তনুর জন্য তীব্র প্রতিবাদ হয়েছিল, ফলাফলে আমরা কিন্তু আশাবাদী :) । শিক্ষকের জন্যও হচ্ছে, সবার জন্য হওয়া উচিত। কিন্তু ব্যাপার হলও আমাদের চেতনা আমরা একাত্তরে ঘুম পারাইয়া রাখছি, কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেটা হটাত জেগে উঠে। কোথায় যে জাগে কোথায় যে জাগে না সেটা বুঝা দায়। শিক্ষক গুরু তিনি শ্রদ্ধার পাত্র, তার জন্য প্রতিবাদ করতে হয়। তাই সবাই ওসমান গুষ্টির আর লীগের বালের নাগাল না পেয়ে রবীন্দ্র নজরুল সহ নিজ নিজ কান ধরতেছি। কান ধারায় কিছু হোক আর না হোক, অভিনব একটা উৎসবমুখর প্রতিবাদ তো হচ্ছে। এইরকম সেলিব্রেটিরা কয়েকদিন গণজাগরণ মঞ্চেও এসে স্লোগান দিত, আমি দিতাম; সে কি তীব্র প্রতিবাদ।
কিন্তু এমন অনেক মা আছে যাদেরকে ধর্ষণের পর মেরে ফেলা হয়। তখন এই জাতি মায়ের জন্য কাঁদতে পারে না। একজন শিক্ষিকা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, তিনি কারোর মা এখনো হয়েছেন কিনা জানি না। তার জন্য আমরা কেউ কিন্তু নিজেদের চ্যাট ধরে প্রতিবাদ করিনি, কখনো করব এমন আশাও রাখি না। (অবশ্য ধর্ষণের জন্য মা লাগবে এমন কোন কথা নেই, শিশু বাচ্চা হলেও চলে। আমি শিক্ষক শ্রদ্ধার পাত্র, তাই মা আমাদের কেমন শ্রদ্ধার যোগ্য বুঝাইতেই মাকে টেনেছি। প্রতিদিন আমরা আর কিছু করি বা না করি, বিরোধ হলেই ধরে মাকে আগে ছুদে দেই।)। কারণ ধর্ষণ এই দেশে পানিভাত, কয়টা ধর্ষণ এবং পরবর্তী হত্যা বিচার পায়? আর পাইলেই কি ধর্ষণ উৎসব বন্ধ হয়? হয় না। এটা চলমান, আগেও চলেছিল, বর্তমানেও চলছে, ভবিষ্যতেও চলবে। ধর্ষণের পর মেরে ফেলতে পারলে সেটা আরও সহি, কোন প্রমাণ রইলো না। মা মরলেই কি বেশ্যা মরলেই কি! ধর্ষণের প্রশ্নে হিন্দু মুসলিম আমরা সকলেই পুরুষ, সকলেই ভাই ভাই। অবশ্য বঙ্গদেশে বিধর্মী নারীদের ধর্ষণ করতে পারলে সাথে সোয়াবও ফ্রি।
ভালোর ভালো শিক্ষক মশাই এখনো এই দেশে বেঁচে আছেন। মরে গেলে হয়তো এই সত্যটাও বের হতো না যে, তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগটা মিথ্যা ছিল। আর ইসলাম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে মরলে বিচার পাওয়ার কেমন আশা থাকে সেটাতো আমাদের সবারই জানা।
No comments:
Post a Comment