছিল। গল্পটা বানানো নাকি সত্য জানি না, আমার ধারণা বানানো। সেজন্য ইডেনের মেয়েদের নিয়ে দুর্নাম আছে, তারা বেগুণ মারে। ছেলেরা যদি যখন ইচ্ছা তখন হাত মারতে পারে মেয়েরাও যখন ইচ্ছা তখন স্বমেহন করতে পারে। মেয়েদেরকে এইসব ধরা বাঁধা নিয়ম থেকে বেরিয়ে এসে নিজের যৌনতার প্রতি নিজেদের সচেতন হওয়া উচিত। কোন এক সুপুরুষ এসে আমাকে রক্তাক্ত করে প্রথম যৌনতার সাধ দেবে সেটার জন্য বসে না থেকে নিজের ইচ্ছেমত নিজের শরীরকে উপভোগ করা উচিত, নিজেকে বঞ্চিত করার মানে নেই। নিজের শরীরের সুখের ব্যাপারে মেয়েদেরকে পুরুষ দের থেকে শেখা উচিত। এটাই স্বাভাবিকতা। অস্বাভাবিক জীবনযাপন শরীর ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
আর একটা কথা। আমার মনে হয় ষাঁড়ের মত সুঠাম সাঠাম শরীরের পুরুষ থেকে ছিমছাম, স্লিম পুরুষই মেয়েদের জন্য উপভোগ্য। এদেরকে ইচ্ছেমত দলানো মোচড়ান যায়। আজ থেকে বিশ ত্রিশ বছর পরে মহিষ টাইপের ফিগারের ধারণা থেকে ছেলেরা হয়তো জিরো ফিগারের দিকে ঝুঁকবে। সেক্ষেত্রে মেয়েদের চাহিদার কথা না বললে, ছেলেরা নিজেদের ধ্যান ধারণা অনুযায়ী নিজেদের সৌন্দর্যের মাপকাঠি গড়বে। মেয়েরা কেমন পুরুষ পছন্দ করে, কেমন পুরুষ তাদের উপভোগ্য সেটাও তারা বলতে শিখুক। মোটা পেট ওয়ালা পুরুষদেরকে বলতে শিখুক তারা একেকটা আটার বস্তা বা সারা শরীরে লোম ভর্তি পুরুষদের বলতে শিখুক তারা বনমানুষের মত। তা না হলে ছেলেরাও তাদের সৌন্দর্যের ব্যাপারে সচেতন হবে না।

হয়তো--
আমি কিছুটা ধীর হব
তুমি আরো স্থির হবে।
ভালবাসা উবে গিয়ে
দূরত্বটাই নীড় হবে।
জঙ্গিবাদ যেভাবে ভুলিয়ে দেয় পুরুষতন্ত্রঃ
আশা করি অন্য কোন নতুন বাদ এসে ভুলিয়ে দিবে জঙ্গিবাদ। তখন জঙ্গিবাদ পুরুষতান্ত্রিক অত্যাচারের মত ভাত মাছ হবে। আর নারীরা হবে অন্য কোন গ্রহের বাসিন্দা।
আজকের খবর:
১) গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় আইরিন জামান (২২) নামে এক গৃহবধূর পায়ের রগ কেটে দিয়েছে নাহিদ হাওলাদার (২২) নামে এক বখাটে যুবক।
২) চট্টগ্রামে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
৩) ঢাকার বাসিন্দা আরিফের সঙ্গে মোবাইল ফোনে পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে বরিশালের এক কিশোরীর। ১২ বছরের ওই কিশোরী প্রেমিকা প্রেমের টানে আরিফের সাথে ঢাকায় দেখা করতে এসে ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
৪) বগুড়ার গাবতলীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রুবি বেগম (২৫) বেগম নামে এক গৃহবধূকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার মাদকাসক্ত স্বামী।
একসময় কমার্স কলেজের ছাত্রছাত্রীদের প্রতিদিনের পাঁচটি সংবাদপত্রের খবর ক্লাসে দাঁড়িয়ে বলতে হতো(এখনো নিয়মটা আছে কিনা জানি না)। নারী নির্যাতন বিষয়ে সবাই একটা কমন খবর ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলতো-- ''গলাচিপায় গৃহবধূকে গলাটিপে হত্যা।'' খবরটা অনেকদিন হলো পত্রিকায় দেখি না। সেটা কি আগের থেকে নারী নির্যাতন-হত্যা ইত্যাদি বেড়েছে বলে? নাকি সংবাদপত্রগুলো নারী নির্যাতন বিষয়ক নতুন নতুন মিথ্যে খবর ছাপিয়ে হিট খায় কে জানে!
আমার প্রোফাইল পিকে একটা টিশার্ট দেখে সবাই আবিষ্কার করছে এটা নাকি উলঙ্গ ছবি, এখানে নাকি নাইস নাইস দুধ দেখা যাচ্ছে। ড্রয়িং দেখে ওরা বুঝেছে এটা দুধ, নাইস দুধ। কিশোরীর স্তনও ওদের কাছে দুধ, স্তন্য-দানকারী মায়ের স্তনও ওদের কাছে দুধ, বৃদ্ধার নুইয়ে যাওয়া স্তনও ওদের কাছে দুধ। বহির্বিশ্বে কিন্তু ব্রেস্টকে মিল্ক বলতে আমরা কখনো শুনি না। টিশার্টে সাপ, ব্যং, গরু, গাধা, ছাগল, বেড়ালের ছবি থাকলে এই লোকটির সাপ, ব্যং, গরু, গাধা, ছাগল, বেড়ালের ছবিটা দারুন- সেটা কাউকে বলতে শুনিনি। এদেশি ভাউ ব্রাদারদের স্তনকে দুধ বলাটা, ধর্ষণের খবর পড়ে হাত মারার মত নোংরা মনে হয়। এ সমস্তই আমাদের অশিক্ষা, কুশিক্ষা, বিকৃত মনো-ভাবাপন্ন মস্তিষ্কের বহিঃপ্রকাশ।
১৯৩৪ সালে পুরুষদের এরেস্ট করা হতো টপ-লেস হওয়ার জন্য, ২০১৬ তে এসেও নারীদের এরেস্ট করা হয় টপ-লেস হওয়ার জন্য। ইতিহাস দেখলে আশা করা যায়, মেয়েদের টপ-লেস হওয়াটা এখন সময়ের দাবী! মেয়েরা শুধু সজ্জায় টপ-লেস হবে, অন্যসময় নয়; এটা পুরো বিশ্বজুড়ে পুরুষতান্ত্রিক নিষ্ঠুরতার এক কুৎসিত প্রতিফলন। এবিষয়ে একটা সাক্ষাৎকারে এক লোক বলতে শুনেছি,''মেয়েদের টপ-লেস দেখতে সব মানুষই পছন্দ করে, এটা সুন্দর! সুন্দরকে রেস্টিকটেড করে রাখার অধিকার কারোর নেই।''
আমার কাছে অস্বীকার,
আমার প্রতি অবহেলা,
আমার উপর অনীহা,
আমার সাথে মিথ্যে খেলা--
এসবের মানে হলো--
অন্যেরা যে চুড়ায় পৌঁছেছে,
সেখানে আমি পৌঁছাতে পারিনা।
অন্যেরা যে সাগরে স্নান করে,
সেখানে আমার যেতে পুরো মানা।
অন্যেরা যে তোমাকে ভালবাসে,
তাকে ভালোবাসা আমার উচিত না।
বলো--
আর কত অবাঞ্ছিত হলে,
তোমার কাছে অন্যের মত 'প্রিয়'
হওয়ার যোগ্য, আমিও হতে পারব?
কদাচিৎ--
পৃথিবীর কোথাও মানুষ হত্যা হয়েছে, সেই হত্যার জন্য দায়ী যদি কোন মুসলিম হয় তবে আওয়াজ উঠে- ইসলাম শান্তির ধর্ম, মুসলিমরা কখনো টেরোরিস্ট হয় না। এই হত্যার জন্য দায়ী যদি মুসলিম নাও হয়, তবুও আওয়াজ উঠে- ইসলাম শান্তির ধর্ম, মুসলিমরা কখনো টেরোরিস্ট হয় না। এসব বলে, কয়ে, মেরে, কেটে, আদরে, আহ্লাদে, ইনিয়ে-বিনিয়ে তারা একটা কথাই বলতে চায় --পৃথিবী জুড়েই অশান্তির জয়জয়কার, একমাত্র শান্তির ছায়াতল ইসলাম; তোমরা দয়া করে ইসলামের ছায়াতলে আসো, এতেই কেবল শান্তি আর শান্তির দূতদের বসবাস।
সেদিন টিভির খবর দেখে লিখেছিলাম, গুলশানে জঙ্গিরা নারীদের উপর বীভৎস রূপে আক্রমণ করেছে। শান্তির ছাউয়েরা এসে ঘাউ ঘাউ করতেছিল, এই খবর নাকি আমি বানিয়েছি। ইসলামকে কলঙ্কিত করাই আমার লক্ষ্য। আজকের সমকালের খবর, তারিশি মৃত জেনেও তার সারা শরীরে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে জখম করা হয়েছে, তারা সারা শরীরে ৩০-৪০ টি আঘাতের চিহ্ন। যে দশজন নারী আর্টিজানে মারা গেছে তাদের সবাইকে অন্যদের থেকে বেশি আঘাত করা হয়েছে। অনাগত সন্তানের দোহাই দিয়েও রক্ষা পায়নি ইতালিয়ান সাত মাসের গর্ভবতী নারী মারিয়া বোরিলি। ঊটপুতেরা মানুষ বুঝে না শান্তি বুঝে। তাদের কথায় আচার আচরণে এমন একটা ভাব, জঙ্গিরা তাদের আপন মায়ের পেটের ভাই, এদের বিরুদ্ধে আমি অপপ্রচার চালিয়ে ইসলামের শান্তি নষ্ট করতেছি। তোদের লজ্জা করে না? হারামীর জাত-- মানুষ মারোস আবার শান্তি শান্তি বলে কাউ কাউ করস! আরে তোদের শান্তি আমি কি নষ্ট করব, তোদের জাত ধর্মের ভাই ব্রাদাররাই শান্তিকে ধরে তোদের বাপেদের পেছন দিয়ে ঢুকিয়ে দিয়েছে। ছুদির ইসলামের রক্তের ভাউ ব্রাদারদের পারলে কে কিছু বল, তারা তোদের শান্তিকে কেন অশান্তি বানাচ্ছে?
কাল রাতে প্যারিসে আবার একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে গেল। সেজন্য সেদেশের প্রেসিডেন্ট বলেছে, ''এশার নামাজ না পরে যারা বেপর্দা হয়ে, মদ খেয়ে রাস্তায় উৎসব করতে নামে, তাদের এমন পরিণতি হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না। পুলিশি তদন্ততে এসেছে, সে রাস্তায় কিছু নাস্তিক ব্লগার ছিল। তারা পর্ণ লেখালেখি করতো বিধায় তাদের মৃত্যুতে এতো শোকের কিছু নেই। তাছাড়া জাতীয় উৎসবে রাস্তায় নামা ফ্রান্সের লোকজনের একটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ড্রাইভার মুসলিম হলেও তার ফরেনসিক রিপোর্ট বলছে, হামলার আগে সে দুই পোটলা ক্যাপ্টাগণ ট্যাবলেট খেয়েছে বিধায়, সে তার হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে এমন কান্ড ঘটিয়েছে।। তবে এই বিষয়ে আরও তদন্ত চলছে। আমরা আগেও বলেছি, এখনো বলছি- ফ্রান্সে কোন জঙ্গি নাই। ফ্রান্সের জনগণ শান্তিকামী, তারা জঙ্গিবাদ সমর্থন করে না। ফ্রান্সের উন্নয়নের জোয়ারকে বিশ্বব্যাপী কলঙ্কিত করার জন্য বিরোধী দল এই হামলা চালাতে পারে বলেও সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে এর সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নাই। ইসলাম ধর্মের লোকজন এশার নামাজ বাদ দিয়ে যে মানুষ হত্যা করতে পারে না, সেটা আমরা আগেও বলেছি। এতেই প্রমাণিত হয় এই ড্রাইভার মুসলিম না। তাছাড়া লরির ড্রাইভাররা কখনো মুসলিম হয় না।''
অন্যদিকে ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এক বিবৃতি বলেছে, ''ফ্রান্সে কোন টেরোরিস্ট এটাক হয় নাই, এটা বরাবরের মতই একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। ফ্রান্সের জনগণদের বোঝা উচিত--শুধু ফ্রান্স কেন? এরকম ঘটনা বাংলাদেশ, ইন্ডিয়া, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের মত দরিদ্র দেশেও হচ্ছে। ফ্রান্সের জনগণদের এসব বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে পাত্তা দেয়াটা মোটেও উচিত না। তবে মানুষ গুলো কেন দৌড়ে পালাতে পারল না, গাড়ির নিচেই চাপা পরলো, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তারা কি আসলেই মারা পরেছে, নাকি নিজেরাই সুইসাইড করেছে সেটাই এখন দেখার বিষয়।''
আফসোস! আমার দেশের শান্তির ছত্রছায়ায় আশ্রিত ইমানদার মুমিন মুসলিম জনগণ, মন্ত্রী, এমপিরা সহ স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও যদি গুলাশান হামলাটাকে বেশি সিরিয়াসলি টেরোরিজম হিসেবে না নিয়ে, ফ্রান্সের মত হালকাভাবে নিতো; তবে বিশ্বের দরবারে দেশের ভাবমূর্তিটা আর নষ্ট হতো না।

Thursday, July 7, 2016

ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি ইসলাম ধর্মই একমাত্র সত্য ও ঈশ্বর প্রদত্ত ধর্ম; আর সব ধর্ম মিথ্যা বলে মানেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি অন্যান্য সব ধর্ম ও বিজ্ঞান ফেলে ইসলামই একমাত্র পরিপুর্ণ জীবন বিধান বলে মেনে চলেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি মোনাজাতে কেবলমাত্র মুসলিম উম্মাহর শান্তি প্রার্থনা করেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম যদি আপনি বোরকা হিজাব পরে ঘর নিজেকে পর্দায় রাখেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি নির্ধারিত চৌদ্দ-জন পুরুষ ছাড়া অন্য পুরুষের সাথে দেখা সাক্ষাত কথা না বলেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি আজানের সময় মাথায় কাপড় দেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি কোরান হাদিস মেনে সুন্নত ফরজ সব পালন করে জীবনযাপন করেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি চিত্রকর্মকে জীবনে এলাউ না করেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি কখনো গান না শুনেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি কখনো টিভি না দেখেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি নাচানাচিকে হারাম মনে করেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি আল্লাহ প্রদত্ত শরিয়া আইন মেনে চলেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম যদি আপনি পায়খান প্রস্রাবের পর ঢিলা কুলুপ নেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি আপনার স্বামীকে দাসী সঙ্গম এবং বহুবিবাহে অনুমতি দেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি বিধর্মীদের সাথে বন্ধুত্ব না করেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি প্রতিনিয়ত আল্লাহকে ভয় করতে থাকে।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি জীনে বিশ্বাস করেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি সূর্য রাতের বেলা আল্লার আরশের নিজে অসৎ যায় বিশ্বাস করেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি চন্দ্র ও সূর্য এঁকে অপরের পেছনে ছুটাছুটি করে বিশ্বাস করেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি পৃথিবী সমতল বিশ্বাস করেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি পৃথিবী ছয় দিনে সৃষ্ট বিশ্বাস করেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি কোরান বৈজ্ঞানিক গ্রন্থ বলে মানেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি ছয়-নয় বছরের মেয়ে শিশু বিবাহের যোগ্য বিশ্বাস করেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম যদি আপনি, নারী পুরুষের হাড় থেকে সৃষ্ট বিশ্বাস করেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি জীবনে শুকর মদ না খান।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি পালক পুত্রের বউকে বিয়ে করা যায় মেনে নেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি নবী চৌদ্দ পনেরটা বিয়ে করেছেন নারীর উপকারের জন্য, সেক্সের জন্য নয় বিশ্বাস করেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি ইসলাম রক্ষার জন্য জিহাদ সমর্থন করেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি কবিতা লেখা হারাম জ্ঞান এবং কবির পেট পুঁজে ভর্তি বিশ্বাস করেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি বউ পেটানো অনুমোদন দেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি বোনকে ভাইয়ের অর্ধেক সম্পত্তি দেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি হস্তমৈথুন ও গর্ভপাতকে হারাম মনে করেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি রজঃস্রাবের সময় নারীকে নাপাক মনে করেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি চুরির শাস্তি হাত কাটা মেনে নেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি সুদ ঘোষ কে হারাম বলে মানেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি পরকালের রুপকথায় বিশ্বাস করেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি ধর্ষণে চারজন সাক্ষী রাখেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি নারী নেতৃত্ব হারাম মনে করেন।
ইসলাম শান্তির ধর্ম, যদি আপনি গণতন্ত্রে না মেনে আল্লাহ প্রদত্ত বিধান শরিয়াহ্‌ মেনে চলেন।
এগুলো যদি আপনি সঠিকভাবে মেনে চলেন তবে ইসলাম অবশ্যই একটি শান্তির ধর্ম। আর এর কোনটা না মানলে ইসলাম কি আর শান্তির ধর্ম থাকে?

Wednesday, July 6, 2016

https://www.facebook.com/who.annopurnadebi/posts/1604337209833487
পুরুষেরা সবচেয়ে বেশি ভয় পায় কোন নারীর মুখে তাদের তাদের বিরুদ্ধ কথা শুনতে । কারণ তারা জানে, যে অন্যায় তারা নারী জাতির সাথে করেছে বা করে চলছে ...সেসব ব্যাপারে নারীরা যদি মুখ খুলে তবে তাদের দাঁড়ানোর মত পায়ের নিচে মাটি থাকবে না ।
সেজন্য কোন নারী যদি মুখ খোলে তাদের বিপক্ষে কথা বলে , তারা তাকে 'অসতী' 'দুশচরিত্রা' ইত্যাদি খেতাব দিয়ে বা 'তোকে কিংবা তোর মাকে চুদি' অথবা 'তোর জন্মের ঠিক নাই' বা 'তোর জন্ম বেশ্যা পাড়ায়' ইত্যাদি বলে মুখখানা বন্ধ করাতে চায় । ব্যাপারখানা এমন যেন মেয়েটির জন্ম কোন নারীর যোনী দিয়ে না হয়ে কোন পুরুষের পায়ুপথে হয়েছে । তা না হলে বেঠিক জন্ম আবার হয় কেমনে ? আর বেশ্যা পাড়ায় জন্ম যেন বেশ্যালয়ে পুরুষের গমন ছাড়াই দুটি বেশ্যার মিলনে হয়ে যায় !?
তারা এটাও জানে এসব গালি দিয়ে তারা নিজেরাই তাদের চরিত্রের কাল দিক প্রকাশ করে । তবুও তারা গালি দেয় , ক্ষমতা ঠিক রাখতে তারা বোধ হয় গু ও খাইতে পারবে , তা না হলে কতটা নিচে নামলে তোর মারে চুদি, তোর এক রাতে রেট কত এই টাইপের গালি দিয়ে নিজেকে ধর্ষক-লম্পট-লুইচ্চা ও পতিত বানিয়ে , কোন মানুষ সুখ কি পেতে পারে ?!
তারা প্রথমে মুখে বলবে , তারপর গালি দেবে , তারপর মারধোর করবে অথবা মেরে ফেলার হুমকি দেবে তা না করতে পারলে দেশ ছাড়া গ্রাম ছাড়া গৃহ ছাড়া করবে । পুরুষের স্বার্থের জন্য নারী নির্যাতনের প্রশ্নে সকল সময় সকল পুরুষ একদল ও একজোট হয়ে কাজ করে ।
কিন্তু-নারীরা এক হতে পারে না , তারা নিজেদের মগজে দাসত্ববোধ এমন ভাবে ঢুকিয়েছে যে ,ঘরে বাইরে নিজের শরীরের মুভমেন্ট করা ও নিজের পোশাক আশাক নির্ধারণ সহ দৈনন্দিন সকল কাজের জন্য পুরুষের মস্তিষ্ক প্রসুত সিদ্ধান্তের উপর নির্ভরশীল । জগতের সব মেয়ে যদি তাদের সীদ্ধান্তে এক হয় তবে কোন পুরুষের কি সাহস আর শক্তি আছে নারীর উপর চোখ রাংগায় ! নারীর চোখের রঙ্গেই তো তারা ভেসে যাবে দূর আকাশে ! ফুঁ !
তসলিমা নাসরিন নারীর অধিকারের কথা বলা শুরু করল ধর্ম গেল !
হুমায়ুন আজাদ পাক সার জমিন সাদ বাদ লিখল ধর্ম গেল !
সরকার নারী নীতি ২০১১ বাস্তবায়ন করতে গেল ধর্ম গেল !
আসিফ মহিউদ্দিন ধর্ম নিয়ে ব্লগে লেখালেখি করল ধর্ম গেল!
রাজীব হায়দায় ধর্ম কে ব্যাঙ্গ করে ধর্মকারীতে লিখল ধর্ম গেল !
অভিজিৎ রায় বিজ্ঞান আর যুক্তিতে ধর্মকে ধুয়ে দিল ধর্ম গেল !
ওয়াশিকুর বাবু ফেবুতে দাঁত ভাঙ্গা জবাব দিল ধর্ম গেল !
অনন্তও বিজ্ঞান দেখিয়ে ধর্ম কে কাঁচকলা দেখাল ধর্ম গেল !
দাঁড়িপাল্লা চুতরাপাতা দিয়ে ধর্ম কে চুলকানি দিল-- ধর্ম গেল , ধর্ম গেল !
লতীফ সিদ্দীকি হজ্জ কে ব্যবসা আর নবী তার বাপের ছেলে বলল ধর্ম গেল !
আবদুল গাফফার আল্লার নিরানব্বই নামকে কাফেরদের নাম কইলো ধর্ম গেল !
হৈ হৈ কান্ড রৈ রৈ ব্যাপার !
ধর্মের লেজে আগুন লাগল আবার !
হৈ হৈ কান্ড রৈ রৈ ব্যাপার !
যায় যায় ধর্ম জ্ঞান হারালো আবার !
হৈ হৈ কান্ড রৈ রৈ ব্যাপার !
ইসলামের নুনুভুতিতে আঘাত আসছে আবার !
হৈ হৈ কান্ড রৈ রৈ ব্যাপার !
আল্লা নবী বাঁচাতে চাপাতি লও আবার !
ধর্ম গেল বলে ডাকে ধর্ম গেল পাখি---
আমরা অন্ধ তীরন্ধাজ দাঁড়িয়ে থাকি !

Tuesday, July 5, 2016

তনুর খুনিদের না ধরে আমাদের পাহারা দিয়ে রাখা হচ্ছে। বাসার ডিশ লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে যেন তনুর সংবাদ দেখতে না পারি। কিছুদিন আগে তনুর লাশ উদ্ধারের স্থানে আমাকে গাড়ি ও মোটরসাইকেল চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
----তনুর বাবা ইয়ার হোসেন
লেখে তো অনেকেই। এই যে এখানে যত লেখক আছেন, সকলেই বই লেখেন। তাঁদের বিরুদ্ধে তো মেলায় মিছিল হয় না। আপনার বিরুদ্ধে হয় কেন? মেয়ে হয়ে আপনি পুরুষের মত লিখতে যান কেন? সে কারণেই তো ঝামেলা হচ্ছে। আপনার লেখা আমি পড়েছি। কোনও মেয়ে কি আপনি যে ভাষায় লেখেন, সে ভাষায় লেখে? আপনার লেখা খুব অশ্লীল। আপনি মেলায় না এলে ভাল হয়। আপনি এলে মেলায় গণ্ডগোল হয়, তাই আপনি আসবেন না।
----বাংলা একাডেমীর বইমেলায় মহাপরিচালক হারুন উর রশীদ (উদ্দেশ্য তসলিমা নাসরিন)
নিহত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র নাজিমুদ্দিন সামাদ ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর লেখালেখি করতেন কিনা তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। ব্লগে আপত্তিজনক লেখা লিখেছে কিনা তা দেখার প্রয়োজন আছে। আগের যে হত্যাকাণ্ডগুলো হয়েছে তাদের ব্লগ যদি দেখেন, এভাবে মানুষের ধর্মে আঘাত দেওয়া, বিশ্বাসে আঘাত দেওয়া, পৃথিবীর কোনো দেশেই তা গ্রহণযোগ্য নয়।
----স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান
আজব এক দেশ বাংলাদেশ! যে দেশে অপরাধীরা সাজা না পেয়ে সাজা পায় ভিকটিমেরা।
আমি যখন পুরুষের বিরুদ্ধে কোন বিষয়ে পোস্ট দেই তখন কোন নারীবিদ্বেষী পুরুষকে আমার ডাকতে হয় না, তারা আপনি এসে কমেন্ট-বক্সে পরিচয়টা দিয়ে যায়। এটা নতুন নয়। মেয়ে আইডিগুলো কমেন্ট-বক্স উন্মুক্ত রাখতে পারে না, ভয়টা কিন্তু মেয়েদেরকে নিয়ে নয়, ভয়টা পুরুষ নামক বিচীওয়ালাদের অনাকাঙ্ক্ষিত মন্তব্য । বলতে পারেন পুরুষেরাও কমেন্ট-বক্স উন্মুক্ত রাখতে পারে না। হ্যাঁ পুরুষেরাও পারে না, ভয়টা সেই একি জায়গায়, কমেন্ট বক্সে মা বোন বউকে নিয়ে টানা হ্যাঁচরা করে নারীবান্ধব পুরুষের দল। এখানে তন্ত্র না বলে পুরুষ বললে কারো যন্ত্রে আঘাত লাগলে আমার কিছু করার নেই।
নারী বিরুদ্ধে পুরুষের অত্যাচারী ধর্ষকামী মনোভাব বোঝার জন্য তত্ত্বকথা পড়তে হয় না, চোখ থাকলে--আর নিজের ঘরে নারী থাকলেই এটা স্পষ্ট বোঝার কথা। আর এখন অনলাইনের সুবাদে কমেন্ট বক্স সেটা জানার সুযোগ পুরোপুরি করে দেয়। তার পরও আপনি যদি চোখে পট্টি পরা স্বেচ্ছা অন্ধ লোক হওন, তবে ধরে নিতে হবে আপনিও তাদের একজন।
প্রায়ই একটা কথা শোনা যায়, শিল্পী লেখক সাহিত্যিকদের লিঙ্গ পরিচয় বড় কথা নয়, তাদের সৃষ্টিই বড়। কথাটা আমি মানি, আপনি মানেন কিনা সেখানে আমার সন্দেহ আছে। কারণ একজন শিল্পী কে নারী বলে পুরুষেরা চাইলেই ছুদে দিতে পারে, ইন-বক্স আউট-বক্স বা পাবলিক প্লেসে। একজন পুরুষ শিল্পীকে কোন নারী আজ পর্যন্ত ছুদতে যায়নি। কেন? যায় তো নি-ই, এমনকি কোন নারী শিল্পী যদি কোন পুরুষ শিল্পী কে নিয়ে সমালোচনা করে, তবে উক্ত নারী শিল্পীকে কটাক্ষ করে তার দৈর্ঘ্য প্রস্থ উচ্চতা সহ গভীরতা মাপার জন্য ইঞ্চি টেপ আমাদের আঙ্গুলচ্যুত হয় না। কেন?
লেখক কবি সাহিত্যিকের সমালোচনা অত্যন্ত সাধারণ বিষয়। সবাই সব মত গ্রহণ করবে না, এটাই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে তসলিমা নাসরিন সমালোচনার সবচেয়ে উপাদেয় উপাদান সেটা আমরা জানি। তিনি সরাসরি পুরুষতন্ত্র সহ পুরুষকে আক্রমণ করে কথা বলেন বলে, তার বক্তব্য হজম করতে কম বেশি সবারই কষ্ট হয়। তসলিমা নাসরিনকে নিয়ে আপনি সমালোচনা করতে পারবেন ভাল কথা, তসলিমা নাসরিন কাউকে 'পুরুষ' বলে সমালোচনা করলে আপনি সেটা নিতে তো পারবেনই না, উল্টো সে কোন কোন ক্ষেত্রে আপনার থেকে ছোট, আপনার থেকে অযোগ্য বা সারাজীবন চেষ্টা করলেও আপনার মত একখান উপন্যাস বা কবিতা লিখতে পারবে না, সেই নিশ্চয়তাও আপনি তাকে দিয়ে দিচ্ছেন। কেন আপনি তসলিমার সমালোচনার যোগ্যতা রাখেন, আর তসলিমা নাসরিন কেন আপনার মত বিখ্যাত কোন পুরুষের সমালোচনা করতে পারবে না? আপনি তসলিমা নাসরিনের সীমানাটা নির্ধারণ করে দিচ্ছেন, কেন বলুন তো? কোন সাহসে? কারণ সে নারী লেখিকা আর সে আপনাকে 'পুরুষ' বলে কিছু কড়া কথা বলে কটাক্ষ করেছে। এখানে আপনি তাকে 'নারী' বলে উল্লেখ না করলেও আপনার আচরণই বুঝিয়ে দিচ্ছে আপনার স্পর্ধার কারণ।
তসলিমা নাসরিন অবিবেচকের মত কথা বলেছেন, আলোচনা উস্কে দিচ্ছেন, অশ্লীল লিখেছেন, ফালতু লিখেছেন, এটা নতুন নয়। আজকে আবার নতুন করে উল্লেখিত হয়েছে, কারণ তিনি এমন একজনকে নিয়ে লিখেছেন যিনি আবার আপনার পছন্দের কবি-লেখক-শিল্পী। এজন্য আপনি তার সমালোচনা করে যা ইচ্ছে তাই বলে নারীবাদ আর পুরুষ বিদ্বেষের সীমারেখা দেখিয়ে দিচ্ছেন। আপনি তাকে নতুন করে নারীবাদ শেখাচ্ছেন। কিন্তু আপনি ভাবছেন না, আপনার মত একই ভাবে উক্ত লেখক-কবি-শিল্পী কে তসলিমার ভাল না লাগতে পারে, তার মাঝে সে নারীবিদ্বেষ দেখতে পারেন, সীমাবদ্ধতা দেখতে পারেন, উক্ত লেখক-কবি-সাহিত্যিকের লেখা তার অপছন্দ হতে পারে; এটা কেন মানতে পারছেন না? আপনি কিন্তু নারীবাদ আর পুরুষবিদ্বেষ নতুন করে বোঝাতে গিয়ে আপনার সুপ্ত নারী-বিদ্বেষটাই দেখাচ্ছেন! বুঝতেছেন না? আরেকবার পড়েন।
শুরুতে ফিরে যাই। নারীর বিরুদ্ধে পুরুষতন্ত্র দিনের আলোর মত স্বচ্ছ হলেও, এটা গ্রহনযোগ্য; এটা আমাদের দৃষ্টিতে কোনভাবেই নারী বিদ্বেষ নয়। কিন্তু পুরুষত্বন্ত্রের বিরুদ্ধে নারীবাদ ফুলকির মতো জ্বললেও, ওটা অগ্রহনযোগ্য, কারণ এটা পুরুষবিদ্বেষ। নারীবিদ্বেষ হয়েছে, হচ্ছে, হবে----কিন্তু পুরুষতন্ত্র তথা পুরুষের বিরুদ্ধে কিছু বললেই তা পুরুষবিদ্বেষ উপাধি পাবে, আর পুরুষবিদ্বেষটা কোন ভাবেই সহী বিদ্বেষ নয়। এই পৃথিবীতে সবচেয়ে সহী, সবচেয়ে জনপ্রিয়, সবচেয়ে প্রয়োগকৃত বিদ্বেষ নারী বিদ্বেষ। বিদ্বেষের প্রতিযোগীতায় এক্ষেত্রে পুরুষেরা বরাবরই পরাজিত থাকতে পছন্দ করে।
দ্রঃ তনার পক্ষে যদি আমি মুখ খুলি আপনারা আমাকে তনাদ্ধ, মুরিদ, উম্মত, চ্যালা অনেক কিছুই উপাধি দিবেন। আপনারাও একই ভাবে কারোর পক্ষে বলতে গিয়ে তনার বিরুদ্ধাচারণ করছেন, আপনিও কি ত্যানার অন্ধ, মুরিদ, উম্মত অথবা চ্যালা?
আপনার বক্তব্যের নারীবাদীতা যখন ''অতি নারীবাদীতা" ট্যাগ খায় তখন খুব সাধুতার আড়ালে আপনার নারী-বিদ্বেষটাই প্রকাশ পায়। সেটা অতি না অল্প বিবেচ্য নয়। নারীবাদীতা-কে আপনি কটাক্ষ করে অতি নারীবাদীতা বলতে পারেন। নারী বিদ্বেষ টা অতি আর অল্প নির্ভর করে না। নারীবিদ্বেষ অল্প হলেও নারীবিদ্বেষ, বেশি হলেও তা-ই।
"আমরা যারা নারীবিদ্বেষী সমাজে বসবাস করেও নারীবাদ চর্চা করি, এদের মত বালছাল উগ্র নারীবাদী মুহূর্তেই আমাদের খারিজ করে দেয়; কতো বড় সাহস!" জী ভাই আপনি অনেক নারীবান্ধব পুরুষ,নারীর অধিকার আন্দোলনে কতোটা নারীবাদী সেটা আপনার কথাতেই প্রকাশ পাচ্ছে। মনে হচ্ছে নারীকে করুণা করতে নারীবাদী সাজছেন। আর এই কারণেই বালছালগুলা আপনারে গুনায় ধরে না।
"এদের কাছে পুরুষ মানেই ধর্ষক।"
পুরুষ সবকিছুতে শ্রেষ্ঠত্ব পাইলেও, নারীর কাছ থেকে এর চেয়ে উত্তম উপমা পাওয়ার মত কর্ম করতে পারে নাই। এইখানেও দোষ কি নারীবাদীর? কথাটা নারীর পোশাকই ধর্ষণের কারণের মত শোনায় না?
ভাবতেছেন আমার মত বালছালরে আনফ্রেন্ড করবেন? করেন, ভুলেও তনারে কইরেন না।