মাতৃত্ব আর ঋতুস্রাব এই নিয়ে অনেকরেই পুতুপুতু টাইপ শালপার্টি ঠ্যাটাচ দিতে দেখা যায়। অনেকই পিরিয়ড আর মাতৃত্বের দুঃখ কষ্টের কথা তুলে এইটাকে ঐশ্বরিক পর্যায়ে নিয়ে সমবেদনা কামনা করে। যেমন মসজিদের পোলাপান আল্লার ঘরের জন্য সাহায্য ছায়। মেয়েরা মায়ের জাত এই বইলা পুরুষেরা নাকমুখচোখপানি সম্মান নারীকে দিয়ে থাকে, উচিত পাওনা দেওয়ার নামে ঠনঠন।
ঋতুস্রাব আর গর্ভধারণ এইটা শারীরিক শরীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া। প্রকৃতিগত ভবে এইটা নারী পাইছে। পুরুষ পাইলে পুরুষও সন্তান ধারণ করতে পারতো। পুরুষ সন্তান পয়দাকরতে পারে না বলে তার হীনমন্যতা বোধের কিছু নাই বা তার এতে অসম্মানের কিছু নাই। ঠিক তেমনই নারী পারে বলে তার গর্বের কিছু নাই বা সম্মানেরও কিছু নাই। যদি নারীরে সম্মান দিতে হয় তবে তার প্রাপ্য সম্মান দেন, নারীর সম্মান বিবেচিত হইবে তার কাজে। লুলা ল্যাংড়ার মত শরীরবৃত্তীয় সক্ষমতা আর অক্ষমতা দিয়ে মানুষের সম্মান বিবেচনা দেখলে আমার ঘেন্না লাগে।
যদি একান্তই ছান তবে নারীকে মানুষ হিসেবে দ্বিতীয় লিঙ্গ পরিচিতি বাদ দেন। তাকে তার প্রাপ্য ঠিক মত দেন। তাকে তার অধিকার দেন। তাকে বিবেচনা করুন তার কাজের ভিত্তিতে। মা হইতে পারে আর মাসিক হয় বলে নারীরে সম্মানের কিছু নাই। এইটা মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্তে নাম কইরা বেহেস্তে গিয়া সমস্ত সুবিধাদি যেমন পুরুষের, তেমনি জগতে নারীর মায়ের জাতি বইলা সমস্ত সুবিধাদি পুরুষের ভোগের মত নাকের আগায় একটা মুলা ঝুলানো ছাড়া অন্য কিছু না।
কাইল খইছিলাম, খাড়ায়া পেশাব যদি সম্মানের হয় তবে বাইচ্চা জন্মদান ও মেয়েদের জন্য সম্মানের। মানুষরে শরীরের উপাদান বা মাংস কম বেশি দিয়ে বিচার না কইরা কাজ দিয়ে মানুষ হিসেবে বিচার করতে শিখুন।
No comments:
Post a Comment