‘হেড স্যার ক্লাসে ছেলেমেয়েদের খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে আমাকে বলেন- তুইও নাপাক তোর আল্লাহও নাপাক। পরে হেড স্যার আমাকে মারধর করেন। আমি ব্যথা পাওয়ায় আল্লাহ আল্লাহ বলতে থাকলে হেড স্যার বলেন- আল্লাহ বলতে কিছু নাই।’ শিক্ষক শ্যামল কান্তি এমন কথা বলেননি, যদি বলেও থাকেন তাতে করে আপনাদের ঠিক কোন জায়গায় আঘাত হানল?
'তুই নাপাক আর তোর আল্লাও নাপাক' এই কথা যদি আপনাকে কেউ বলেই থাকে, এতে কি আপনি নাপাক হয়ে যাবেন বা আপনার এই বিশ্বভ্রমান্ডের সৃষ্টিকর্তা এতো বড় আল্লা কি নাপাক হয়ে যাবে? মেয়েদের মাসিক হওয়ার মতো আল্লাহ বা কোন পুরুষ নাপাক হয়ে যাওয়া কি এতো সোজা? আপনাদের বিশ্বাসের দৌড় সত্যিই তাইলে মসজিদ পর্যন্ত? মানুষ ভিন্ন গ্রহে যাইতেছে, বিজ্ঞানীরা মানুষের কল্যাণের জন্য একের পর এক নতুন নতুন মানব কল্যানকর উপাদান আবিষ্কার করতেছে। কোন বিজ্ঞানীকে 'তুই নাপাক বা তোর আবিষ্কার নাপাক' বলে দেইখেন তো তারা কি বলে? খুব বেশি হলে একটা মুচকি হাসি দিয়ে আপনার অজ্ঞতার জন্য করুণার দৃষ্টি নিয়ে আপনার দিকে তাকাবে অথবা আপনার মাথায় হাত বুলিয়ে বলবে 'বেঁচে থাকো বাছা'। যেখানে পাক নাপাক শব্দ দুটোরেই কোন ভিত্তি নেই, পাক নাপাক মাপার কোন ওজন যন্ত্র নেই কিম্বা পাক নাপাক কোন সংখ্যা দিয়ে দিয়ে গুণা যায় না অথবা পাক নাপাকের নির্দিষ্ট কোন পরিমাণও নাই; সেখানে এইসব সত্য ভেবে বা অপমানজনক ভাবে নেওয়ার কোন মানে আছে কি? যদি পাক নাপাককে আপনি সত্য হিসেবে না-ই নিচ্ছেন, আপনি বা আপনার আল্লা যদি নাপাক না-ই হয়ে থাকে তবে আপনি বিষয়টিকে গুরুত্ব দিবেনই বা কেন?
কেউ যদি কার্টুন এঁকে বলে 'এটা নবী মোহাম্মদ' মুসলিমরা ধরে নেয় এটা নবী মোহাম্মদ। কেউ যদি বলে আল্লাহ নাপাক তারা ধরেই নেয় আল্লা নাপাক। কিম্বা কেউ যদি বলে আল্লা নাই আপনারা ধরেই নেন আল্লা নাই। এতো ছটাক খানেক বুদ্ধি নিয়ে আপনারা বাঁচেন কেমন করে? এটা নিয়ে বড়জোর হাসিঠাট্টা করা যায়, এতো সিরিয়াস হওয়ার কি আছে ইমানদার ভাউয়েরা? আপনার আল্লা নবীর অস্তিত্ব এতো ঠুনকো কেন যা মানুষের মুখের কথায় বা কলমের খোঁচায় নাই হয়ে যায়? একবার ভাবতে পারেন, আল্লা নবী আপনাদেরকে কতোটা মানসিক দৈন্যতা গিফট করেছে?
No comments:
Post a Comment