শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন- 'চাতুর্বর্ণ্যং ময়াসৃষ্টম্' (গীতা,৪/১৩) - চার বর্ণের সৃষ্টি আমি করেছি।
এইখানে গুণের মাধ্যমে আমি কর্মকে আলাদা করেছি, 'গুণকর্ম বিভাগশ:' বলে যারা ত্যানা প্যাঁচাইতে আসবেন, তারা অনুগ্রহ করে বলিবেন কার কর্মগুণে অর্জুন ক্ষত্রিয় বর্ণে জন্মেছিল?
এইখানে গুণের মাধ্যমে আমি কর্মকে আলাদা করেছি, 'গুণকর্ম বিভাগশ:' বলে যারা ত্যানা প্যাঁচাইতে আসবেন, তারা অনুগ্রহ করে বলিবেন কার কর্মগুণে অর্জুন ক্ষত্রিয় বর্ণে জন্মেছিল?
এখন আপনি বলতে পারেন, ভগবান কাকে কি রূপে পাঠায়, কাকে কোন বর্ণে জন্মদান করায় সেটা বুঝা ভার। এটা ভগবানের পরীক্ষা। ঠিক যেমন সোমালিয়ার খেতে না পাওয়া জীর্ণ শিশুটিকে দেখে আপনার মন ভগবানের প্রতি ভালবাসায় ভরে যায় এই ভেবে যে, তিনি আমাদেরকে তাদের থেকে কত ভাল রেখেছেন; সব ভগবানের কৃপা। আপনার মনে এই প্রশ্নটা কিন্তু আসে না, ভগবান কেন সৃষ্টিতে বৈষম্য তৈরি করেছেন? অথবা নেপালে ভুমিকম্প হলে আপনি ভগবানের প্রতি তুষ্ট থাকেন এই ভেবে যে, ভগবান আপনাকে কৃপা করেছেন। তেমনি আপনি নিচু জাতে জন্মালে আপনি ভাবেন ভগবানের পরীক্ষা, আর উঁচু জাতে জন্মালে ভগবানের কৃপা। একবার মনে প্রশ্ন আসে না, জাতপাতের তৈরি করে মানুষে মানুষে এই গণ্ডগোলের কি দরকার ছিল?
গীতার মত একটা মহাবর্ণবাদী গ্রন্থ উদার হয় কি করে?
No comments:
Post a Comment