ভগবান শ্রী কৃষ্ণের বিভিন্ন কার্যকলাপ অনুসারে তার ভিন্ন ভিন্ন নাম আছে। যেমন, মধু নামক দানবকে সংহার করার জন্য তার নাম মধুসুধন, গাভী ও ইন্দ্রিয়গুলোকে আনন্দ দান করেন বলে তার নাম গোবিন্দ, বসুদেবের পুত্ররূপে অবতীর্ণ হয়েছিলেন বলে তার নাম বাসুদেব, দেবকীর সন্তানরূপে অবতীর্ণ হয়েছিলেন বলে তার নাম দেবকীনন্দন, বৃন্দাবনে যশোদার সন্তানরূপে তিনি তার বাল্যলীলা প্রদর্শন করেন বলে তার নাম যশোদানন্দন এবং সখা অর্জুনের রথের সারথি হয়েছিলেন বলে তার নাম পার্থসারথি। সেই রকম, কুরুক্ষেত্রের রণাঙ্গনে অর্জুনকে পরিচালনা করেছিলেন বলে তার নাম হৃষীকেশ।
সমস্ত জীবের ইন্দ্রিয় এবং মনের নিয়ন্তা হইলেন ভগবান শ্রী কৃষ্ণ। শয়নে স্বপনে জাগরণে ভক্ত ভগবানের নাম স্মরণ করলেই ভগবান সন্তুষ্ট হোন। জীবেরা হচ্ছে তার অবিচ্ছেদ্য অংশ, তাই জীবদের ইন্দ্রিয়গুলি ভগবানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সমস্ত জীবের অন্তরে অবস্থান করে ভগবান তার ইন্দ্রিয়গুলি পরিচালিত করেন।তবে এটা নির্ভর করে আত্মসমর্পণের উপর। শুদ্ধ ভক্তের ক্ষেত্রে ইন্দ্রিয়গুলি ভগবান প্রত্যক্ষভাবে পরিচালিত করেন। ভগবানের ভক্ত অর্জুন এক মুহূর্তের জন্যও শ্রী কৃষ্ণ কে স্মরণ থেকে বিস্মৃত হতেন না। একারণেই কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে তিনি অর্জুনের ইন্দ্রিয়কে নিজে পরিচালনা করেছিলেন।
কিন্তু এখন কথা হলো, এই যে বাংলাদেশে মুসলিমদের দ্বারা ভগবান ভক্ত হিন্দুরা প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হতে হতে শূন্যের কোঠায় পৌঁছচ্ছে, কোথায় এখন কৃষ্ণের সেই রুদ্রমূর্তি? কোথায় কৃষ্ণের লীলাখেলা? নাকি তার সমস্ত দৈবশক্তি সেই সময়ের জন্য প্রযোজ্য ছিল, বর্তমানের জন্য না? এর দুইটা কারণ হতে পারে। এক বাংলাদেশের হিন্দুরা তাদের জপ যজ্ঞ পূজা প্রার্থনা দ্বারা হয় কৃষ্ণকে খুশি করতে পারে নাই; মানে তারা সহি কৃষ্ণ প্রেমিক হইতে পারে নাই। আর না হলে কৃষ্ণ এতদিনে তার সমস্ত রবোটিক পাওয়ার নিয়ে মরে ভুত হয়ে গেছে। যে কারণে তার কোন রকম ক্রিয়াকলাপ আমরা বর্তমানে দেখতে পাচ্ছি না। তাই যারা এখনো 'হরে কৃষ্ণ' জপে জপে মুখে ফেনা তুলেছেন আসলে তা 'হরে ভুত' বলে ভগবানের দরবারে জমা হচ্ছে।
'হরে কৃষ্ণ' থুক্কু 'হরে ভুত'।
'হরে কৃষ্ণ' থুক্কু 'হরে ভুত'।
No comments:
Post a Comment