আত্মহত্যা একটা ব্যাধির নাম। জীবনের কোন এক হতাশাজনক সময়ে কোন ব্যক্তির আত্মহত্যা করার সাধ জাগলে, সে তা হটাত পাওয়া দেবতার বরের মত জীবনভর বয়ে নিয়ে বেড়ায়। যেটার পেছনে আসলে কোন যুক্তিযুক্ত কারণ নাই। আপনি যদি কোন বিপর্যস্ত মুহূর্তে আত্মহত্যা করার ইচ্ছা পোষণ করে থাকেন, আপনি আপনার সেই অবস্থা থেকে নিম্ন অবস্থানের লোকের কথা ভেবে বেঁচে থাকার প্রেরণা পেতে পারেন। যেমন ধরুন আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকা আপনাকে ছেড়ে চলে গেলো বলে আপনি আত্মহত্যা করবেন বলে ভাবছেন, সে মুহূর্তে আপনি যদি কোন ব্যক্তিরপ্রেমিক প্রেমিকা মৃত্যুর সংবাদের কথা ভাবেন তবে আপনার সে চিন্তা অন্য দিকে মোড় নিতে পারে। অনেকটা রবীন্দ্রনাথে জুতা চুরির মত, আপনি ভাল জুতা পেলেন না বলে মন খারাপ করছেন যার পা নাই সে তবে কি করবে।
যে চলে যায় তাকে চলে দিতে হয়, এটাই নিয়ম। কাউকে জোর করে আটকিয়ে রাখা যায় না, মনের উপর জোর চলে না সেটা আপনার চেয়ে ভাল কেউ জানে না। দশ বিশ বছরের ভালবাসার বিবাহিত সংসারও কখনো কখনো টেকে না। আপনি যদি আপনার প্রিয় মানুষটির প্রতারণার শিকার হওন সেটা হাসিমুখে না মানতে পারলেও একটু কষ্ট করে হলেও মেনে নেওয়া উচিত। প্রেমে বিচ্ছেদের কারণে আত্মহত্যা হোক বা অন্য কোন কারণে হোক আত্মহত্যা করাটা এক ধরনের বোকামি। এই আবেগী মানসিক অধঃপতনের সময়টা কোন ভাবে পার করতে পারলেই আপনি আপনার জীবনে জিতে যাবেন। এটা অনেকটা পুনর্জন্মের মত আনন্দ দিতে পারে। কিন্তু একবার মরে গেলে আর ফেরার উপায় নাই।
একারণে যদি কারো কখনো একান্তই জীবনকে তুচ্ছ মনে হয়, তার উচিত অন্য কারোর সাথে ব্যাপারটা শেয়ার করা। তখনই বুঝতে পারবেন সে ব্যক্তিটি আপনাকে কতোটা ভালবাসে। কোন না কোন ভাবে সময়টা বইতে দিলেই এক সময় এমন দুর্ভাবনা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এ জন্য আপনি দূরে কোথাও ঘুরতে যেতে পারেন, বন্ধুদের সাথে মজা করতে পারেন, সিনেমা হলে সিনেমা দেখতে পারে, বই পড়তে পারেন অথবা শারীরিক পরিশ্রমের কোন কাজ করতে পারেন। ঠিক সেই সময়গুলো অন্য সময়ে এবং অন্যের জীবনে ঢুকে যেতে পারলেই নিজের প্রতি এতোটা নির্দয় ও স্বার্থপর হওয়ার চিন্তা থেকে আপনি বেড়িয়ে আসতে পারবেন। শুধু অন্য কে না নিজেকে ভালবাসতে ও মূল্য দিতে শিখুন।
No comments:
Post a Comment