Thursday, March 31, 2016

পুরুষের দ্বারা নারী, পুরুষের দ্বারা মেয়ে শিশু, পুরুষের দ্বারা পুরুষ, পুরুষের দ্বারা ছেলে শিশু, পুরুষের দ্বারা কিশোর কিশোরী, পুরুষেরা দ্বারা বৃদ্ধা, পুরুষের দ্বারা তিন মাসের বাচ্চা, পুরুষের দ্বারা কবরের মৃত নারী, পুরুষের দ্বারা গর্ভবতী নারী, পুরুষের দ্বারা গরু ধর্ষিত হয়েছে, হচ্ছে, হবে। তবুও পুরুষ প্রজাতিকে ধর্ষক বলা যাবে না। বললে জেনারালাইজড্‌ হয়ে যায়, বলতে হবে কিছু পুরুষ। পুরুষ যদি ধর্ষণ করে, পুরুষ যদি ধর্ষক হয় তবে কেন পুরুষদের ধর্ষক বলা যাবে না?
বিষয়টার মুমিনদের বখাট্য যুক্তির মত,'ইসলামের সাথে সন্ত্রাসবাদের কোন সম্পর্ক নেই। সব মুসলিম টেরোরিস্ট নয়।' যেন ইসলামের ভিত্তি কোরানের জিহাদ এবং বিধর্মীদের বাঁশ দেওয়ার নির্দেশনা মূলক আয়াতগুলো ছাড়া জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদ আকাশ ফেরে বের হয়েছে। তেমনই ধর্ষণ পুরুষেরা করে না ধর্ষকেরা করে, ধর্ষকেরা পুরুষ না, তারা পুরুষের মত কোন প্রাণী না, তারা ইমানদন্ড প্রয়োগ করে ধর্ষণ করে না। তারা পাতাল ফুঁড়ে উঠে আসা ভিন্ন কোন প্রাণী।

Wednesday, March 30, 2016

আপনার ঘরের বোনটিকে, মেয়েটিকে, বউটিকে আমি রাতে একা একা বাড়ির বাইরে যেতে বা থাকতে দেন না। কারণ কিন্তু জীন, ভুত, বাঘ, ভাল্লুকে তাদেরকে আস্ত খেয়ে ফেলবে, তা নয়। কারণ আপনার ঘরের নারীরা রাতে বাইরে থাকলে অন্য ঘরের পুরুষদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হতে পারে, তাদের ইজ্জত নামক সোনার হরিণ লুট হতে পারে।
অন্য ঘরের পুরুষটিও তার ঘরের মেয়েদেরকে সযত্নে এভাবে হেফাজত করে রাখে, কারণ তার কাছে অন্য বাড়ির পুরুষটি তার ঘরের মেয়েদের জন্য নিরাপদ নয়।
এভাবে আমরা এক ঘরের পুরুষ আরেক ঘরের পুরুষকে অবিশ্বাস করে নারীর ইজ্জত নামক রসগোল্লা রক্ষা করি। আসলে কি নারী চরিত্রের লাড্ডু রক্ষা হচ্ছে ঘরে বা বাইরে? না হচ্ছে না। নারীকে যতই ঘরে পূরে রাখা হোক না কেন, পুরুষ যতদিন না নিজের চরিত্র ঠিক না করছে, ততদিন নারীরা নির্যাতিত হবে-ততদিনই নারী পথে, ঘাটে, হাটে দিনে রাতে ধর্ষিত হবে।
এখানে দেখা যাচ্ছে যে, /প্রত্যেক ঘরের পুরুষই যৌন নির্যাতক, ধর্ষক হতে পারে।/ বাক্যটি সম্ভাব্য বাক্য শোনা গেলেও বিষয়টি ঘটমান বলেই আমরা বাস্তবে প্রয়োগ করে থাকি। 'অমুক ঘরের পুরুষ ভাল হতে পারে' এমন দিব্বি স্বয়ং পুরুষেরাই দিতে পারে না। কারণ তারা নিজদের চরিত্রে স্খলনের বিষয়ে নিজেরা খুব ভাল ভাবেই জ্ঞাত। এর পরও কোন নারী যখন ধর্ষকের দিকে 'পুরুষ' বলে আঙ্গুল উঁচু করে, লক্ষ লক্ষ পুরুষ এসে আঙ্গুল নিচে নামানোর জন্য হুঙ্কার তোলে, 'সব পুরুষ নয়, হাতে গুনা কিছু সংখ্যক পুরুষ খারাপ। কিছু সংখ্যক পুরুষের জন্য আপনি সবাইকে দায়ী করতে পারেন না।'
উপরের এ-ঘর ও-ঘরের উদাহরণ থেকে বুঝা ভার কোন ঘরের পুরুষ আসলে ভাল পুরুষ। হ্যাঁ এর মধ্যে ভাল পুরুষ হয়তো থাকতে পারে, তারা বোধ হয় ঘরে থাকে না; তারা মঙ্গলে বা অন্য কোন গ্রহে খোলা জায়গায় বাতাসে বাস করে। ধর্ষক পুরুষেরাই আম জনতা, দুই একজন ভাল থাকতে পারে তারাই 'কিছু সংখ্যক পুরুষ'। তারা ব্যতিক্রম, আর ব্যতিক্রম কখনো উদাহরণ নয়।
(এমন ইজ্জতবিহীন, মান-সম্মানবিহীন, চরিত্রহীন লম্পট ধর্ষক পুরুষগুলা রাজ্যের যতো ইজ্জত, মান-সম্মান, চরিত্র নষ্টের বা রক্ষার দায় আবার নারীর ঘাড়েই চাপায়। নারীর ক্ষেত্রে পুরুষের ভন্ডামী, ফাইজলামী, ইতরামি এবং নোংরামির কোন মা বাপ নেই।)
স্বীকার করি-
তোমার ভালবাসা পাওয়ার মত
কোন রকম যোগ্যতাই আমার নেই।
কিন্তু 'তোমাকে ভালবাসি' এই কথা বলার মত
বেহায়া মুখটারে অস্বীকার করি কেমনে?

Tuesday, March 29, 2016

আপনি নিশ্চয়ই ঘাসের ঝোপে কিংবা পাথরের উপরে কোন কোন পিপড়াকে দেখেছেন – সারাদিন ধরে ঘাসের নীচ থেকে ঘাসের গা বেয়ে কিংবা পাথরের গা বেয়ে উপরে উঠে যায়, তারপর আবার ঝুপ করে পড়ে যায় নিচে, তারপর আবারো গা বেয়ে উপরে উঠতে থাকে। স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে – এই বেআক্কেলে কলুর বলদের মত পণ্ডশ্রম করে পিপড়াটি কি এমন বাড়তি উপযোগিতা পাচ্ছে, যে এই অভ্যাসটা টিকে আছে? কোন বাড়তি উপযোগিতা না পেলে সারাদিন ধরে সে এই অর্থহীন কাজ করে সময় এবং শক্তি ব্যয় করার তো কোন মানে হয় না। আসলে সত্যি বলতে কি – এই কাজের মাধ্যমে পিপড়াটি বাড়তি কোন উপযোগিতা তো পাচ্ছেই না, বরং ব্যাপারটি সম্পূর্ণ উলটো। গবেষণায় দেখা গেছে পিপড়ার মগজে থাকা ল্যাংসেট ফ্লুক নামে এক ধরনের প্যারাসাইট এর জন্য দায়ী। এই প্যারাসাইট বংশবৃদ্ধি করতে পারে শুধুমাত্র তখনই যখন কোন গরু বা ছাগল একে ঘাসের সাথে চিবিয়ে খেয়ে ফেলে। ফলে প্যারাসাইট টা নিরাপদে সেই গরুর পেটে গিয়ে বংশবৃদ্ধি করতে পারে। পুরো ব্যাপারটাই এখন জলের মত পরিষ্কার – যাতে পিপড়াটা কোন ভাবে গরুর পেটে ঢুকতে পারে সেই দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ঘাস বেয়ে তার উঠা নামা। আসলে ঘাস বেয়ে উঠা নামা পিঁপড়ের জন্য কোন উপকার করছে না বরং ল্যাংসেট ফ্লুক কাজ করছে এক ধরনের ভাইরাস হিসবে – যার ফলশ্রুতিতে পিঁপড়ে বুঝে হোক, না বুঝে তার দ্বারা অজান্তেই চালিত হচ্ছে।
ল্যাংসেট ফ্লুক নামের প্যারাসাইটের কারণে পিঁপড়ের মস্তিষ্ক আক্রান্ত হয়ে পড়ে, তখন পিঁপড়ে কেবল চোখ বন্ধ করে পাথরের গা বেয়ে উঠা নামা করে। ধর্মীয় বিশ্বাসগুলোও মানুষের জন্য একেকটি প্যারাসাইট। (‘ব্রেকিং দ্য স্পেল’,ড্যানিয়েল ডেনেট। বিশ্বাসের ভাইরাস, অভিজিৎ রায়)
পাকিস্তানের লাহোর শহরের দক্ষিণ পশ্চিমে গুলশান-ই-ইকবাল নামে একটি বড় পার্কে রোববার বিকেলে শিশুদের দোলনার কাছে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত হয়েছে ৬৯ জন। অনেকেই ধারণা করছেন, ইস্টারের ছুটি উপলক্ষে পার্কে আসা খৃষ্টান পরিবারগুলো হয়তো এ হামলার লক্ষ্য ছিল। হামলার দায় স্বীকার করেছে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান জামায়াতুল আহরার (Tehreek-i-Taliban Pakistan Jamaatul Ahrar) নামে ইসলামী জঙ্গি সঙ্ঘটন।
চার মাস আগে প্যারিসে হামলায় মারা গেলো ১৩০ জন। পাঁচ দিন আগে বেলজিয়ামের 'ব্রাসেলস' এর রেল স্টেশন ও বিমানবন্দরে হামলায় মারা গেলো ৩৫ জন। এই হামলার দাগ এখনো দগদগে। ইউরোপীয় চ্যানেল খুললে লোকের কান্না আর হাহাকারের চিত্র।আত্মঘাতী হামলা করে বিধর্মীদের মারলে মুসলিমদের আর কিছু না হোক, নিজেকে মেরে হলেও মস্তিষ্কের প্রথিতগাঁথা ইসলাম ধর্মের প্যারাসাইটটা রক্ষা হয়, যার নির্দেশ রয়েছে স্বয়ং কোরানের বিভিন্ন আয়াতে (৪:৮৪), (৫:৫১),(৪৭:৪), (৩:১৬৯)(৯:১১১)। ওম ইসলাম, ওম শান্তি, ওম বিশ্বাস...!
বলেছিলাম- ধর্ষণ কেন হয়? কারা করে? কাকে করে? এর থেকে প্রতিকারের উপায় কি?
আমরা শর্টকাট ওয়ে পছন্দ করি, এই প্রশ্নগুলো ছাপিয়ে শাস্তিকেই সমাধান দিচ্ছি সবাই। কেউ কেউ ধর্ষকের লিঙ্গ কর্তন, কেউ প্রকাশ্যে হত্যা বা কেউ কেউ আবার এক কিলোমিটার দূরে দূরে বেশ্যালয় চাচ্ছেন। এটা হলে ঠক বাছতে গ্রাম উজাড় হবে।অনেকেই বলে থাকেন ৯৯% পার্সেন্ট পুরুষ মগজে মননে ধর্ষক। এতে করে পুরু জাতি খোজা হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিতে পারে।
আপনি জন্মনিরোধ পদ্ধতি ব্যবহার করলে বাচ্চা হবে না, তা না করে আপনি প্রত্যেকবার গর্ভপাতকরাচ্ছেন, এইটা তো সমাধান নয়।
আমাদের এমন কিছু সমাধান দরকার যা করলে ধর্ষণ রোধ হবে, ধর্ষকের শাস্তি পরের বিষয়। আগে ধর্ষক যাতে তৈরি না হয় সেরকম শিক্ষা দরকার। আগে আমি আপনি যেন ধর্ষক না হই, সেজন্য কি করা যেতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
ইতুর (Ettila Roy Etu) পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম, স্কুলে ইসলাম ধর্ম এবং সনাতন ধর্ম বইয়ের নাম চেঞ্জ করে 'ইসলাম ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা' এবং 'সনাতন ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা' করা হয়েছে। কিছুদিন আগে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ধর্মীয় শিক্ষাকে নৈতিক শিক্ষার মূল ভিত্তি বলেছেন। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দেশের সবার ধর্মীয় শিক্ষা নিশ্চিত করবেন।
একই ক্লাসে দুইটা ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম, দুইটা ভিন্ন ধারার আচার আচরণ, দুটো সৃষ্টিকর্তার পরিচয়সহ দুই ধরণের ধর্মীয় সংস্কৃতি শিক্ষা দিচ্ছে, একই সময়ে একটা নির্দিষ্ট প্রজন্মকে দুই ধরনের আদর্শের শিক্ষা- সম্পূর্ণ দুই রকমের মানুষ তৈরি করছে। এটা কেমন করে একটা জাতির ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নৈতিক শিক্ষার মানদণ্ড হয়? তা তো স্পষ্টত এক-পাক্ষিক সাম্প্রদায়িক অপশিক্ষা। হিন্দুরা কৃষ্ণের বহুবিবাহ, নির্লজ্জ লুচ্চামির চরিত্রটাকে নারী উপকারের তকমা হিসেবে নিয়ে নৈতিকতা শিখবে, অন্য দিকে মুসলমানেরা মোহাম্মদের বহুবিবাহ নারী লোভী কামুক চরিত্রটাকে নারী উপকারের আদর্শ জানবে। এভাবেই তারা দুই ধর্মের দুই বিশ্ব লুচ্চা, নারী বিদ্বেষী, কামুক, খুনি অবতারদের সবচেয়ে বেশি নারী বান্ধব হিসেবে জানবে । এক পক্ষ আবার অন্য পক্ষের অবতারের জন্য লালন করবে একরাশ ঘৃণা, হিংসা ও করুণা।
ধর্ম শিক্ষা আসলে আমাদেরকে কোন কোন বিষয়ে নৈতিক শিক্ষা দেয়! গুরুজনকে সম্মান, ছোটদের স্নেহ, মিথ্যা বলা মহাপাপ, কবরের আজাব মুক্তির দোয়া, স্বর্গের লোভ, নরকের ভয়, পূজা, নামাজ, ঈশ্বরের উপাসনা। এইগুলোকে নৈতিক শিক্ষা বলে? স্কুল ধর্ম বই গুলোতে ধর্মের সব ভাল ভাল জিনিস গুলো উপস্থাপন করা হয়েছে, খারাপ গুলো বাদ দেওয়া হয়েছে। এটা ধর্ম ব্যবসায়ীদের এক ধরনের হিপোক্রেসী। যারা স্কুলের শিক্ষাব্যবস্থায়ও দিব্যি ব্যবসা করে চলছে। যে শিক্ষার শুরুতেই হিপোক্রেসী তা কিনা হচ্ছে শিক্ষার ভিত্তি! একটা বাচ্চা স্কুলে ধর্ম বই পড়ে যতটুকু জানবে তা হল দুধকলা শিক্ষা। এইটুকু শিক্ষায় শিক্ষিত করে জাস্ট ধার্মিক সাপ টাকে পোষা হয়, অন্য কিছু নয়। এর পরবর্তী সময়ে কেউ তাদের নিজেদের ধর্মের কুসংস্কারাচ্ছন্ন বা অন্যায় অংশ তুলে ধরলে, সেই সাপটা বিষাক্ত ফণাটা তুলে নড়েচড়ে তেড়ে আসবে ছোবল দিতে।
ধর্মীয় শিক্ষা কখনো নৈতিক শিক্ষার ভিত্তি হতে পারে না। ধর্মীয় শিক্ষা একজন মানুষকে সাম্প্রদায়িক, সহিংস, এক কেন্দ্রিক, নারীর প্রতি তুচ্ছ ভাবাপন্ন, হিংসুটে, খুনি, মিথ্যেবাদী, স্বার্থপর এবং পরকালের লোভ/ভয়ে পরে বিচার বিবেচনাহীন মানসিক বিকারগ্রস্ত প্রাণী হিসেবে করে গড়ে তুলে, অন্যকিছু নয়।
সবশেষে বলতে চাই, প্রতিটা ধর্ম নারীকে পণ্য এবং ভোগের বস্তু ভাবতে শেখায়। মানুষকে যে ধর্ম মানুষের মর্যাদা না দিয়ে অমানুষের মত ট্রিট করে, তারা দেবে নৈতিক শিক্ষা? হাউ ফানি!
মেয়েরা এক রাত বাইরে থাকলে যে দেশের পুরুষেরা মেয়েদের নষ্ট খেতাব দেয়, তারা মগজে মননে আদর্শে কতোটা ধর্ষকামী তা কি বলে বুঝাতে হবে?
সব পুরুষ এক না,
সব পুরুষ খারাপ না,
সব পুরুষ ধর্ষক না,
সব পুরুষকে এক কাতারে ফেলবেন না।
তবে-
সব নারীই ভোগের বস্তু,
সব নারীই মাল।
(বাংলিশ ও কপি পেস্ট কমেন্ট করা পাপ)
জোড় করে ধর্ষণ করে তারপর ভিকটিম মেয়েটিকে মেরে ফেলা হয়। গলা কেটে.....ফাঁসে ঝুলিয়ে, গলা টিপে, কাউকে কাউকে কেটে টুকরোটুকরো করে....অথবা হত্যার পর জলে ভাসিয়ে। আমার খুব শুনতে ইচ্ছে করে হত্যার মুহুর্তে ধর্ষণের শিকার মেয়েটির কি বলে? মেয়েটি হয়তো তখন একটা কথাই বলতে চায়, "ভাই আমাকে আবারো ধর্ষণ করো-যা ইচ্ছা তা করো, কিন্তু পায়ে ধরি আমাকে জানে মেরে ফেলো না---প্লিজ....!" একবার ভাবা যায় কতোটা নিচু, অমানবিক এবং ভয়ংকর কর্ম!
ধর্ষকের কোন শ্রেণী নাই, ভাল কিংবা খারাপ। আমার ধারনা যারা ধর্ষণ করতে পারে, তারা নির্দ্বিধায় হত্যাও করতে পারে। আর সেটা আমার পোষ্টের কমেন্টে খুব ভাল করে বুঝা যায়। হোক তারা ইমাম, পুরোহিত, অথবা কোন দেশের প্রেসিডেন্ট। তারা যে ধর্মেরই হোক না কেন-তাদের একটাই শ্রেণী-একটাই জাত। যা জগতের সবচেয়ে নিকৃষ্ট, হিংস্র, বর্বর ও কুৎসিত--- সে জাতের নাম পুরুষ।
নাস্তিকরা ধর্মের বিরুদ্ধে কিছু কইলে সেইটা হয় উস্কানী, আর ধার্মিকেরা বোম মেরে, কল্লা কেটে মানুষ মারলে তা হয় হালাল। ধর্মের ছাওগোর মুখে থুঃ!
প্রকৃতিগত কারণে বাংলার মানুষ পাকিস্তানি, আফগানি, সৌদিয়ান থেকে উদার হওয়ার কথা, জানি না ঠিক কিনা। এখনো গ্রামে গৃহিণীরা ঘরে বাইরে পুরুষের পাশাপাশি সমান তালে কাজ করে। যদিও তারা দাসীর জীবন পালন করে তবুও তাদের নাই এক খণ্ড অবসর। তাদের পরিচয় এখনো গৃহিণী সঙ্গিনী, তারা এখনো বোরকা হিজাবে আবৃত হয়ে ঘরে ভেতর ঢুকে যায়নি। এখনো গ্রামের পুকুর অথবা নদীর ঘাটে নারী পুরুষ ছেলে মেয়ে একসাথে স্নান করে কাপড় বদলায়। আমরা এখনো শিখিনি নারী মানে খাদ্যবস্তু, একে ঠিকমত ঢেকে না রাখলে মাছি বসবে, যার পাখনায় যুক্ত থাকে মরণ বীষ।
গ্রামের সহজ সরল পুরুষদের ধর্ম শিক্ষা কম, দশ পনেরো বছর আগে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে টিভি আসায় বিনোদনের মাধ্যম শুক্রবারের বাংলা সিনেমা এবং রবিবারের ছায়া-ছন্দ। এখন ঘরে ঘরে ডিশ আছে হিন্দি বাংলা সিরিয়ালের পাশাপাশি ইংরেজি চ্যানেলও চলে। এক সাথে বাড়ছে ইসলামিক চ্যানেল, তামলীগ-জাতায়েত, ওয়াজ মাহফিল, হামদ-নাত, এবং ওয়াজের ক্যাসেটের প্রচার। একারণেই বোরকা হিজাবটা কিছু না বুঝেই হয়তো বাঙ্গালি নারীরা গ্রহণ করে নিচ্ছে। শরিয়া আইন আসলে যে শ্রেণী মরণ কামড়টা খাবে তারা হল নারী। এমনিতেই ৯৫% মুসলিম কান্ট্রিতে নারী তার কোন রকমের ন্যায্য অধিকার পাচ্ছে না, ঘরে ঘরে ধর্ষিত হচ্ছে, দোষ নিচ্ছে না পুরুষেরা। শরিয়া আসলে একবারে আল্লার আইন অনুযায়ী নারীকে চিকিৎসা করা হবে। এতে করে ইসলাম এবং ইসলামের আল্লা নবী নারীকে যে মধুর সম্মান দিয়েছে তা স্বচক্ষে বাংলার ধর্ষকামী নিষ্ঠুর পুরুষেরা দেখতে পাবে। যে যে দেশে শরিয়া এসেছে সে সে দেশ পৃথিবীর নাম্বার ওয়ান নারী নির্যাতনকারী ধর্ষক কান্ট্রি। ইসলাম স্বয়ং বিভিন্নভাবে ধর্ষণ কে সাপোর্ট করে। বাংলাদেশও এদের তালিকায় নাম লেখাক, তা না হলে আমাদের আর জাত থাকে না, তা না হলে ইসলামিক সংস্কৃতিটা আর রক্ষা হয় না। আমীন।
এইজন্যই এই ব্যাঙ্গাত্মক ইভেন্ট খোলা। শরিয়ার খারাপ দিক নিয়ে যার যার মত করে ব্যাঙ্গাত্মক ভাবে লিখুন।
আপনি বিড়ি খাওয়া ছাড়া জীবনে আর কোন ক্ষতিকর কাজ করে নাই, কারোর কোন ক্ষতি করেন নাই বা কারোর সাতে পাঁচে আপনি কখনোই ছিলেন না। কিন্তু এক রাতের ওয়াজ মাহফিল আপনাকে জগতের সবচেয়ে বড় অপরাধী কিভাবে বানিয়ে ফেলে, আসুন দেখে নেই।
প্রথম কারণ, আপনি সারাজীবন ঈদের নামাজ ছাড়া অন্য কোন নামাজ পড়েন নাই।
দ্বিতীয় কারণ, কঠোর কাজের চাপে জীবনেও কখনো রোজা রাখেন নাই।
তৃতীয় কারণ, কখনো দাড়ি রাখেন নাই।
চতুর্থ কারণ, সন্তানদের ইসলামি শিক্ষা দেন নাই।
পঞ্চম কারণ, আপনার স্ত্রী মেয়েকে পর্দায় থাকতে বলেন নাই।
ষষ্ঠ কারণ, সারা জীবন ঢিলা কুলুপ নেন নাই।
সপ্তম কারণ, বাল নখ চল্লিশ দিন অন্তর অন্তর ঠিকঠাক মত কাটেন নাই।
অষ্টম কারণ, সংগমের আগে অজু বিসমিল্লাহ বলেন নাই।
নবম কারণ, সারাজীবন পাড়ার হিন্দু মালাউন ছেলেরা ছিল আপনার পরানের বন্ধু- যারা ইসলামের প্রদান শত্রু।
দশম কারণ, স্ত্রী আপনার অনুমতি ব্যতীত যেখানে সেখানে যাওয়া আসা করে।
একাদশ কারণ, আপনি আপনার অবসর গান শুনে কাটিয়েছেন।
দ্বাদশ কারণ আপনি .......
হায় হায়! ভাই আপনার গোটা জীবনটাই এক তুরিতে ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়ে গেলো। এই জীবন রাইখা আর কি লাভ বলেন? এই এক জীবনে কাজের কাজ কিছুই করেন নাই, যা করেছেন সব অকাজ। আর আমি সারাজীবন পর্দা করিনাই, এই একটামাত্র কারণে আমার পুরা জীবন ব্যর্থ। আসেন ভাই আমি আপনি দুইজনেই সুইসাইড খাই।

Friday, March 25, 2016

আমরা আমাদের সঙ্গীদের কাছে এতোটাই স্বাধীন যে বিপরীত লিঙ্গের কারোর ছবি অথবা পোষ্টে লাইক কমেন্ট করলে হাজার বার জবাবদিহি করতে হয়।
হাউ ফাকিং দ্যা রিলেশনশিপ ইস...!
তবে যাই বলুন, ধর্ষণ বা গণ-ধর্ষণের খবরে পত্রিকাওয়ালা থেকে শুরু করে আমাদের সকল ভাই বোনদের মধ্যে একটা উৎসব উৎসব রব পরে যায়। রিজার্ভ চুরির ঘটনাও চাপা পরে যায়। সুন্দরবন বিলীন হয়ে যায়। তনুকে ধর্ষণের পর মেরে ফেলেছে, ইস! না মারলেও পারতো। এতে অন্তত আমাদের ঘরে ঘরে প্রতিরাতে স্বামী এবং অন্য নিকটাত্মীয় পুরুষের দ্বারা ধর্ষণের মত এই ঘটনাটাও অপ্রকাশিত থাকতো।
আমরা সবাই ধর্ষণের পর ধর্ষকের বিচার চাই, কিন্তু আর একজন নারীও ধর্ষণের শিকার না হয় সে বিষয়ে আমরা নিজেদেরকে মানসিকভাবে উন্নত করেছি কি? নিজেদের ইমানদন্ড নিয়ন্ত্রনের জন্য কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি কি? আর কতদিন উৎসব করবো এবার একটু কান্না দরকার, নয় কি? এবার একটু নিজেদের জন্য নিজেদেরই ধিক্কার প্রকাশ করা উচিত নয় কি? পুরুষের নোংরা পৈশাচিক আধিপত্যের নামে নারীর উপর খড়গ চালানোর জন্য নিজেদের দলবেঁধে লজ্জা করার সময় এখন বোধহয় চলে এসেছে, আসলেই আসেনাই কি?
দলবেঁধে ধর্ষণ তো অনেক করেছি, এবার আসুন একটু দলবেঁধে লজ্জা পাই।
ধর্ষণ নিয়ে কথা বলতে বলতে হৈ চৈ চিল্লা চিল্লি হাউ কাউ করতে করতে কিছু কিছু ধর্ষণের বিচার হয়, হয়তো তনু হত্যারও হবে।
তাই বলে কি ধর্ষণ গণ-ধর্ষণ বন্ধ হয়ে যাবে? এরপর কি আমরা আর কোন পর্দা-শীল অথবা পর্দা-হীন কিম্বা ছেলে অথবা মেয়ে শিশুর ধর্ষণের/গণ-ধর্ষণের খবর কখনো শুনবো না?
তনু হত্যার একদিন পরই কি বাবাকে জিম্মি করে পিতার সামনে শিশু কন্যা গণ-ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনা ঘটেনি? প্রতিটা ধর্ষণ হওয়ার পর আমাদের টনক একটু নড়ে-চড়ে উঠে, মানুষ মরার পরে আমাদের কাছে মৃত মানুষটির গুরুত্ব বাড়ে।
ধর্ষণ হয় কেন? কারা ধর্ষণ করে? কেন ধর্ষণ করে? ধর্ষণের শিকার হচ্ছে কারা? নারীকে কেন ধর্ষিত হতে হচ্ছে? আরও কতকাল পুরুষের জাঁতাকলে ঘরে বাইরে নারীরা এভাবে ধর্ষিত হবে? এর থেকে প্রতিকারের উপায় কি? সেই বিষয়ে আমি আপনি কি ভেবেছি? ধর্ষণ প্রতিরোধে, প্রতিকারে, বন্ধে আমি আপনি বা রাষ্ট্র কোন শিক্ষার প্রচার ও প্রসারের ব্যবস্থা করেছি কি?
আর কতকাল আমরা সংখ্যালঘু নির্যাতন, নিধন, ধর্ষণ এবং হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবো? দেশ সংখ্যালঘু শূন্য হওয়া পর্যন্ত? আর কত কাল আমরা ধর্ষণের বিচার চেয়ে চিৎকার করে গলা ভাঙ্গব ? দেশের প্রতিটা নারী ধর্ষিত হওয়ার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত?

Wednesday, March 23, 2016


বুদ্ধিজীবী সুশীল ছুতিয়াদের স্ববিরোধী বক্তব্যসমুহ -
১) ‘সব লেখকের উচিত এমনভাবে লেখা, যাতে মানুষের ধর্মবিশ্বাসের প্রতি আঘাত দেয়া না হয়ে যায়। আমি এর বিপক্ষে। ধর্মবিশ্বাসে আঘাত দিয়ে লেখা উচিত নয়।’
‘অভিজিতের কথা ভাবলেই মন খারাপ হয়ে যায়। এখনও বিচার হলো না, এখনও এ মামলাটির অগ্রগতি হলো না, এ খুবই দুঃখজনক। যত দ্রুত সম্ভব এ হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়া উচিত।
-----ইমদাদুল হক মিলন
২) ''একটা অশ্লীল বিষয় খোলামেলা ভাবে বলাটা ভালো দেখায় না, ওই লেখাটা যেন শিল্পিত ভাষায় হয় সেদিকটা যেন নজরে থাকে।পাশাপাশি স্পর্শকাতর বা উস্কানিমূলক কোন লেখা বা গালাগালি যেন না থাকে।''
‘মৌলবাদী- সাম্প্রদায়িক চক্র মুক্তবুদ্ধির লেখকদের হত্যার মধ্য দিয়ে দেশে অন্ধকারের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তাদের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।’
-----বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান
৩) ''প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া ‘হঠকারী হলিউডি ইভেন্ট''
''চুমু খাওয়ায় কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু পুলিশি প্রহরায় দলবেঁধে চুমু খাওয়া' জাতীয় ইভেন্ট ভ্যা ভ্যা ভ্যা ভ্যা.........''
-----কাবেরী গায়েন
পুরুষের মত নির্লজ্জ বদমাইশ প্রাণী জগতে দ্বিতীয়টি নাই।
যেই পুরুষ মেয়েরা ওড়না না পরলে জগত নষ্ট হয়ে যাবে বলে মেয়েদেরকে ধিক্‌ ধিক্‌ দেয়, সেই পুরুষই মেয়েদের ইনবক্সে ন্যাংটা লিঙ্গের ছবি পাঠায়। নিজে ন্যাংটা হবে কিন্তু অপরের ওড়না লাগবে।
যেই পুরুষ নাস্তিকদের দ্বারা সমাজে ফ্রী সেক্সের প্রসার হবে ভয় পেয়ে কান্নাকাটি কান্নাকাটি করে, সেই পুরুষই নাস্তিকদের মা বোনদের ফ্রী তে খালে বিলে ঝিলে ফেলে ছুদতে চায়। নিজে ধর্ষক হবে কিন্তু অপরকে নাস্তিকতার নাম 'ফ্রী সেক্স' এই দোহাই দেবে।
নাস্তিকরা যদিও কখনো মা বোন ছুদার কথা বলে না, যারা নাস্তিকদের মতামতের বিরুদ্ধে যায় তারাই বরং ফ্রীতে সেক্স করতে চায়। তাদের গালির ধরন এরকম, "তুই তো নাস্তিক, তোর কোন ধর্ম নাই, তুই কুত্তা বিলায়ের মত ফ্রী সেক্স করতে চাস, তোরে তোর মারে একসাথে কান্দে ফালায়া ছুদি।" তাদের কথা শুনে মনে হয় মা মেয়েকে একসাথে ছুদা কোন লাভজনক ব্যবসা। তাদের কথা শুনে এও বোঝা যায় তারা নিজেরাই কুত্তা বিলাই।
ছাগলদের বুঝা উচিত ফ্রী সেক্স মানে যেখানে সেখানে ফ্রীতে যাকে তাকে ছুদা নয়, মা বোনকে তো নয়ই। ফ্রী সেক্স যৌনতায় হা বলার সাথে সাথে না বলার স্বাধীনতা। ফ্রী সেক্স মানে 'আমি তোমার সাথে সেক্স করতে বাধ্য না' এটা বলারও স্বাধীনতা। এতে অবশ্য পুরুষের ক্ষতি হবে, কারণ তারা তখন বউকে অন্তত ধর্ষণটা করতে পারবে না।
*ধরা যাক দু একটা বদমাশ এবার।
পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশ জিতেছে, দেশের মানুষের বাঁধভাঙ্গা আনন্দের জোয়ার। স্ট্যাটাসে স্ট্যাটাসে ফেবু সয়লাব।পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যত কথা লোকে বলছে সেগুলো কি পাকিদেরকে ভালবাসার কারণে লাভস্পিচ, নাকি ওগুলো হেইটস্পিচ? হেইটস্পিচ লোকে তখনি বলে, যখন সেই বিষয়ে ঘৃণা প্রদানের মত যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত কারণ থাকে।
আমি পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বিপক্ষে কথা বললেই রব উঠে, আমার বাক্য পুরুষবিদ্বেষী এবং সেগুলো স্পষ্ট হেইটস্পিচ।
এইবার অল্প করে দেখে নেই পুরুষেরা নারীর সাথে কি কি করেছে এবং করছে---
১৪৮০ থেকে ১৭৫০ খ্রিস্টাব্দে পুরো ইউরোপ জুড়ে ডাইনী সন্দেহে প্রায় ১২,০০০ নারীকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে। সতীদাহ প্রথা্র নাম করে ১৮১৫ থেকে ১৮২৮ সাল পর্যন্ত তের বছরে শুধুমাত্র বাংলায় ৮১৩৫ জন নারীকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে।বৌদ্ধ ধর্ম বলে- 'নারীরা অস্পৃশ্য ও সকল প্রকার অনিষ্টের মূল, পুরুষদের নির্বাণ লাভের পথে নারী প্রধান অন্তরায়, নারী সঙ্গ অবশ্যই পরিত্যাজ্য'। হিন্দু ধর্ম অনুসারে 'নারী নরকের দ্বার'। বাইবেল বলে, 'Root of all evil-সমস্ত অহিতের মূল।' ইসলাম ধর্মে-'পুরুষ নারীর কর্তা,কারণ আল্লাহ তাদের কে এককে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন'।
পিতৃতন্ত্র, পারিবারিক অধিকার বঞ্চিত করে স্বামীর বাড়ি প্রেরণ, সন্তান জন্মদান না করাতে পারলে নারীর জীবন ব্যর্থতায় ভুষিত করণ, সন্তান লালন পালন ও জন্মদানকে জীবনের মুখ্য কর্ম হিসেবে ধরে সমস্ত মানব জীবন একই কাজ করে একই আঙ্গিনায় বন্দীত্বকরণ, পর্দার পাশাপাশি পোশাক পরিচ্ছেদে বাধ্যবাধকতা, ফেরার সময়ে-চলনে-বলনে-স্বরে-বচনে-দৃষ্টিতে-শরীরে-ঘরে-বাইরে সমস্ত ক্ষেত্রে সীমারেখা প্রদান, বেশ্যাবৃত্তি টিকিয়ে রাখা, নারীকে সকল ক্ষেত্রে পণ্যের মত ব্যবহার, সম্পত্তি বঞ্চিত করণ, মানবাধিকার হরণ, দ্বিতীয় লিঙ্গ বানিয়ে অধিকার হরণ, বিবাহিত বা অবিবাহিত যাই হোক অত্যাচার নির্যাতন ও শারীরিক আঘাত প্রধান, নারী ধর্ষণ ও গণধর্ষণ, কণ্যা শিশু ধর্ষণ, স্ত্রী ধর্ষণ, নারী ও কণ্যা শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, এসিড নিক্ষেপ, যৌতুকের নামে নির্যাতন, যৌতুকের কারণে নারী হত্যা, দাসী সঙ্গম, কণ্যা সন্তানের ভ্রূণ হত্যা, কণ্যা সন্তান হত্যা, অবৈধ সম্পর্কের নামে এবরশান, সতীত্বের নামে ফাইজলামী, পারিবারের নিকটাত্মীয় পুরুষদের দ্বারা যৌন হয়রানী, ইভ টিজিং, ধর্মে আইন করে পুরুষের বহুবিবাহ বৈধতা প্রদান করে নারীর সম্মানহানী , নারীকে মানুষ হিসবে অবমূল্যায়ন, নারীর উপর পুরুষের কর্তীত্ব ও খবরদারী, নারীর উপর পরিবার রাষ্ট্র সমাজের নজরদারী, ধর্মের মাধ্যমে পুরুষের থেকে নিম্নশ্রেণীর প্রাণী হিসেবে বিবেচনাকরণ, সংরক্ষীত কোটার নাম করে লোক দেখানো অধিকার প্রধান---আমাদের এই সমাজের পুরুষেরা এরকম অজস্র অন্যায় আচরণ নারীর সাথে করে আসছে হাজার হাজার বছর ধরে।
এর পরও আমার বাক্যে যদি কোন ঘৃণা নির্গত না হয়, পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বিপরীতে কথা বলতে গেলে আমার বাক্য যদি পুরুষের জন্য হেইটস্পিচ না হয়, তবে আমার আর বাংলাদেশের পাকিপ্রেমী ক্রিকেট সমর্থকদের মধ্যে কোন তফাৎ থাকবে না।
প্রতিটা মানুষেরই জন্ম নিতে স্পার্ম লাগে। প্রতিটা মানুষেরই একজন বাবা আছে। প্রতিটা ছেলেই একসময় বাবা হয়। কো্ন বাবাই যদি বদমাইশ না হয়, তবে নারীর সাথে বহু বহু কাল ধরে বদমাইশিগুলা করছে কে?
প্রশ্নঃ পুরুষেরা কখন বদমাইশ?
১) বাবা হওয়ার আগে।
২) বাবা হওয়ার পরে।
৩) পুরুষের বদমাইশির সাথে বাবা হওয়ার কোন সম্পর্ক নাই।
জী পহেলা বৈশাখে বোম মারা হয়েছিল-নারী লাঞ্চনা করা হয়েছিল। কেন যেন?
--- মুসলিম দেশে যাতে হিন্দুয়ানী অনুষ্ঠান বন্ধ হয়, যাতে দেশের নারীরা ঘরের বাহির না হয়।
জী ধোনির কাটা মাথার তাসকিনের হাতে ধরিয়ে ছবি বানানো হয়েছে। কেন যেন?
--- ইসলামে তিন প্রকার(*১) ছাড়া সমস্ত খেলা হারাম। এর পর বিধর্মীরা আল্লার শত্রু এবং বিধর্মীদের চুল ধরে টানার কথা বলা আছে পবিত্র কোরানে(*২)।
(*১) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “সর্বপ্রকার খেলা-ধূলা হারাম। শুধুমাত্র তিনটি বিষয় খেলা-ধূলারঅন্তর্ভুক্ত নয়। ১. তীর-ধনুক চালনা করা, ২. ঘোড়াকে প্রশিক্ষণ দান করা, ৩.নিজ আহলিয়া (স্ত্রীর) সাথে শরীয়তসম্মত হাসি-খুশী করা।”
--- মুসতাদরাক আল-হাকিম।
(*২) ---পরম-বাঁশ-প্রদায়ক কাফেরদের শত্রু। (২:৯৮)
---পরম-বাঁশ-প্রদায়ক অবিশ্বাসীদের মস্তকের সামনের কেশগুচ্ছ ধরে হেঁচড়াবেন। তারপর আহবান করবেন জাহান্নামের প্রহরীদেরকে। (৯৬:১৩-১৮)
১) নির্লজ্জ সত্যঃ মানুষ অন্যকে মেরে, অন্যকে ঠকিয়ে, অন্যের ঘাড়ে পারা দিয়ে, অন্যকে কষ্ট দিয়ে, অন্যেকে আঘাত করে খিলখিলিয়ে হেসে সবচেয়ে বেশি সুখ পায়।
২) পোড়া সত্যঃ আপনি বালছালকে ভালবাইসা পাত্তা দিয়া চুমা দিবেন, বালছাল আপনাকে জায়গামত আইখাসহ বাঁশ প্রদান করবে। বালছালকে বালছাল ভাবতে শিখুন। (মনে হচ্ছে নিজেরে নিজে শান্তনা দিলাম।)
৩) লুলা সত্যঃ প্রেমে পড়লে প্রেমিকের থুথু-কাশি-সর্দি ফেলানোর দৃশ্য, গু-মুত-নাড়ি-ভুড়ি সহ সমস্ত কিছু মধুর মনে হয়। যেই বেগে এই তীব্র ভাললাগা্র জোয়ার আসে একসময় এর চেয়ে বহুগুণ তীব্র বেগে সব ভালবাসা কর্পুরের মত উবে যায়। এই গেলো মেয়েদের কথা। ছেলেরা প্রেমে পড়লে সেক্স চায়, লিটনের বাসায় যাইতে চায়, সময়মত পায় নাই তো ওই মেয়ের বেইল নাই।
৪) নোংরা সত্যঃ পুরুষেরা মনে করে সেক্সটা তাদের একান্ত ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো অধীনস্থ ও গর্বের বিষয় এবং নারীর জন্য সেক্স অতীব লজ্জাস্কর বিষয়। এজন্য তারা নারীদের আক্রমণের সময় বিভিন্নভাবে সেক্সের প্রসঙ্গ তুলে ধর্ষণের মনোভাব প্রকাশ করে কথা বলে । এতে তারা ভাবে নারীদেরকে খুব ছোট করা হলো। সেক্স যদি সত্যিই ছোট করার বিষয় হয়, তবে পুরুষের চেয়ে ছোট,হীন, নীচ, দৈন্য আর কোন প্রাণী নাই।
৫) ভুমিকম্প সত্যঃ আল্লা নবীরে দেবী বাঁশ দিলে পুরুষের ইমানদন্ড তিন হাত খাঁড়ায়া খসে যায় কেন? কারণ, আল্লা নবীর ইমানদন্ড আর পুরুষের ইমানদন্ড এক।
প্রমাণ: মসজিদের মিনার। (মাঝে মাঝে মেয়েরা জিন্স পড়লে মিনারও ধসে পরে।)
সব পুরুষ এক নয়, কিছু পুরুষ খারাপ বাকি সবাই ভাল। কিছু পুরুষের জন্য সব পুরুষকে দায়ী করা ঠিক না।
সব নারী এক, কিছু নারী ভাল হলেও সব নারীই খারাপ। সব খারাপ নারীর জন্য কিছু নারী ভাল হলেও তারা ভাল থাকতে পারে না। এই সকল খারাপ নারীকে ঠিক করার জন্য পুরুষতন্ত্রের কঠোর নিয়মের সৃষ্টি, ভাল নারীর জন্য নয়।
ভাল নারীর সংজ্ঞা কি?

রাজীব হায়দার ওরফে থাবা বাবাকে মাসখানেক ফলো করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেছিল ইমানী দায়িত্বপালনকারী মুসলিমরা। গণজাগরণমঞ্চে রাজীবের বন্ধুদের প্রথমে চিহ্নিত করেই পরে রাজীবকে চিহ্নিত করা হয়েছিল।
আমাদের মাঝে নাস্তিক নামধারী মুক্তমনা সেজেও বোধহয় ইমান হেফাযতকারী মুমীনরা ঢুকে আছে। এমনকি কিছু কিছু মেয়ে নিকেও থাকতে পারে। যারা ধর্মের বিরুদ্ধে লেখালেখি করেন, সুন্দরী নাস্তিক মেয়ে দেখলেই দাঁত খেলিয়ে প্রেম নিবেদন করেছেন, তো জেনে রাখুন আপনি হাফ মরতে বসেছেন।
মাননীয় ধর্ম পুন্দক ভাই ও বোনেরা, ধর্ম ধুইতে আইসা শেষে নিজেই না আবার ধৌত হয়ে যান, সেই বিষয়ে যথেষ্ট সতর্ক থাকার জন্য পুনঃপুনরায় বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হলো।
শেখেরটেক ১০ নাম্বার রোডের শেষ তিনতলায় থাকতাম, এরপর পিসিকালচার হাউজিং এর বিশাল বস্তি ছিল। ভোর হওয়ার আগে থেকে পানির কল ও রান্না ঘরের সিরিয়াল নিয়ে চলতো বাড়াবাড়ি রকমের গালাগালি ও মারামারি। মাথায় বালিশ চেপে জ্ঞান হারানোর মত গালি গুলো হজমের চেস্টা করতাম। মাঝে মাঝে ভাবতাম মধ্যবিত্ত ঘরে না জন্মিয়ে নিম্নবিত্ত ঘরে জন্মাইলে আজ আমারো তাদেরই মত গালাগালি করে অধিকার আদায় করতে হতো। নিজেকে ভাগ্যবান ভাবতাম হয়তো নিজের মনের অজান্তেই।
আমার বন্ধু শোভাকাংখীরা বলে, উন্নত প্রজাতির লেখক হতে। ভাষা সংযত করে শালীনতা বজায় রাখতে। ওদের নাকি আমার স্ট্যাটাস কমেন্টের ভাষা শুনে কানে বালিশ চেপে রাখতে হয়। এভাবে নষ্ট পদ্ধতি অবলম্বন না করে শুদ্ধ পদ্ধতি হাতে নিতে বলে। আমার কাজই যখন সেই বড় বস্তি লেভেলের মানুষের সাথে, আমি নিজেই যখন উপরের তলা থেকে বস্তিতে নেমে এসেছি, সেখানে আমার ভাষাটা সাধু হলে শুধু শুনতে ভাল শোনালেও তেমন কাজে আসবে না। ভাল ভাষায় শুদ্ধ উচ্চারণে চার দিন আগেও মিটিং মিছিল করে নারী দিবস পালিত হয়ে গেলো, বছর ঘুরে আবার হবে। নারীর জাতির কপালে সেদিন পুরুষেরা ফুলচন্দন দিবে, আর বাকি ৩৬৪ দিন ঝাঁটারর বারি। তাই আমি পুরুষতন্ত্রের কপালে ৩৬৫ দিন রেখেছি ঝাঁটারর বারি।
আমি জানি, আমার পোষ্ট কোন রকমের নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পারলেও, পুরুষতন্ত্রের দেয়াল ভেংগে চুরমার করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
দ্র: উপর নিচ যেকোন তলাতেই নারী জন্ম দূর্ভাগ্যের।
মোটর সাইকেলে দুই পা একদিকে করে বসার কারণে নারীদের বিভিন্ন সময় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়। কিছুদিন আগে সন্যাসীদার স্ট্যাটাসের কমেন্টে পড়ছিলাম, শাড়ি পড়ে মোটরসাইকেল চালানো কতোটা ঝামেলার বিষয়। কেউ কেউ বলছিলেন, শাড়ি না পড়তে, কোন কোন পুরুষ রেগে গিয়ে শাড়ি নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব তুলছিলেন-এমন ভাব যেন শাড়ি তাদের নিজস্ব পোশাক, কেউ কেউ বলছিলেন শাড়ি পরেও চালানো যায় তবে লেডিস মোটরসাইকেল চালালে ভাল, কেউ কেউ শাড়ি পরে যে বাইক চালানো যায় সেটার ছবি দিয়ে প্রমাণ দিয়েছেন। শাড়ি পরে মোটর সাইকেল চালানোযাবে না, এটা কথা না। মোটর সাইকেল বা সাইকেল চালানোর জন্য শাড়ি চুরি ফ্যাক্ট না, বিষয়টা এমন না যে-এসব পরলে মোটর সাইকেল স্টার্ট নেয় না। সমস্যা হলো শাড়ি পরে মোটর সাইকেল চালালে নারীর পায়ের কিয়দংশ দেখা যায়। মূল সমস্যা ওখানে। সবাই নিজেদের সেই ক্ষুদ্রতার বিষয়টা এড়িয়ে গিয়ে ভাবছেন, শাড়ি পরে মোটরসাইকেল চালানো যাবে না এবং এর সমাধান কি?
আমি যেই শহরে থাকি, সেটা মূল শহর থেকে বাইরের ছোট একটা শহর এবং স্পীড সীমাবদ্ধ বলে এই এড়িয়ায় যে সকল মোটরসাইকেল চলে তার সবই মোটামোটি ভেসপা টাইপের। তারমানে এই না এইখানে সবাই শাড়ি পড়ে বাইক চালায়। মোটর সাইকেলে বসা পেসেঞ্জারকে চেনার উপায় নেই সে নারী নাকি পুরুষ। সভ্যতার এগিয়ে যাওয়া যখন মুখ্য হয় তখন শরীরের প্রকাশ গৌণ হয়ে যায়। চলন্ত মোটরে কার পেট-পিঠ-চুল-হাত-পা দেখা গেলো কি গেলো না, কার ওড়না বা কামিজ বাতাসে ওড়ে গেলো নাকি ঠিক জায়গায় থাকলো; এইসব সস্তা বিষয় নিয়ে মাথা ঘামানোর মত টাইম এদের নাই এবং এখানে বাঙ্গালী হিজাব পরা মহিলাকেও হেলমেট ও দুই পা দুই দিকে দিয়ে মোটরসাইকেলে বসতে দেখেছি, কারণ হেলমেট আর পা দুই পাশে দিয়ে বসা বাধ্যতামূলক।
ভাবতে খুব অবাক লাগে, আমাদের সমাজ ব্যবস্থা এতোটাই কুৎসিতভাবে পুরুষ নিয়ন্ত্রিত যে, নারীর পোশাক থেকে তাদের চলন বলন সবই পুরুষের অধীনস্থ। সেক্যুলার পুরুষেরাও মুখ ফুটে বলে না, 'নারী কিভাবে বাইক চালাবে সেটা তারা নির্ধারন করবে, আমাদের এইসব নিয়ে মাথা ঘামানোর কি আছে? পা যদি দেখা যায় যাবে, আমরা যদি সেই পা দেখে নিজেদের নিয়ন্ত্রন করতে না পারি সেটা আমাদের সমস্যা, সমস্যা শাড়ি চুড়ি ওড়না বা নারীর নয়। আমরা কি করে আমাদের নিয়ন্ত্রন করবো সেটা নিয়ে আমাদের ভাবা উচিত।'
শাড়ি পরে মোটর সাইকেল চালালে কি হবে? মেয়েদের পায়ের নিচের কিছু অংশ দেখা গেলে কি হবে? মেয়েদের পায়ে কি যৌনাঙ্গ বিদ্যমান? পা দেখা কেন ট্যাবু হবে? পুরুষের পা তো ট্যাবু নয়। আমি তো গ্রামে অনেক পুরুষকে লুঙ্গি পরে মোটরসাইকেল চালাতে দেখেছি, কই তাদের জন্য তো কেউ এরকম কোন প্রশ্ন তুলেনি বা কোন সমাধান খুঁজেনি? মেয়েরা শাড়ি নাকি পায়জামা নাকি প্যান্ট পরে বাইক চালাবে, সেটা তারা নির্ধারন করুক। তাতে যদি পায়ের কিছু অংশ দেখা গিয়ে পুরুষতন্ত্রের মন্দিরে ফাটল একটু ধরে-ধরুক। পা দেখিয়ে যদি দেয়ালে ফাটল ধরানো যায় তবে সরাসরি লাত্থিটা দেওয়ার আর দরকার পরে না।
আপনি পুরুষ বলে যখন তখন যে কোন নারীর ছবিতে গিয়ে লোল ফেলবেন, আপনি পুরুষ বলে নারীর ইন-বক্সে ন্যুড ছবি/ভিডিও পাঠাবেন, আপনি পুরুষ বলে নারীর পোষ্টের কমেন্টে এসে ছুদতে চাবেন, আপনি পুরুষ বলে নারীকে হেয় করে অপমান করে যেন তেন বক্তব্য/উক্তি দিবেন, আপনি পুরুষ বলেই সমগ্র নারী জাতিকে মা তুলে গালি দিয়ে কটাক্ষ করবেন, আপনি পুরুষ বলে নারীর স্তনে সুযোগ পেলেই থাবা দিবেন, আপনি পুরুষ বলেই চলতি পথে নারীর নিতম্বে ঘর্ষণ করবেন, আপনি পুরুষ বলেই সুযোগ বুঝে নারীকে ধর্ষণ করবেন, আপনি পুরুষ বলেই সকাল বিকাল নারীর স্তনের আর যোনীর পরিধি মাপবেন, আপনি পুরুষ বলে নারীর বিরুদ্ধে শালীনতার ফতোয়া দিবেন, আপনি পুরুষ বলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে মেয়ে টিজ করে মজা নিবেন,, আপনি পুরুষ বলে নারীকে ঘরে ভরে চোখ রাঙিয়ে সুখ নিবেন, আপনি পুরুষ বলেই দুনিয়ার সব নারীর অভিভাবক হবেন, আপনি পুরুষ বলেই টাকা দিয়ে মাল বলে নারী কিনবেন, আপনি পুরুষ বলেই নারীর সম্পত্তি কেড়ে খাবেন, আপনি পুরুষ বলেই কথায় কথায় নারীর মুখে হাত চেপে ধরবেন, আপনি পুরুষ বলেই নারীকে যখন ইচ্ছা আবৃত করবেন যখন ইচ্ছা তা টেনে ছিঁড়বেন , আপনি পুরুষ বলেই নারীকে গরুর মূল্যে বেচে দিবেন-পাচার করবেন, আপনি পুরুষ বলেই দেনমোহর দিয়ে বউ কিনবেন, আপনি পুরুষ বলেই স্বামীর নাম ধরে বউ পেটাবেন, আপনি পুরুষ বলেই ধর্মের নামে নারীর উপরে বর্ম ঘোরাবেন, আপনি পুরুষ বলেই নারীকে ন্যাংটা করে কবিতা উপন্যাস ছবি এঁকে বিখ্যাত হবেন, আপনি পুরুষ বলেই নারী বিরুদ্ধে মন মতো শত কোটি আইন বানাবেন, আপনি পুরুষ বলেই নারীকে পাথর ছুঁড়বেন, আপনি পুরুষ বলেই নারীকে আগুনে পোড়াবেন, আপনি পুরুষ বলেই নারীকে যৌতুকের নামে হত্যা করবেন- ফ্যানে ঝুলাবেন, আপনি পুরুষ বলেই পেটের ভেতর মেয়ে শিশু হত্যা করবেন, আপনি পুরুষ বলেই যে কোন দেশের যে কোন নারীকে আপনার সম্পত্তি ভাববেন, আপনি পুরুষ বলেই মেয়ে বোন বউকে ফোটায় ফোটায় স্বাধীনতার নামে বিষ বাষ্প দিবেন, আপনি পুরুষ বলেই নারীরা তার অধিকারের কথা উচ্চারণ করলে তার ঝোণীতে বাঁশ ঢোকাবেন।
হ্যাঁ এতো সবকিছু আপনি সূর্যের আলোর মত নির্ভয়ে-নিঃসঙ্কোচে-নির্দ্বিধায় করতে পারেন একমাত্র আপনি পুরুষ বলেই। আপনি কেবল মাত্র পুরুষ বলেই এতো নিচে নামতে পারেন। প্রাণী জগতের কোন পুংলিঙ্গ সর্বস্ব প্রাণীই এমন নিচে নামতে পারে না, জগতের কোন পুংলিঙ্গ সর্বস্ব প্রাণীই এমন স্বার্থপর-হিংসাত্মক-অত্যাচারী-লোলুপ-প্রতারক-হীন-দৈন্য-নির্লজ্জ-স্বৈরাচারী আচরণ করতে পারে না, আপনি পুরুষ বলেই পারেন। পুরুষ বলেই আপনার গায়ে এমন বালাচরণ শোভা পায়।
'জন্মের ঠিক নেই' গালি আপনি আমাকে দেন। আমার কিন্তু আপনার জন্ম নিয়ে বেশ সন্দেহ হয়। আমার সন্দেহ হয় আপনি কোন নারীর গর্ভ থেকে জন্মা্ননি, আপনি নিশ্চয়ই আপনার মত কোন কদর্য মানসিকতার পুরুষের পেট থেকে পায়ু পথ হয়ে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। আর না হয় আপনি মানুষই নন, আপনি পুরুষ নামক মানুষরূপী রক্তচোষা ভাম্পায়ার পিশাচ। নারীর রক্ত চোষে খাওয়া আপনার কাজ। আপনি বিবেক বুদ্ধি সম্পন্ন মনুষ্য প্রজাতি হলে এমন কুৎসিত আচরণ করতে পারতেন না। এখন থেকে 'ভাম্পায়ার', 'শয়তান', 'পিশাচ', 'নর্দমার কীট' গালির পাশাপাশি আরেক গালির নাম 'পুরুষ'। যেই গালি বহন করে যুগ যুগ ধরে নারীর প্রতি তাদের নির্লজ্জ নিপীড়নের আর হারামীপনার চিহ্ন!
বিয়ে' হল নারীকে ভেঙ্গে গুড়িয়ে চুরমার করে দাবিয়ে রাখার জন্য প্রধান এবং একমাত্র অস্ত্র। যতদিন বিয়ে প্রথা থাকবে ততদিন নারী থাকবে অন্যের হস্তগত পরাধীন খেলনার মত।বুদ্ধি হওয়ার আগে থেকেই একটা মেয়ে শিশুকে বিভিন্নভাবে স্বামীর বাড়ির উপযুক্ত করার জন্য গড়ে তোলা হয়।একটা মেয়ে নিজেকে বিভিন্নভাবে তৈরির মাধ্যমে তার মন মানসিকতাকে উৎসর্গ করে অন্যের বাড়ি যাওয়ার জন্য। বিপরীত-ক্রমে একজন ছেলে বুদ্ধি হওয়ার পর থেকেই অন্যের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য তাকে কি কি করতে হবে সেভাবে সে নিজেকে গড়ে তুলে। একজন মেয়ে বড় হয় নিজেকে অন্যের হাতে সঁপে দিয়ে নির্ভার হওয়ার জন্য, আর একজন ছেলে বড় হয় অন্যের ভার গ্রহণ করে নিজের আধিপত্যের দলিল পাওয়ার জন্য । এই একটামাত্র কারণে মায়ের গর্ভে সন্তান ধারণের পরও সন্তান পরিচিত হয় পিতার নামে।
শুধু এই বিষয়টিই নয়, বিয়ের মাধ্যমে নারীকে তার শেকড় ছাড়তে বাধ্য করাসহ করা হয় বিভিন্নভাবে সম্পত্তি বঞ্চিত এবং মানবাধিকার বঞ্চিত। বাবা অথবা স্বামী দুই বাড়িতেই তারা থাকে অবাঞ্ছিত খড়কুটোর মত। কোন বাড়িই তার নিজের বাড়ি নয়। এমনকি তার নামও তার নিজের নাম নয়। একজন মেয়ের যোগ্যতা নির্ধারিত হয় তার স্বামীর বৈষয়িক সম্পত্তি পরিমাণের উপর। যেই মেয়ের স্বামী যত বেশি ধনী সেই মেয়ের কপাল ততো ভাল বলে বিবেচনা করা হয়। সেইসাথে বুদ্ধির ধারণের পর থেকেই চলে নিজেকে স্বামীর কাছে উৎকৃষ্ট খাদ্যবস্তু করে তোলে ধরার জন্য রূপচর্চার ব্যবহার। একজন ছেলে যেই সময় ব্যয় করে বিজ্ঞান দর্শন শিল্প সাহিত্য রাজনীতি অর্থনীতি সহ বিভিন্ন জটিল জটিল বিষয় জানার পেছনে, একজন মেয়ে সেই সময় ব্যয় করে নিজের পোশাক চুল গহনা ও সাজগোজ করে অন্যের চোখে সুন্দর উপমা পাওয়ার পেছনে। ছেলেরা রাজ্যের কাজ শেষ করে ঘরে ফিরে সুন্দরী বউয়ের কাছে যায়, আনন্দ উপভোগের জন্যে-প্রশান্তির খোঁজে। তাদের কাছে কাজটাই মুখ্য, স্ত্রী হল এন্টারটেইনমেন্ট এর উপাদান মাত্র, গৌণ। একজন মেয়ের ঘরের কাজ থাকে স্বামী কেন্দ্রিক, স্বামী নিয়ন্ত্রিত বিষয়, সংসার-রান্না, সন্তান লালন, যার শেষে তাকে অপেক্ষা করতে হয় স্বামীর আগমনের। মেয়েদের সংসারের কাজ গৌণ, স্বামীর আকাঙ্ক্ষা পূরণ মুখ্য। যদিও কিছু ক্ষেত্রে মেয়েরা চাকুরী করে থাকে কিন্তু সেই অর্থও ব্যয় করে স্বামী সংসারের জন্য, অফিস শেষে সংসারের দায়িত্ব একনিষ্ঠ ভাবে পালন করে যায় ক্লান্ত হাতে।
স্বামী ও স্বামীর বাড়ির পূর্ণ আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারলেই একজন মেয়ে একজন উৎকৃষ্ট স্ত্রী হতে পারে, একজন উৎকৃষ্ট স্ত্রী পারে একজন উৎকৃষ্ট মা হতে, একজন উৎকৃষ্ট স্ত্রী এবং মা-ই পায় সারাজীবন সুখের নামে অসুখে আক্রান্ত হয়ে অন্যের ঘাড়ে খেয়ে পরে জীবন পার করার মত করুণা। মেয়েদের প্রতিভা সহ সমস্ত সৃষ্টিশীলতা ধ্বংস করার জন্য বিয়ে নামক এই একটি চুক্তিই যথেষ্ট। বিয়ে সংসার স্বামী সন্তানের জন্য নিজেকে উপযুক্ত করতে করতে সে তার নিজের ব্যক্তি-পরিচয় ও নিজস্বতা সহ সেইসব বোধ কোথায় হাড়িয়ে ফেলে তা সে নিজেই তা জানে না। সে বেঁচে থেকে থেকে হয়ে উঠে জীবনের বিভিন্ন স্টেজে অন্যের হাতের দানের গুটি ও খেলার পুতুল। তার জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করে ধর্মের নামে ঈশ্বরের নাম করে পুরুষ কর্তৃক প্রদত্ত বিয়ে নামক আইন। যতদিন বিয়ের নামে নারীকে জব্দ করার জন্য এই অশ্লীল কুট-আইনটি বহাল থাকবে, ততদিন নারী জাতির মুক্তির সব আশায় গুড়ে-বালি।
১) ভাই- বিয়ে করে ফেলেন সব ঠিক হয়ে যাবে।
বিয়ে করলে যদি সব সমস্যার সমাধান হতো তবে জগতে আর কোন সমস্যাই অবশিষ্ট থাকতো না।
২) সারাদিন পানি-ওয়ালা ডান্স দেখা পুরুষেরা ক্লিনসেভ করে আমার পোষ্টে এসে যখন মোল্লা পুরোহিত সেজে যায়, তখনই বোঝা যায় 'নারী বিষয়ে' পুরুষদের ভেতরের সাথে বাহিরের কি ভীষণরকম বৈপরীত্য।
৩) বেদের দল সাপ দেখিয়ে বাস্তবে টাকা ছিনিয়ে নেয়, আল্লা পরকালে শতকোটি কাল্পনিক সাপের ভয় দেখিয়ে জীবদ্দশায় হিজাব পড়িয়ে নারী স্বাধীনতা ছিনতাই করে।
৪) বাবা-ভাই-পুত্ররা খারাপ না, তারা কক্ষনো খারাপ কাজ করতে পারেন না। তবে খারাপ কাজ করে কারা? মা-বোন আর মেয়েরা।
৫) পুরুষ যেমন জগতের সব নারীকে নিজের সম্পত্তি ভাবে, তেমনি বাংলাদেশর লোকেরাও সব দেশের মানুষকে নিজেদের ক্রিকেটের সমর্থক ভাবে।
৬) ছেলেরা মেয়েদের পোষ্টে ছবিতে অবলীলায় ডেয়ার, তুমি, সুইটি, বিউটি, কিউটি বললে বন্ধুত্ব হয়। আর মেয়েরা ছেলেদের পোষ্টে লাইক দিলেই প্রেম হয়ে যায়।
৭) আমাদের কিছু সমস্যা আছে, যেমন: মিথ্যা চাওয়া, মিথ্যা পাওয়া, মিথ্যা খাওয়া, মিথ্যা শোনা, মিথ্যা কওয়া ইত্যাদি। এর মূল কারণ, আমরা সত্যের চেয়ে মিথ্যাকে বেশি ভালবাসি।
১) এক বিরাট শালীন বাল-পুরুষের বাচ্চা পোষ্ট দিসে, ''আচ্ছা মানলাম মেয়েটিকে ধর্ষণ করার পর মেরে ফেলা হয়েছে, কিন্তু আপনি কি বলতে পারেন মেয়েটি শালীন ছিল? একটা ছবি বা দুইটা ছবি দিয়ে প্রমাণ করা যায় মেয়েটি শালীন ছিল?
এক প্রেমিক নাকি তার প্রেমিকারে কইতেছিল, ''আমি তোরে বিয়ে করব, তার আগে তোর প্রমাণ দিতে হবে তুই ভার্জিন, কারণ একজন কইছে তুই ভার্জিন না। আগে আমার সাথে সেক্স কর, যদি প্রমাণ হয় তুই ভার্জিন তবে বিয়ে নিশ্চিত''
চলেন ভাইয়ারা তনু নামক মেয়েটির হিজাব টেনে নগ্ন মৃতদেহের শালীনতা পরীক্ষা করি। যদি সে শালীন না হয় তবে ফের ধর্ষণ করে ভালভাবে শালীনতা শেখাই।
হে মহান শালীন বাল পুরুষগণ, আমার নিজ হাতে আপনাদের ইমানদন্ড গোড়ায় কাইটা, আন্ডাবিচী গালায়া, লবনের সহিত আপনার পশ্চাৎদেশে ঢুকায়া - পুনরায় আপনাদেরকে নব্য ভার্জিন বানাতে ছাই। এতে করে একটু শালীনতা নামক বিদ্যার শিক্ষা হইলেও হইতে পারে।
২) দৃশ্যপট এক-
আমার পোষ্টের কমেন্ট: আমি--- আল্লার ঘর মসজিদে ধর্ষণ হয় কেন? আল্লার বান্দা হুজুরে ধর্ষণ করে কেন? আল্লার বান্দি হিজাবিনী ধর্ষিত হয় কেন?
জনৈক পুরুষ--- দেবী তোরে এমনে অমনে কেমনে ছুদি!
উত্তরে আমি----আমি বিবি আয়েশা। আমারে ছুদলে ইসলামের অবমাননা হবে। নবীর বউরে নবী ছাড়া অন্য কেউ ছুদতে মানা। এইটা নবী কোরানের আয়াতের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন। জনৈক পুরুষ--- তোরে পাইলে গরু সাপ ব্যাঙ ঘোড়া হাতি ইত্যাদি দিয়া খালে বিলে ঝিলে ফালায়া ডট ডট ডট।
দৃশ্যপট দুই-
আরেকজনের পোষ্টে কমেন্ট: জনৈক পুরুষ--- ঢাকায় একটা পুরুষ পতিত(পুংলিঙ্গ) আলয় খোলা হোক।
উত্তরে আমি---পতিত পুরুষের ধারনা এর চেয়ে উন্নত হওয়া সম্ভব না।
জনৈক পুরুষ---স্বাগতম দেবী, আপনি কতটা উন্নত ধারনার অধিকারী, তা আপনার পোস্টে প্রমাণিত।
৩) আমরাই নারীকে দিয়ে খারাপ করতে বাধ্য করিয়ে, নারীর গায়ে খারাপের বাহারি মোড়ক পরিয়ে, নারীর ভাল মন্দ বিবেচনা করি। এই বালের ক্ষমতা ও দায়িত্ব জাত হারামী পুরুষদেরকে কে দিয়েছে? এই বাল-পুরুষগণের মুখে আমি রেগুলার টিস্যু নামক কুলুপ ফেলে ফ্ল্যাশ করি।