Tuesday, April 26, 2016

বাংলাদেশের মত দুর্ভাগা দেশ কি আর আছে! এইখানে ধরে ধরে মেধাবী মননশীল মানুষ গুলোকে কুপিয়ে মেরে ফেলা হয়। যাদের কিছু সামর্থ্য আছে তারা দেশ থেকে পালিয়ে বাঁচার চেস্টার করে। আর বাকিরা প্রাণ হাতে নিয়ে উদ্ভ্রান্ত জীবনযাপন করে। এরা কেউই খুনি নয়, ধর্ষক নয়, লুটেরা নয়, যুদ্ধবাজ নয়। এরা সবাই চিন্তাশীল লেখক। এরা তাদের লেখার মাধ্যমে জাতিকে আলোকিত করতে চায়। দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। এরা কেউই কোটিপতি নয়। এরা নিতান্তই দরিদ্র মানুষ। বৈষয়িক ভাবে দরিদ্র হলেও এরা চিন্তার দিক থেকে পৃথিবীর অন্য দেশের প্রগতিকামী লোকের মতই উজ্জ্বল এবং ধনী।
এই অবস্থায় দেশের রক্ষক সরকার যখন এগুলোকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে এড়িয়ে যায় এবং এও বলে দেয় লেখালেখির কারণে কেউ মারা পরলে সেই দায় সরকারের নয়। তখন সরকারকে আর রক্ষক মনে হয় না, রাক্ষস মনে হয়। যে দেশের সরকার প্রধানরা রাক্ষস হয়, সে দেশের মেধাবীরা তার খাদ্য হবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ সরকারের ভুলটা তাদের চোখেই প্রথম পড়ে।
১) এই তোর নাম কি?
--রঞ্জন সাহা।
হালায় মালাউল। ধর কোপা।
২) এই তোর ধর্ম কি?
--মুসলিম শিয়া।
হালায় সহী মুসলিম না। ধর কোপা।
১) এই তোর নাম কি?
--রঞ্জন সাহা।
হালায় মালাউল। ধর কোপা।
২) এই তোর ধর্ম কি?
--মুসলিম শিয়া।
হালায় সহী মুসলিম না। ধর কোপা।
৩) এই তুই কি করস?
--ছবি আঁকি।
হালায় চিত্রকর। ধর কোপা।
৪) এই তোর হাতে এইটা কি?
--গীটার।
হালায় গান বাজনা করে। ধর কোপা।
৫) এই তোর সাথে এই মাইয়া কে? কই যাস?
--আমার জিএফ। ঘুরতে যাই।
হালায় জেনাকারী। ধর কোপা।
৬) এই তুই নাকি শিক্ষক? কি পড়াস?
--বিজ্ঞান পড়াই।
হালায় কোরান হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা করে। ধর কোপা।
৭) এই তুই বোরকা ছাড়া কই যাস?
--শফিকের সাথে সিমেনা দেখতে যাব।
শালী দুশ্চরিত্রা ব্যভিচারিণী। ধর কোপা।
৮) এই তুই ফেবু তে কি লিখিস?
--নবীর জীবনীর কিছু কিছু অংশ তুলে ধরে মাঝে মাঝে লেখালেখি করি।
হালায় নবীর কটুক্তিকারী। ধর কোপা।
৯) এই তুই নাকি ব্লগার?
--আমি 'ইসলামের জ্যোতি' নামে ব্লগে লিখেছি দুই একবার।
হালায় নাস্তিক। ধর কোপা।
১০) এই শুনছি তুই নাকি শেলীর লগে প্রেম করস?
--হ্যা করি।
হালায় বিয়া আগেই প্রেম করে। ধর কোপা।
আগামীকাল কার পালা?
একজন সংসারী আদর্শ পুরুষের লক্ষন সমুহঃ
* তারা গোসল করবে খোলা লুঙ্গির উপরে দাঁড়িয়ে, ওটা ওভাবে ফেলেই বের হয়ে যাবে।
* তারা গোসল শেষে বাথরুমের পানি কখনোই মুছবে না, এর উপর দিয়েই চপ চপ করে পানি সহ বাইরে বের হয়ে যাবে।
* তারা তাদের কাপড় চোপর কোথায় আছে জানবে না, কিন্তু শুক্রবারে পাঞ্জাবী ধূয়া এবং ইস্ত্রি করা চাইবে।
* তারা বেডরুমে গন্ধওয়ালা জুতা মোজা খুলে ফেলে রাখবে।
* তারা কখনোই রান্নার ধারে কাছে যাবে না, কিন্তু মাংসে তেজপাতার পরিমাণ বেশি কেন বা ভাত একটু শক্ত কেন এই নিয়ে স্ত্রীকে রন্ধন-বিদ্যা শিক্ষা দেবে।
* তারা অপর পুরুষের কাছে নিজের স্ত্রীকে ছোট করে কথা বলবে।
* তারা ঘুম থেকে উঠে কখনোই বিছানা গোছাবে না।
* ভেজা তোয়ালে যেখানে সেখানে ফেলে রাখবে।
* ছেলে মেয়েকে কখনোই পড়াবে না। পরীক্ষায় খারাপ করলে উল্টো গালিগালাজ করবে।
* তারা ছেলেমেয়েকে কখনোই স্কুলে আনা নেওয়া করবে না।
* ছেলে মেয়ের স্কুলে বা খেলায় কখনোই বাবার উপস্থিতি থাকবে না, কিন্তু সন্তান স্কুলে ভাল করলে সব ক্রেডিট বাবার।
* তারা কখনোই তার স্ত্রী বাইরে কাজ করুক চাবে না, ঘরে বসে সিরিয়াল দেখলেও স্ত্রী আনকালচার্ড বলে নাক সিটকাবে।
* তারা ভাত খেয়ে কখনোই প্লেট ধোবে না, এমনকি নিজের গ্লাসে পানিও ভরে খাবে না।
* তারা সন্তানের লালন পালন জীবনেও পুরা একদিন করেছেন কিনা সন্দেহ। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা বাচ্চা দেখা শোনা করেই মহাভারত উদ্ধার করেছেন এমন ভাব ধরে আহ্লাদে তিনদিন বসে খাওয়ার দাবী তুলবেন।
(আরও যোগ করতে পারেন।)
এই কাজগুলো যিনি করে দিতে পারেন ঠিকমত তিনিই সংসারী আদর্শ নারী। এই হলোএকজন সংসারী আদর্শ পুরুষ এবং আদর্শ নারীর সংজ্ঞা। দেখুন ব্যাক্তি বিশেষে আদর্শ কিভাবে বদলিয়ে যায়।
আপনি আপনার দেশ, পরিবার, বন্ধু-আত্মীয়, পরিচিত পরিবেশ, আপনার বিছানা, সকাল সন্ধ্যা, দেশ ছেড়ে বিদেশে এলেন। এমন এক দেশে এলেন, যেখানের কোন গাছের নাম আপনি জানেন না, কোন মাছের নাম না, কবুতর ছাড়া কোন পাখির নাম না, দুই একজন স্বদেশী ছাড়া কোন মানুষকেও আপনি চিনেন না। ওরা আপনার মত পোশাক পড়ে না, আপনার খাবার খায় না, আর আপনার আর তার ধর্মের অবস্থান দুই মেরুতে। ১৫/২০ দিনে সূর্যের মুখ দেখা যায় না,তাপমাত্রাও হিমাংকের নিচে, মাঝে মাঝে বরফে ছেয়ে সাদা হয়ে যায় চারপাশ। আপনি কি এই অসহায় অবস্থায় মরে যাবেন না তারা আপনাকে মেরে ফেলবে, এটা আপনি বা তারা কেউই করবেন বলে মনে হয় না।
তেমনি প্রতিটা মানুষের চিন্তা-চেতনা, দর্শন, মতাদর্শ, গড়ে উঠে সমাজ পরিবেশ সর্বোপরি সে কি শিক্ষা গ্রহণ করেছে তার উপর। আপনার মনে জিজ্ঞাসা এলে, প্রশ্ন এলে আপনি জিজ্ঞাসা করবেন, যুক্তিসংগত উত্তর খুঁজবেন। কোন কিছু মানব জাতির মসৃণ চলার পথে বাঁধা মনে হলে, অযৌক্তিক কিম্বা ক্ষতিকর মনে হলে, এমন কোন নিয়মাদি বা সিস্টেম পেলে আপনি প্রতিবাদ করবেন। আপনি চাইলে সুশীল হতে পারেন। সব কিছু জানিয়া বুঝিয়া না খেপিয়া বিষবৃক্ষের গোঁড়ায় জলদান করিতে পারেন। সবাই তা পারে না। কেউ কেউ একটু নড়েচড়ে উঠে, কেউ আবার এইসব কুপ্রথা আর তার দ্বারা কৃত অন্যায় ও অনিষ্টের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে, আওয়াজ করে, কলম তোলে, এখন অবশ্য কীবোর্ড চাপায়। মানব সভ্যতা এইভাবেই এগিয়েছে, এইভাবেই এগোয়।
বাহ্যিক এবং অন্তর্নিহিত সম্পূর্ণ অমিল থাকা সত্যেও ওই বিরুদ্ধ দেশে বিপরীত পরিবেশে আপনাকে কেউ গির্জায় যেতে বাধ্য করেনি। আপনি সেখানে অনেক নিরীশ্বরবাদী দেখেছেন প্রকাশ্যে রাস্তায় ঘুরে বাড়াতে। আপনি আপনার মত চলতে পেরেছেন দিব্বি। কিন্তু আপনার দেশের কোন ব্যক্তি আপনার ধর্মের প্রচলিত ন্যায় বিরোধী কর্মকাণ্ড অথবা অযৌক্তিক, অবৈজ্ঞানিক হাস্য কর কর্মকাণ্ড নিয়ে কথা বললে, আপনি তাকে হত্যা করবেন বা আপনার ভয়ে তাকে পালিয়ে দেশত্যাগ করতে হবে বা আপনি তাকে নির্বাসিত করবেন, এটা কেমন শিক্ষা? আপনার মানসিকতায় মানব হত্যার মত সংস্কৃতি যাতে বাসা না বাঁধে এর জন্য যেই লোকটি কথা বলতেন, তাকেই আপনি হত্যা করলেন?
আপনি সেই দেশে তাদের মত শুকর খান না বলে, তাদের ধর্ম না মেনে শুকরের বাচ্চা বলে কটাক্ষ করেন বলে, বা পাঁচ-বেলা আপনার মত ফ্লোরে মাথা ঠুকে না বলে অথবা মালাউন কাফের মুরতাদ বলে ঘৃণার দৃষ্টিতে তাদের দিকে তাকান বলে তারা কিন্তু আপনাকে মারতে আসেনি। অথচ আপনি মারতে আসেন, আপনি আক্রোশে রাগে হিংসায় ঘৃণায় আক্রমণ করতে আসেন আপনার পরিচিত অঙ্গনের নাস্তিক, হিন্দু, উপজাতি সহ আরও বিধর্মীদের।
আপনি ভুলে যান আপনার এই একমাত্র পরিচিত আল্লা ছাড়া আরও ঈশ্বর আছে পৃথিবীতে, আরও অঞ্চল আছে যেখানেও এই ধর্ম ছাড়া লোকে সুখে শান্তিতে বসবাস করে, আরও ফুল পক্ষী লতা পাতা বরফ হিম হাওয়া আছে যা আপনার অচেনা। ওখানেও মানুষ বাঁচে, মানুষ স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে, তাদেরও ঈশ্বর আছে আপনারই মত। ওখানেও নাস্তিক আছে যারা ঈশ্বরের অস্তিত্বে অস্বীকার করে। তারা আপনি ভিন্নবর্ণ ভিন্নভাষী ভিন্নধর্মী বলে আপনাকে কোপাতে আসবে না। আপনি যাবেন, আপনি যান। কারণ আপনার জগত এটুকু জানা শোনার বোঝার মধ্যেই সীমাবদ্ধ, এর বেশী কেউ বললে, বুঝলে, ব্যাখ্যা করলে আপনার কাছে সীমালঙ্ঘন মনে হয়, আর সীমা-লঙ্ঘনকারীকে হত্যার নির্দেশ রয়েছে আপনারই পরম পূজনীয় গ্রন্থে। মানুষ দেখতে দেখতে খায় (পড়ে), খাইতে খাইতে (পড়তে পড়তে) শিখে, শিখতে শিখতে সভ্য হয়। আপনি দেখবেন অন্ধকার, খাবেন নোংরা, আপনি শিখবেন অসভ্যতা আর আপনার আচরণও হবে কালো বর্বর এবং কুৎসিত, এটাই স্বাভাবিক।

Friday, April 22, 2016

এরিস্টটলের সময়ে তিনি ছিলেন মহানবীর মত সম্মানীয়। এরিস্টটলের (৩৮৪-৩২২ খ্রীঃ পুঃ) পূর্বে প্লেটোও তার ছাত্রদের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচার করেছিলেন পৃথিবী স্থির। সূর্য, চন্দ্র এবং অন্যান্য সকল নক্ষত্ররাজি পৃথিবীকে ঘিরে পদক্ষীন করে। কোপার্নিকাসের (১৪৭৩-১৫৪৩) আগে পর্যন্ত বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থও ভূ-কেন্দ্রিক এই মডেলটি বিশ্বাস করতো। কোপার্নিকাসের আগে ভূ-কেন্দ্রিক এই মডেলের বিরোধিতা করেছিলেন এরিস্টাকাস্ট (৩১০-২৩০ খ্রী পূঃ) । তিনি অতি সাহসের সাথে এরিস্টটলের মতবাদ কে অস্বীকার করে বলেছিলেন পৃথিবী এক বছরে সূর্যের চারদিকে ঘুরে আসে, যাকে আমরা এখন বার্ষিক গতি বলে জানি। এমনকি তিনি এক দিনে পৃথিবী নিজ অক্ষের উপর আবর্তন করে (আহ্নিক গতির কথা) সেটাও বলেছিলেন। কিন্তু তিনি তার মতবাদের পক্ষে সেসময় কোন গাণিতিক প্রমাণ হাজির করতে পারেনি। আর এরিস্টটলের প্রতিপত্তি ছিল বিশাল। তার অনুরাগীর সংখ্যা ছিল অনেক, বিধায় এরিস্টাকাসের 'সূর্যকেন্দ্রিক'(Heliocentric)মতবাদ খড়-কুটোর মত ভেসে হারিয়ে যায়। গ্রীক জোতির্বিদ টলেমীর ১৪০ খৃষ্টাব্দে দেওয়া 'সর্বকালের শ্রেষ্ঠ' ভূ-কেন্দ্রিক ভুল মডেলটি তের শত বছর ধরে রাজত্ব করে। যা পরে প্রথম বাঁধার সম্মুখীন হয় পোলিশ এক যাজক নিকোলাস কোপার্নিকাসের মাধ্যমে। তিনি পৃথিবীকে কেন্দ্র থেকে সরিয়ে সূর্যকে কেন্দ্রে এনে একটি বই লিখে ফেলেন ১৫৩০ সালে। বইটি লেখার ১৩ বছর পর ছাপানো হলেও রোমান ক্যাথলিক চার্চ এই বইটিকে ৭৩ বছর নিষিদ্ধ করে রাখেন।
অতঃপর গ্যালেলিও (১৫৬৪-১৬৪২) টেলিস্কোপ আবিষ্কার করে দেখলেন চাঁদের পাহার এবং বৃহস্পতির উপগ্রহ যারা বৃহস্পতির চারদিকে ঘুরে। তিনি আরও দেখেন শুক্র গ্রহও আমাদের চাঁদের মত একটি পূর্ণ চন্দ্র-কাল অতিক্রম করে। এ থেকে তিনি স্পষ্ট বুঝতে পারেন পৃথিবী সৌরজগতের কেন্দ্র নয়। যা কিনা কোপার্নিকাসের মতবাদ সমর্থন করে। কোপার্নিকাসের সূর্যকেন্দ্রিক মতবাদ সমর্থনের কারণে ১৬০০ সালে জিওদার্নো ব্রুনো কে রোমে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়। মরার আগ মুহূর্তেও তাকে বলা হয় পৃথিবীকেন্দ্রিক মতবাদ কে স্বীকার করে নিতে, কিন্তু তিনি মরতে রাজি ছিলেন কিন্তু মিথ্যা গ্রহণ করেননি। গ্যালেলিও তার মতবাদ ১৬১০ সালে (The Starry massenger)বইয়ে প্রকাশ করেন। যা তার জন্য কাল হয়ে উঠে।
গ্যালেলিও খুব উৎসাহ ভরে তার মতবাদ চারদিকে প্রচার করেন। অবশেষে ১৬১৬ সালে তাকে 'ধর্মবিরোধী'(heretical) হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়। অবশেষে ১৬৩২ সালে টলেমী আর কোপার্নিকাসের বিশ্বতত্ত্বের আলোচনা করে তার বিশ্ব বিখ্যাত ''Dialogue Concerning the Two Chief Systems of the World- Ptolemaic and Copernican'' বই লিখেন। বইটি ছিল মোটামুটি কথোপকথন ভিত্তিক। তিন জনের কথোপকথন একজন কোপার্নিকাসের সূর্যকেন্দ্রিক তত্ত্বের সমর্থক, অন্যজন এরিস্টটেলীয় দার্শনিক টলেমীর পৃথিবীকেন্দ্রিক মতবাদের সমর্থক, অন্যজন নিরপেক্ষ। ইতালীয় সহজলভ্য ভাষায় বইটি রচনার কারণে সাধারণের কাছে বইটি বুঝতে সহজ হয় এবং কোপার্নিকাসের সমর্থক চরিত্রের তুখোড় যুক্তির কারণে এরিস্টটলীয় চরিত্রটি নাজেহাল হয়ে যায়।
১৬৩৩ সালে চার্চ পুনরায় গ্যালেলিও কে ধর্মদ্রোহিতার অভিযোগে অভিযুক্ত করে। গ্যালেলিওর তখন বৃদ্ধ বয়স ,সূর্যের দিকে অবিরাম তাকিয়ে থাকার কারণে শেষ বয়সে গ্যালেলিও অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন, বয়সের ভারে ন্যুব্জ। এই অবস্থায় অসুস্থ বৃদ্ধ বিজ্ঞানীকে টেনে হেঁচড়ে ফ্লোরেন্স থেকে রোমে নিয়ে যাওয়া হয়। ওখানে লোকে সম্মুখে হাঁটু মুড়ে বসে সবার সামনে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হয় এবং তাকে স্বীকার করতে হয় এতো দিন তিনি যা যা লিখেছেন ও প্রচার করেছেন তা সম্পূর্ণ ধর্মবিরোধী, ভুল এবং মিথ্যা। তিনি এও বললেন পৃথিবী সৌরজগতের কেন্দ্রে এবং স্থির অনড়। জীবন বাঁচাতে তিনি মিথ্যে বলেছিলেন। শোনা যায় একবার তিনি আকাশের দিকে তাকিয়ে এও বলেছিলেন, ''তারপরও পৃথিবী কিন্তু ঠিকই ঘুরছে''। নিজ গৃহে বন্দী থাকা অবস্থায় তিনি মারা যান ১৬৪২ সালে।
গ্যালেলিওর মৃত্যুর ৩৫০ বছর পর ১৯৯২ সালের ৩১ শে অক্টোবর পোপ জন পল-২ ক্যাথলিক চার্চের পক্ষ থেকে একটি বক্তব্য দিয়ে স্বীকার করেন, চার্চের গ্যালেলিওর প্রতি তখনকার আচরণ সঠিক ছিল না।
তথ্যসংগ্রহঃ আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী---অভিজিত রায়
''একমাত্র ইসলাম ধর্মই ব্যবহারিক জীবনে গণতন্ত্র, প্রগতি ও উদারতার শিক্ষা দিয়েছে।''
---ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক
মাননীয় উপাচার্য প্রথমত বলেছেন, ইসলাম গণতন্ত্রের শিক্ষা দেয়। গণতন্ত্রের প্রথম শর্ত হলো ভোট সহ আইন প্রস্তাবনা, প্রণয়ন এবং তৈরির ক্ষেত্রে নারী পুরুষ সকল নাগরিকের সমান অধিকার। আপনারা সবাই জানেন সৌদি আরবে প্রথম নারী ভোট প্রদান করেছে গতবছরের(২০১৫) ১২ই ডিসেম্বর। যেখানে পুরুষ ভোটার নিবন্ধন এর সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৫০ হাজার জন এবং নারী ভোটার নিবন্ধিত হয় মাত্র এক লাখ ৩০ জন । সেই নির্বাচনে ৫৯৩৮ জন পুরুষ প্রার্থীর সাথে নারী প্রার্থীর সংখ্যা ছিল মোটে ৯৭৮ জন। হাস্যকর-ভাবে সেই সব নারী প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা চালিয়েছেন পুরুষ প্রতিনিধি, নারীরা থেকেছে পর্দার আড়ালে। যেই ইসলামিক শাসন ব্যবস্থা দাসী সঙ্গমকে কোরানের আয়াতের মাধ্যমে বৈধ করে, পোষা প্রাণী নিষিদ্ধ করে, অপরিচিত নারী পুরুষের দেখা সাক্ষাত নিষিদ্ধ করে, বয়স ৪৫ এর কম হলে কোন নারীর পুরুষ ছাড়া একা ঘরের বাইরে বের হওয়া নিষিদ্ধ করে, এমনকি চলচ্চিত্র, সঙ্গীত, ছবি আঁকা পর্যন্ত নিষিদ্ধ করে। এছাড়াও সৌদি আরবে ইসলাম অনুসারে অন্য দেশের লোকদের প্রকাশ্যে ধর্ম পালন নিষিদ্ধ, ইসলামিক নিয়মে নারীদের জন্য সমস্ত খেলাধুলা নিষিদ্ধ, এমনকি ঘোড়া দৌড়-তীর নিক্ষেপ এবং স্ত্রীর সাথে খেলাধুলা ছাড়া সমস্ত প্রকারের খেলাধুলা নিষিদ্ধ, নারীর জন্য ড্রাইভিং নিষিদ্ধ, সেই ইসলামের কাছ থেকে গণতন্ত্র শিক্ষা নিতে বলেছেন আমাদের মাননীয় উপাচার্য।
আর প্রগতির কথা বলবেন? পুরো কোরান হাদিস জুড়ে রয়েছে বিভিন্ন অবৈজ্ঞানিক ও হাস্যকর সব তথ্য। এর কয়েকটা উদাহরণঃ সূর্য পৃথিবীর উপর পরিভ্রমণ করে (সূরা বাকারাঃ ২৫৮), সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় আরশের নীচে গিয়ে সেজদায় লুটিয়ে পড়ে এবং পুনরায় উদিত হওয়ার অনুমতি চায়(সহীহ বুখারী ইফাঃ, অধ্যায়ঃ ৪৯/ সৃষ্টির সূচনা, হাদিস নাম্বার: ২৯৭২), দিন দৌড়ে দৌড়ে রাতের পিছনে আসে (সূরা আ’রাফঃ ৫৪), ভোরবেলা সূর্য ওঠে শয়তানের মাথায় দুই প্রান্তের মধ্য দিয়ে (সহীহ্‌ বুখারী, ৪:৫৪:৪৯৪)। তাছাড়া আরো রয়েছে বিভিন্ন নারী বিদ্বেষমূলক, অমানবিক, অযৌক্তিক, পরস্পর বিরোধী অজস্র আয়াত ও হাদিস। সেই ইসলাম নাকি বলে প্রগতির কথা!
আর উদারতা? পুরো কোরান জুড়ে ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্মের মানুষকে হেয় করে , কটাক্ষ করে, মৃত্যুর আদেশ দিয়ে, কাফের মুশরিক বলে, পাপাচারী বলে, শয়তান বলে তাদের জন্য দোজখ নিশ্চিত করেছেন স্বয়ং আল্লাহতায়ালা। যেখানে ইসলামে মানুষকে মানুষ হিসেবেই মূল্যায়ন করে না, নারী নেতৃত্ব হারাম করেছেন, বহুবিবাহের নামে নারীর প্রতি অবিচারের সুযোগ করে দেয়, নারীকে পুরুষের অধীন করে ও অর্ধেক মর্যাদা দেয়, সম্পত্তিতে অর্ধেক প্রাপ্তি সহ-ধর্ষণের বিচারে লাগে চারজন পুরুষের সাক্ষী, সাক্ষী প্রমাণিত হইলেও মেয়েটিকে পাইতে হয় ব্যভিচারের শাস্তি, সাথে তো শিরশ্ছেদ এবং খুনের বদলে খুন, হাতের বদলে হাত এর মত শরিয়া আইন, সেই ইসলামের কাছ থেকে শিখতে হবে আমাদের উদারতা!
মাননীয় উপাচার্য বলেছেন, ইসলামের অপব্যবহার করে ১৯৭১ সালে দেশে নারী নির্যাতন ও গণহত্যা চালানো হয়েছিল। যুদ্ধে আহরিত সম্পদকে গণিমতের মাল হিসেবে হালাল করেছে ইসলাম, যার মধ্যে নারী অন্তর্ভুক্ত। এ বিষয়ে কোরানে অনেক আয়াত রয়েছে (সুরা আনফাল ৮:০১) (সূরা আল ফাতাহ ৪৮:২০) । নবী নিজেও গনিমতের নারী পছন্দ করতেন এবং ভোগ করেছেন।
আবু আব্দুল আজিজ বর্ণিত- যখন আল্লাহর রসুল খায়বার দখল করলেন, ——- আমরা খায়বার দখল করলাম, তাদেরকে বন্দী করলাম,লুণ্ঠিত মালামালও যোগাড় করলাম। দাহিয়া এসে বলল- হে নবী , আমাকে গনিমতের মাল হিসাবে একটা নারী দিন বন্দিনী নারীদের মধ্য হতে।নবী খুব উদার ভাবে বললেন- যাও তোমার যেটা পছন্দ সেটা নিয়ে নাও। সে তখন সাফিয়া বিনতে হুইকে নিল। এক লোক এসে বলল- হে নবী আপনি দাহিয়াকে সেই নারী দিয়েছেন যে নাকি খায়বারের সর্দারের স্ত্রী। নবী তখন তাকে সাফিয়াকে তার কাছে আনার জন্য হুকুম করলেন। সাফিয়াকে তার সামনে আনা হলে, তিনি দাহিয়াকে অন্য নারী নিতে বললেন ও সাফিয়াকে নিজের কাছে রেখে দিলেন। (বুখারি, বই -৮, হাদিস-৩৬৭)
আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সবার ধর্মশিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে -প্রধানমন্ত্রী (২২ শে মার্চ, ২০১৬) সাথে শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, নতুন পাঠ্যসূচিতে নৈতিক শিক্ষার ভিত্তি হবে ইসলাম: শিক্ষামন্ত্রী (১৯ শে মার্চ, ২০১৬)। এর সাথে যোগ হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাণী। প্রধানমন্ত্রী দেশে পাঁচশো নতুন মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৬৭০টি কোরআন বিতরণও করেছেন। আশা করি দেশের সব লোকের ইসলাম ধর্ম শিক্ষা নিশ্চিত হবে, ইসলাম ধর্ম প্রদত্ত নৈতিকতায় আদর্শে, গণতন্ত্রে, উদারতায় দীক্ষিত হবে। এরপর যথাযথভাবে ইসলাম শিখে হত্যা, নৈরাজ্য, হানাহানি,অশান্তি হলে বলা যাবে, এটা সঠিক ইসলামি মূল্যবোধেরই ফসল, এতে এক আনাও খাদ নেই। তখন আশা করি আমাদের মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা ইসলামকে নতুন করে জানবেন শিখবেন এবং বুঝবেন। এর আগে ইসলামের বাঁশের টেস্টটা মিঠাই মনে হচ্ছে আপাতত!

Wednesday, April 13, 2016

ছেলেদের দৃষ্টিতে মা, বোন, মেয়ে, বউ, ভাবী, মামী, চাচী, ফুফী সবার স্তনই দুধ।
এবার বুঝে নিন কোন ধরনের মনস্তাত্ত্বিক সঙ্কোচনের দরুন ঘরে বাইরে আনাচে-কানাচে মেয়েরা অহরহই ধর্ষিত হয়।
ভারতের ধর্মীয় নেতা স্বরূপানন্দ সরস্বতী বলেছেন, মহারাষ্ট্রের সনি সিংগানাপুর মন্দিরে জোর করে নারীরা প্রবেশ করার কারণেই কেরালার মন্দিরে আগুন লেগেছিল।
প্রায়ই বড় বড় মুফতি মৌলানারা নারীদের জিনস প্যান্ট পড়ে বলে ভূমিকম্প হয় দাবী করে থাকেন।
আল্লাহর নবী বলেছেন যে তিন জিনিসের মধ্যে অশুভ আছে, নারী, বাড়ী আর ঘোড়া। (সহিহ্‌ বোখারি ভল্যুম ৭, হাদিস ৩০:)
'আমার পর পুরুষের জন্য নারীর চেয়ে বেশী ক্ষতিকর আর কিছু রইল না।'(সহিহ্‌ বোখারি ভল্যুম ৭, হাদিস ৩৩:)
এই যে পুরুষেরা নারীর নামে এমন বিদ্বেষমূলক বাণী, হিংসা বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন। নারীকে মানুষ না ভেবে বিভিন্ন রকম ভাবে অকল্যাণকর কোন প্রাণী হিসেবে ভাবতে লোকদের বাধ্য করাচ্ছেন, তারাই কিন্তু সমাজে পূজনীয় আদর্শ মহামানবের মর্যাদা পাচ্ছেন।
আমরা পুরুষেরা তাদেরকে লাই দিয়ে মাথায় তুলেছি বলেই এবং নারী বিদ্বেষমূলক বাক্য বলার পর তাদের পাছায় বাঁশ না ঢুকায়ে-তেল মালিশ করছি বলেই এরকম বৈষম্য টিকে থাকার স্পর্ধা পায় শাতব্দীর পর শতাব্দী।
দিনে সত্তুরবার 'আল্লা হুক্কা হুয়া আঁকবার' বা 'আল্লা সর্বশ্রেষ্ঠ' বলে পাঁচবেলা নিয়ম করে সেজদা দেওয়ার মত গর্দভ আমি নই, যেখানে অন্যান্য ধর্মের ইশ্বরগুলাও নিজেদেরকে শ্রেষ্ঠ দাবি করে।
আমি মাটিতে চিক্কুর পাইরা 'আল্লা সবচেয়ে বড়' বললেই সে শ্রেষ্ঠ হয়ে যাবে না। শ্রেষ্ঠত্ব বিবেচনা হয় কাজে। 'আল্লাহু আঁকবার' বলে কি কি ভাল কাজ হয়, তা তো আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন।
এক মহাউন্মাদ বইলা গেছে, নারী পুরুষের বুকের বাম পাঁজরের হাড় দিয়া তৈরী, কোটি কোটি নারী নিজেদের বুকে পাঁজর থুইয়া এইডাই বিশ্বাস করতেছে, আর পুরুষতো(স্বামী) স্বয়ং নারীর জন্মদাত্রী মাতা।
এই গুলা নিয়া মহাবদরে কিছু কওয়া যাইব না, হাসি ঠাট্টাও করা যাইব না। কইলেই অনুভূতি গইলা ছ্যাড়াব্যাড়া লাইগা যাইব।
একবিংশ শতাব্দীতে আইসা খোরমা খেজুর খাইতে খাইতে জায়নামাজে বইসা, এমন বালের হাড্ডি বিজ্ঞানে বিশ্বাস করতে হইব। দিনে নিয়ম কইরা পাঁচবার এই মহাউন্মাদের পাছায় চুম্মা দিতে হইব। নাইলেই বিপদ, যেকোন সময় আপনার কল্লা নাই হইয়া যাইব....এও কি বিশ্বাসযোগ্য?
যেসব মেয়েদের পিরিয়ড ইরিগুলার, মাসের পর মাস বন্ধ থাকে, তাদেরকে অনেকসময় ডাক্তার জন্ম বিরতিকরণ পিল খেতে দেন। কয়েকমাস কন্টিনিউ করলে পিরিয়ড রেগুলার হয়ে যায়। অনেক অবিবাহিত মেয়েদেরকেও ডাক্তার এই ঔষধ দিয়ে থাকেন। এতে বিভ্রান্তি, ভয় বা লজ্জার কিছু নাই। অবিবাহিত মেয়েদের বাবা মা এই নিয়ে চিন্তায় পরে যায়, লুকিয়ে মেয়েকে ঔষধ খাইতে দেন যাতে কেউ না দেখে বা না জানে, জানলে মেয়ের চরিত্র সম্পর্কে অন্যের বিরূপ ধারণা হবে।
প্যারাসিটামল যেমন জ্বর কমানোর পাশাপাশি ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে, তেমনি জন্ম বিরতিকরণ পিল জন্মরোধের পাশাপাশি পিরিয়ড রেগুলার রাখে। এতে লজ্জার বা অস্বস্তির কিছু নেই। লোকে জানলে তাদেরকে জানান যে, এটা জাস্ট ওয়ান টাইপ অফ মেডিকেশান।
১) জন্ম হোক যথা-তথা, ধর্ম হইতে হবে ইসলাম।
২) হোক না দেব-দেবী তেত্রিশ কোটি, কিন্তু আমাদের আল্লা এক ও অদ্বিতীয়।
৩) আমি ধর্ষক বলে ধার্মিক হইবো না কেন?
৪) আমি তোমার ধর্ম মানি না, তাই বলে তুমি আমারটা মানিবে না কেন?
৫) আমরা সবাই ভাল মানুষ কারণ আমরা ধার্মিক।
৬) সহী মুসলিমরা কোপায় না, তারা শিরচ্ছেদ করে।
৭) আমরা যখন একবার কোপাইতে শিখেছি, আমরা আরো কোপাবো; আমাদের কোপানোকে দাবাইয়া রাখতে পারবা না---ইনশাল্লাহ!

তোমাকে কখনো পাইনি আমি,
তবুও-
তোমাকে হারানোর ভয়ে সর্বদা ভীত!
কারণ কি?
তোমাকে কখনোই পাব না বলে?
আমাদের সবারই কিছু কিছু খাবারের পছন্দ অপছন্দ থাকে, খাবারের রুচিবোধও ব্যক্তিবিশেষে ভিন্ন। আমার এক টিচার ছিল যিনি গরুর মাংস ছাড়া আর কিছুই খেতেন না।কিছু মানুষ আছে ভেজিটেরিয়ান। কিছু কিছু এলাকার মানুষ জীবনেও শুটকি মাছ খায় না। এইখানে আসার পর দেখলাম এরা ভাতই খায় না। কেউ কেউ খাইলেও মাসে ছয় মাসে রেস্টুরেন্ট এ গিয়ে খায় অন্য খাবারের পাশাপাশি। আবার অন্যদিকে কিছু কিছু খাবারকে ব্যক্তি বিশেষে বিভিন্ন রোগের কারণে নিষিদ্ধ করা হয়। কিছুক্ষেত্রে আমি যে খাবার পছন্দ করি তা খেলে যদি আমার ক্ষতি হয়, তবে আপনি নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারেন। আমি হিরোইন ইয়াবা খেলে আপনি বাঁধা দিবেন, এমনকি আমার স্বজন হলে প্রয়োজনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।
আল্লা সুদ, মদ, তামাক খেতে নিষেধ করেছেন। লোকে দিব্বি সিগারেট, সুদ খাচ্ছে। এইখানে অনেক বাঙ্গালী আছে ইউরোপিয়ানদের থেকেও বেশি মদ খায়, নিজেরা মদ বিয়ারের ব্যবসা করছে। বলতে গেলে এডিকটেড। ইউরোপিয়ানরা মাতাল হওয়ার জন্য সকাল বিকাল মদ খায় না। এরা মদ খায় মাতাল হওয়ার জন্য। অনেক মুসলিম মেয়েও আছে ছোট ছোট পোশাক পড়ছে, দেখলে চেনার উপায় নাই, ইউরোপিয়ান না বাঙ্গালী। কিন্তু শুকুরের মাংসের বেলায় তাদের জীবন মরণ সমস্যা।
কেউ শুকরের মাংস খাবে বা খেয়েছে এইটা শুনলে এদের জাত যায়, এদের অন্তর আত্মা শুকিয়ে যায়। একারণে অলি গলিতে গড়ে উঠেছে হালাল মাংসের দোকান। এ যেন এক আজব চিড়িয়া! একটা দেশে বসে সেই দেশীয় খাবারকে হারাম নামে এভয়েড করে আত্মশ্লাঘায় আর ঘৃণায় হালাল মাংসের দোকান দেওয়ার মত কাজ বাংলাদেশ বা পাকিস্তান বা মরক্কোর মত মুসলিম দেশের লোকের পক্ষেই সম্ভব। সৌদিতে, বাংলায় বা পাকিস্তানে গিয়ে যদি যদি খৃষ্টানরা শুকরের মাংসের দোকান দিতো, তবে কারোর মাথা ঘাড়ে থাকতো না এটা নিশ্চিন্তে বলে দেওয়া যায়।
আমি গরুর মাংস খেলাম যা জগতের অন্য কোটি কোটি লোক খাচ্ছে, আর এতে কোন ক্ষতি হচ্ছে না , সেকারণে আপনি আমাকে ধরে পিঠিয়ে মেরে ফেলবেন। আরেকজন মানুষ শুকুরের মাংস খায় বলে তার সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করতে হবে, তাকে ঘৃণার চোখে-নাপাকের চোখে দেখতে হবে এটা এক ধরনের অসুস্থ মানসিকতার প্রকাশ । ঈশ্বরের দেয়া মহাপাপের নাম করে এসব খাওয়া নিষেধ করে- মানুষে মানুষে বিভেদ দ্বন্দ্ব ও বৈষম্য তৈরির জন্য এই হিংসাত্মক দর্শনকে আমরা বংশপরম্পরায় বহন করে চলছি।

Friday, April 8, 2016

নিজে ধর্ষণ করে, ধর্ষণের শিকার নারীর পোষাকে সমস্যা ছিল, বলাটা এক ধরনের অপরাধ। এরকম যারা বলে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া উচিত।
সারা দেশে প্রতিদিন ধর্ষণের বিপরীতে ধর্ষকদের তোষণ ও প্রশ্রয়ের খোরাক হিসেবে মাননীয় স্পিকারের মতে, নারী নির্যাতনের জন্য তিনি নতুন কোন আইন প্রণয়নের প্রয়োজন মনে করেন না।
ধর্ষণ অথবা নারী নির্যাতন প্রতিরোধে কোন আইনের প্রয়োজন আদৌ আছে কি? আইন কি কোনভাবে পুরুষের দ্বারা নারী নির্যাতন/ধর্ষণ বন্ধ করতে পেরেছে?
ফেসবুকে অনেক পোষ্ট পাওয়া যায় দেখলে মনে হবে খুবই নারী কল্যাণ মূলক। সেগুলো হলো, নারীরা নিজেদেরকে ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচাতে কিভাবে ছুরি কাঁচি ক্লিপ ব্লেড খুন্তি ইত্যাদি সাথে রাখবে! আরও বিভিন্ন রকমের টিপস, কিভাবে কোথায় আঘাত করলে ধর্ষককে কুপোকাত করা যাবে!
এমন একটা বিষয় যেন নারী ধর্ষণের শিকার হবেই, এর থেকে উত্তরণের উপায় নাই। এখন কি কি উপায়ে নিজেকে বাঁচানো যায় সেটা শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। কেউ কিন্তু মূলে তাকাচ্ছে না। পুরুষ কেন ধর্ষণ করবে? পুরুষ তার নিজের বালদন্ড কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে? এই মানসিক বিকার থেকে পুরুষের মুক্তির উপায় কি?
এসব নিয়ে কোন বালব্যাটারা কেউ কিছু বলছে না, কেউ কিছু বলবেও না। কারণ যারা এই বিষয়ে বলার সেই 'কেউটা' নিজেই পুরুষ। তারা চায় না নিজেদের কোন রকমভাবে মানসিকতার মানবিক উন্নতি ঘটুক। তারা ধর্ষণ চায় ঘরে-বাইরে, হাতে-চোখে-মনে, পর্ণে, সমান-তালে। তারা নিজেদের শুধরানোর জন্য কোন রকমের প্রতিকারের পরামর্শ দেবে না, তারা ঠাণ্ডা মাথায় পরামর্শ দেবে কিভাবে ধর্ষণের সময় প্রতিরোধ করা যায়।
হে নারী পুরুষেরা নিজেদেরকে সংশোধন করবে না, তাই পারলে প্রতিরোধ কর, নইলে ধর্ষিত হও---উত্তম উপদেশ!
পর্ণ দেখা আর ধর্ষণ এক বিষয় নয়, তবে পর্ণে ধর্ষণের দৃশ্যটা বেশ এনজয়েবল! তাই তো?
যে তৃষ্ণায় কিরণময়ী নর্দমার জল
অঞ্জলি ভরে পান করেছিল,
আমারো বুঝি সেই তৃষ্ণা?
তা না হলে কি আর-
তোমার দেওয়া সব অপমানের নীল,
দু হাতে তুলে চুমুকে খাই?
অত:পর নিষিদ্ধ মাস অতিবাহিত হলে ইহুদী নাসারাদের যেখানে পাও ওখানেই কুপাও, কারণ ইহুদী নাসারারা পাকা পায়খানায় হাগে আর আমরা স্বর্ণের। আর তোমরা জেনে রেখো আমরা পায়খানার মডেলটা ওদের কাছ থেকেই চুরি করেছিলাম। ---বালকোরান, সুরা-তওবা তোমহারে এ ইশারে!

'পুরুষেরা চিন্তায়, চেতনায়, মগজে, মননে, আদর্শে নারী ধর্ষক।'
----ওই শালী তোরে এই কথা কে কইছে? তোর বাপও কি তাইলে ধর্ষক ছিল? তোরে উড়ায়া ধুরায়া ঘুরায়া উপ্তা চিত্না কাইত কইরা খালে বিলে ঝিলে ফালাইয়া......বাকিটা বেদ, গীতা, বাইবেল, তাওরাত, জাবুর, কোরান, হাদিসের অংশ।
আমার লেখা নাকি পুরুষ বিরোধী সংস্কৃতি তৈরি করতে পারে।
আচ্ছা আমাদের নারীবান্ধব সমাজে গতকালকে যে দুই বইনরে বাড়ি থেকে তুইল্লা নিয়া গণধর্ষণ করলো হেইডার মিষ্টি খাইছেন তো ভাইয়ারা?
মেয়ে ভাল না, মেয়ে একা একা রাইতে বিরাইতে বাইরে ঘুরা ফেরা করে, মেয়ে বুকে ওড়না দেয় না ওড়না থাকে গলায়, মেয়ে ছোট ছোট পোশাক পইড়া ঢ্যাং ঢ্যাং হাইটা বেড়ায়---তাই বলে মেয়েটিকে আমরা ধর্ষণের অধিকার পেয়ে যাই।
মেয়েটি খারাপ বলে আপনারা তাকে জোড় করে ধরে ছুদে দিবেন, ভাইয়েরা আমার--- আপনারা কিন্তু অনেক ভাল, আপনাদের ভালত্বের জন্য নোবেল পাওয়া উচিত।
দেবী খারাপ, দেবী নাস্তিক, দেবী নারীবাদী, দেবী বেশ্যা, দেবী মাগী, দেবী চরিত্রহীন, দেবী মেয়েদের শরীর মনের স্বাধীনতার কথা বলে। তাই আমরা ভাল পুরুষেরা গ্রুপ বাইন্ধা দেবীরে ধর্ষণ করি।
ভাইয়েরা আমার--- আপনারা কিন্তু অনেক ভাল, আপনাদের ভালত্বের জন্য ডাবল নোবেল যাতে পাওয়া যায় সেইজন্য আমি নিজে গিয়ে নোবেল কমিটিরে রিকোয়েস্ট করব। আরো বেশি বেশি ধর্ষণ করেন, একদিন দেশটা নিজেই ধর্ষক দেশ হিসেবে নোবেল পাবে ইনশাল্লাহ।
আমি ছোট পোশাক পরি তাই বলিয়া আপনি ধর্ষক হইবেন কেন?
সেই প্রকৃত মানুষ যে অন্যরে ভালবাসে আর নিজের বালবাসে।

একটি ধর্ষক ও ধার্মিক প্রজন্মের বক্তব্যঃ
দেবী ধর্মবিরোধী এবং ধর্ষক-বিরোধী পোষ্ট দেয় বিধায় আমরা দেবীকে ছুদে দেই।
তনু হিজাব পরেছিল বিধায় আমরা তাকে ছুদি নাই।
দেশের আর সব ধর্ষিতারা ছোট পোশাক পরেছিল বিধায় আমরা তাদেরকে ছুদেছিলাম।
ছেলে/মেয়ে শিশুরা ধর্ষিতার চেয়েও ছোট পোশাক পরে বিধায় আমরা তাদেরকে ছুদি।
গরু ছাগর ভেড়া মুরগী উট শুওর কোন পোশাক পরে না বিধায় আমরা তাদেরকে ছুদা আবশ্যক কর্তব্য বলে মনে করি।
বক্তব্যটি পরিষ্কারভাবে শেষ হইলো।
LikeShow More Reactions
Comment
১) ধর্ষণ-বিরোধী নারীলাঞ্চনা-বিরোধী পোষ্ট, কমেন্ট, ইভেন্ট এইসব অসভ্যতা কিন্তু ধর্ষণ করা বা ধর্ষণের পর মেরে ফেলা সভ্যতার অন্যতম প্রধান অংশ।
২) নাস্তিক আর আস্তিকদের মধ্যে মিল তারা উভয়েই নাকি দেশপ্রেমিক। তাদের মধ্যে আরেকটা মিল হইলো তারা উভয়েই সুযোগ মত নারী ধর্ষক।
৩) দেশপ্রেম নাকি ইমানের অঙ্গ। বাংলাদেশের মত গরীব দেশের সাধারণ মানুষের ৩০ হাজার কোটি টাকা সাত বছরে আত্মসাৎ করা মানে, সোজা কথায় দেশ-ধর্ষণকে ইমানের অঙ্গ বানায়ে ফেলা।
৪) তনু আমার বইন, তনু আমার কইলজা গুর্দা, তনুরে আমরা কেউ ছুঁই নাই। তবে তনু সেনা প্রহরায় নিজে নিজে আত্মহত্যা করছে, তাই দেশে এর কোন বিচার নাই। আসেন হাউকাউ না করে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে তনুর জন্য বেহেস্ত প্রার্থনা করি।
৫) অমুকরে মারি, তমুকরে ধর্ষণ করি, সমুকরে গুম করি, বমুখরে কুপাই, লমুকরে সম্পত্তি দখলপূর্বক দেশছাড়া করি, দেশবাসীর রিজার্ভের টাকা লুট করি, কুনু সমস্যা নাই। দেশ আমাদের মাতা, আমরা দেশরে মানে মাতাকে সুযোগ-মত ছুইদা ভাসাইয়া ফেলি, কুনু সমস্যা নাই, আমরা শান্তিকামী খাঁটি দেশপ্রেমিক। খালি তুমি আমাদের জন্য দেশরে গালি দিতে পারবা না-তুমি দেশদ্রোহী। আমাদের নিয়া দেশ না দেশরে নিয়া আমরা!
দেশ আমাদের বেইচা খায় না, নাকি আমরা দেশরে বেচি?
৬) প্রতিবাদের স্ট্যাটাসে পোষ্টারে ব্যানারে তনুর লিপস্টিক মারা ঠোট আর কাজল দেওয়া চোখ দেখা যাচ্ছে। কেউ তার মুখটারে কালো রঙ দিয়ে মুছে দাও। তা না হলে এমন কামুক ঠোট-চোখ-মুখ দেখে, কোন পুরুষ আবার হাত মাইরা নিজেরে নিজে ধর্ষণ করতে পারে।
৭) একটা গান খালি মাথার মধ্যে ঘুরতেছে, "সোনার মেয়ে, তোমায় দিলাম---" থুক্কু
"সোনার দেশ, তোমায় বানাইলাম বীচি কাইটা খাসি---"
-- এখন আমরা সুন্নত-মত হাসি। হাহা হিহি---
একজন মহিলা ধার্মিক, সারাজীবন বিড়ি সিগারেট খায়নাই, তিন সন্তানের জননী। তার যদি ফুসফুসে ক্যান্সার হয়, তার সুপ্রতিষ্ঠিত সন্তানেরা কিন্তু তাকে তার কৃতকর্মের দোষ না দিয়ে তাড়াতাড়ি মাদ্রাজ নিয়ে যায় বা যেকোন ভাবেই আপ্রাণভাবে বাঁচাতে চেস্টা করে। তাবিজ কবজ, ফুঁ বা পানিপড়া খাইয়ে ঘরে বসিয়ে রাখে না, অথবা ঈশ্বর এসে উদ্ধার করবে বলে অপেক্ষা করেনা। কারণ জানে হাতে সময় খুব কম। তবুও আমরা চিকিৎসার পাশাপাশি বলি, আল্লা যা করে ভালোর জন্য করে। দোয়া দুরুদ পড়াই, গ্রুপ বাইন্ধ্যা খতম দেই।
হায়রে অন্ধ মানব, তোদের কল্যাণময় আলোকিত ভগবানের দেখা আর পেলি না!
কিছু মেয়ে আছে গলায় ওড়না মুখে মেকআপ দিয়ে রঙবেরঙ এর ফটো আপলোড করবে। বোরকা হিজাব পরবে না, নামাজ রোযা তো নাই-ই। কিন্তু ইসলামের বিরুদ্ধে কিছু কইলেই মুখ ভেংচিয়ে আপনার উপর থুঃ থুঃ দিতে আসবে।
কিছু ছেলে আছে মাসে ছয় মাসে জুম্মার নামাজ পড়বে। দাড়ি টুপির বালাই নাই। নিজে ধর্ম পালন করে না, অথচ বউ মেয়ে বোরকা না পরলে হাত পাকিয়ে বজ্রের মত তেড়ে আসে।
এই দুই শ্রেণীই নিজেরা ধর্ম মানে না, কিন্তু অন্যরা ধর্ম না মানলে সেটাও সহ্য করে না। ইহারা হইলো সমাজের ডাবল স্ট্যান্ডার্ড প্রকৃত কীট।
(ধর্মের শতভাগ বলীর পাঠা নারী, কিন্তু ধর্মকে দুধ কলা খাইয়ে বাঁচিয়েও রাখে নারী।-হায়! লম্বা---বালের নারী!)
নাস্তিকদের কটূক্তির বিরুদ্ধে দাঁত ভাঙ্গা জবাব:
নাস্তিকদের কটুক্তিঃ ইউরোপের মেয়েরা দিনে রাতে যেকোনো সময় ছোট ছোট পোশাকে ঘোরাফেরা করে। এমনকি সামারে সম্পূর্ণ নগ্নাবস্থায় হাজার হাজার মানুষের সামনে সমুদ্র-স্নান করে। কই তারা তো এমনভাবে ধর্ষণের শিকার হয় না?
দাঁত ভাঙ্গা জবাব: আমরা সবাই জানি বাংলাদেশ ভারত কিংবা সৌদিআরবের আবহাওয়া ইউরোপ আমেরিকা থেকে উষ্ণ। একারণে প্রকৃতিগত ভাবেই ইউরোপিয়ান ছেলেদের লিবিডো বাংলাদেশে ভারত কিম্বা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের ছেলেদের থেকে কম।
মুসলিমের বাচ্চারা গতকাল 'আল্লাহু আকবার' বলতে বলতে একজন নাস্তিক-মুরদাত হত্যা করে আল্লাকে বীর্যপাতের সুখ দিয়েছে। যেই বীর্য নিক্ষিপ্ত হয়েছে বাংলা মায়ের মাতৃগর্ভে। বাংলা মায়ের পেট ফেরে কিছুদিনের মধ্যেই আরো কোটি কোটি আল্লার বান্দা বেরিয়ে আসবে, ফের 'আল্লাহু আকবার' বলে দেশমাতারে অর্গাজমের সুখ দেওয়ার জন্য।
সবচেয়ে বড় প্রহসন বাক্যবাণ:
১) তোমাকে ভালবাসি।
২) বিচার চাই।
৩) ইসলাম শান্তির ধর্ম।
আমার মেয়েবেলাতে একটা ছোট্ট অংশে ১৯৭৪ এর দুর্ভিক্ষের বর্ণনা দিয়েছিলেন তসলিমা নাসরিন। যেই মেয়েকে ভাত খাওয়ানোর জন্য বাঘ সিংহের গল্প ফাঁদতে হতো, সেই মেয়ে খাওয়া শেষে আঙ্গুল চেটে বলে,'মা আরেকটু ভাত দেও।' বাসার দুইটা মেয়েই খায় ভাত আর সবাই সবাই দুই বেলা রুটি। তনার মা ভাতের ফেন জমিয়ে রেখে হাড় কোঠরে ঢুকে যাওয়া বুভুক্ষু মানুষদের দিতেন। বাড়ির সামনে দিয়ে কম্যুনিস্ট পার্টির মিছিল যায়, 'ভাত চাই, অন্ন চাই, বাঁচার মত বাঁচতে চাই।' মায়ের মানা উপেক্ষা করে কিশোরী বয়সে ইট দিয়ে চালের ড্রামের তালা ভেঙ্গেছিল তনা, তার বাঘের চেয়ে ভয়ঙ্কর বাবার দেওয়া তালা,শক্ত তালা। গামছা ভরে তলানির চাল দিয়ে ভেবেছিল, আমিও যদি এদের সাথে ক্ষুধার্তদের জন্য অন্ন সংগ্রহ করতে পারতাম!
বিদেশ বসে দেশের খবর পড়ি, ধর্ষণের খবর, পাবনায় বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ, কিশোরগঞ্জে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ, কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় ধর্ষণ, চট্টগ্রামে চার ছেলেকে ধর্ষণ, নান্দাইলে বাসের ভেতর কিশোরী ধর্ষণ...দেশে চলছে একের পর এক ধর্ষণ এবং ধর্ষণের পর হত্যা উৎসব। এসব ধর্ষণের সংবাদের সাথে নিজে ঠিক একাত্ম হতে পারি না, আমার পোষ্টে আমাকে যারা প্রকাশ্যে ধর্ষণ করে তাদের মত নিজেকে আনন্দিত করতে পারি না। ঘুমের ঘোরে ধর্ষণের শিকার মেয়েরা কথা কয়। গলা শুকিয়ে আসতে থাকে... বাসা থেকে বেড়িয়ে হাঁটতে থাকি। আশে পাশের চকচকে শহর ক্ষণেই ধুয়া-শা আর ঝাপসা হয়ে উঠে। নিজেকে লুকানোর জায়গা খুঁজতে থাকি। ঘরে বাইরে কোথাও মুখ লুকানোর মত নির্জনতা নাই। এতো এতো সভ্য মানুষের মধ্যে নিজেকে বেশ অসভ্য মনে হতে থাকে, নিজেকে জংলী মনে হতে থাকে। যেন এক পাল ধর্ষক আমকে বিবস্ত্র করে ছিঁড়ে বিড়ে খাচ্ছে। আমি ধর্ষিতা আর আমার সারা শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন। আমি চিৎকার করছি, আমার চিৎকার কেউ শুনতে পাচ্ছে না, শুনবে কিভাবে ? আমার কান্না শোনার কোন পথ নেই, ওরা আমার মুখ চেপে ধরেছে, একটু পর মেরেও ফেলবে।
এই অবস্থায় দেশের কিছু মানুষ নারী ধর্ষণের বিচার চায়। নিয়ম করে নাস্তিক হত্যা হয়, মরার আগ মুহূর্তেও বিচার চাওয়ার জন্য যেই মনটা ছুটে চলে অসভ্য দেশে, সেই মনটা হটাতই মুখ ফিরিয়ে নেয়। বমি আসতে থাকে, বিদেশে বসে দেশের উপর, দেশের প্রশাসনের উপর ঘৃণায় লজ্জায় আর হতাশায় আমার অন্তর আত্মা পানিশূন্য হয়ে উঠে।
দেশ দুর্ভিক্ষ চলছে! দেশের ছেলেরা- দেশের ধার্মিকেরা আজ ক্ষুধার্ত, ওদের রক্তের নেশা, ওদের মাংসের নেশা, আরও রক্ত চায়, আরও মাংস চায়। 'রক্ত চাই, মাংস চাই, বাঁচার মত বাঁচতে চাই'--এ যেন ওদের শ্লোগান! নষ্ট বুদ্ধিজীবীরা জিম্মি, সাধারণেরা ধার্মিকেরা খুশি, নারীরা ধর্ষিত, যারা কথা বলবে তাদেরকে একে একে ধরে ধরে মেরে ফেলা হবে। এই ক্রান্তিকালে শুধু সেই কম্যুনিস্ট পার্টির স্কুল বালক গুলা নেই, আর নেই তসলিমা নাসরিনের মত মানুষ। যারা শত বাঁধা উপেক্ষা করেও শক্ত তালা ভাঙ্গবে। এরা সবাই ধার্মিক হয়ে শান্তির পথে চলে গেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কি এখন লেখা খতিয়ে দেখবেন? নাকি ৮৪ জনের লিস্ট দেখে নাজিম উদ্দিন নামটা আগেই খতিয়ে দেখে নিয়েছিলেন ফ্রান্স?
সারাজীবন নামাজ পড়ে লোকটা পাঁচ বেলা তোতাপাখির মত কি বলে নামাজ পড়ছে, তা না জেনেই মরে যায়। কিন্তু কোন ব্যক্তি ধর্মে আল্লা রসূলের বলা অনৈতিক কথা তুলে ধরলে তাকে মারা ফরজ মনে করে।
এর মধ্যে একটা মনস্তাত্মিক বিষয় কাজ করে। যেই ব্যক্তি ভগবানেশ্বরইয়াল্লায় ঘোর বিশ্বাস করে ইবাদত উপাসনা করে এতদিনে এতো এতো মানসিক প্রশান্তি লাভ করেছে; এক মুহূর্তেই কোন মানুষের কথা বা তথ্য দ্বারা তাদের সেই সাধের গড়া প্রাসাদ হুর-মুরিয়ে মুহূর্তে ভেঙ্গে পড়বে তারা তা মেনে নিতে পারে না। এ যেন গোটাজীবনে জমানো টাকা মুহূর্তেই সাদা কাগজে রূপান্তরিত হতে দেখা, এটা সহ্য করা কি এতো সহজ? একারণেই যে সব ব্যক্তি শান্তিকামী ভাল মানুষ এবং ধার্মিক সেও নাস্তিকদেরকে মেরে ফেললে একটা সুখের আত্মতৃপ্তি লাভ করে থাকে।
না বুঝে তোতাপাখির মত নামাজ কি আমাদের দেশের লোকেরাই পড়ে নাকি অন্য দেশের লোকেও পড়ে? সারাজীবন পাঁচ বেলা একি কথা বলে গেলাম কিন্তু বুঝলাম না আমি কি বলছি, এটা কি মস্তিষ্কের সুস্থতার লক্ষণ?

Friday, April 1, 2016

নিজে ধর্ষণ করে, ধর্ষণের শিকার নারীর পোষাকে সমস্যা ছিল, বলাটা এক ধরনের অপরাধ। এরকম যারা বলে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া উচিত।
সারা দেশে প্রতিদিন ধর্ষণের বিপরীতে ধর্ষকদের তোষণ ও প্রশ্রয়ের খোরাক হিসেবে মাননীয় স্পিকারের মতে, নারী নির্যাতনের জন্য তিনি নতুন কোন আইন প্রণয়নের প্রয়োজন মনে করেন না।
ধর্ষণ অথবা নারী নির্যাতন প্রতিরোধে কোন আইনের প্রয়োজন আদৌ আছে কি? আইন কি কোনভাবে পুরুষের দ্বারা নারী নির্যাতন/ধর্ষণ বন্ধ করতে পেরেছে?