Thursday, May 26, 2016

১) যখন কোন মানুষ স্রোতের প্রতিকূলে সাঁতরায়, তখন দৃশ্য দেখতে খুব মজা। কেউ কেউ খুব আফসোস করে, আহারে কত কষ্ট করতেছে। আবার কেউ কেউ বলে, ব্যাটা পাগল, না হলে কেউ এমন খরস্রোতে সাঁতরাইতে নামে? জগতে অন্য মানুষের কষ্ট দেখার আনন্দ সবচেয়ে বড় আনন্দ।
২) 'এমন দুই চারটা হাদিসের কিতাব পড়ে সিদ্ধান্তে আসাটা তার চরম ভুল। হাদিসের মর্মগুলো অন্য রকম।' বাজারের সবচেয়ে বড় ত্রাস ব্যবসায়ী যখন তার পুত্রকে হাফেজ বানায়া ডিরেক্ট বেহেস্তের রাস্তা খোঁজে, তাদেরকে এই কথা বলে দেইখেন; মাইর একটাও আর মাটিতে পরবে না।
৩) 'বর্তমান সমাজে কিছু-পুরুষও ধর্ষণের শিকার হচ্ছে, নারী পুরুষের ভেদাভেদ চাই না, আমরা সবাই মানুষের এইটাই হোক মানবতার মাপকাঠি।' মানুষ বইলাই পুরুষসহ ভগবানেশ্বরাল্লাও ভেদাভেদ করছে, পশুদের ভেদাভেদ নাই বলে তাদের স্ত্রী লিঙ্গের পর্দার ভিত্রে না থাইকাও ধর্ষণ খাইতে হয় না।
৪) 'মুক্তমনারা গালিগালাজ করে না। এইটা মুক্তমনার লক্ষণ না।' তারমানে বদ্ধ-মনারা গালিগালাজ করে এইটা তাদের দ্বারাই স্বীকৃত। তারা মুক্তমনাদের গাইলাবে যত খুশি, সুযোগ পেলে কল্লাও নামাবে। এর বিপরীতে মুক্তমনারা উলটা গাইলাইলে 'মুক্তমনা' সংজ্ঞার মার্জিন ব্র্যাক করবে; এইটাও খুনি আর ধর্দেষকদের কাছ থেকে শিখতে হবে। মুক্তমনার সংজ্ঞাটা কি গালিবাজদের বানানো?
৫) 'আপনারা শরীরে যতটুকু কাপড় রাখেন তাও খুলে ফেলেন, আপনাদেরকে আরও মুক্তমনা , আধুনিক মনে হবে। বোরখার পিছনে সময় না দিয়ে আরও আধুনিক হয়ে যান। পশুদেরও তো পোশাক নাই।' পুরুষেরা যে কাপড় খোলার স্বাধীনতা রাখে; তারা কি পশু?
৬) 'আপনার সাথে দেখা হলে একটাই প্রশ্ন করতাম যে, আপনি যদি মারা যান তাহলে কি আপনাকে জানাজা করে দাফন করা হবে নাকি পুড়ে ফেলা হবে কিংবা কফিনে ভরে কবর দেয়া হবে?'
মরলে কবর, দাফন, কফিনে ভরা হবে কিনা সেটা নিয়ে ভাবনা অবান্তর। যাদের পরকালের ভয় আছে, তারা জোর কইরা অন্যকে পরকালে নিয়ে যাইতে চায় বলেই আস্তিকেরাই নাস্তিক মরলে এগুলা করে। এইগুলা করতে নাস্তিকেরা বলে যায় না, তারা বড়জোর মেডিক্যালে দান কইরা যায়।
৭) হিঁদুগুলা নাস্তিক সাইজা কেমনে নাস্তিকদের মাঝে মিশে আছে, সেটা হিন্দু ধর্ম বিরোধী পোস্ট না দিলে বুঝা দায়! বাট কবি বলেছেন, ল্যাঞ্জা নাকি কোনভাবেই লুকানো যায় না।

No comments:

Post a Comment