Thursday, May 26, 2016

তারকা খ্যাতি পাওয়ার জন্য মেয়েরা খুব সহজে বেশ্যাবৃত্তিতে নেমে যায়। এটা মিডিয়ার মেয়েদের বিরুদ্ধে খুব কমন একটা অভিযোগ। বলনে-ওয়ালাদের সুবিধার্থে ধরলাম মেয়েটা স্বেচ্ছায় টাকার লোভে এই পেশায় নামে। এসব মেয়েদের কোন অঘটন ঘটলে আমরা আহা, উহু, ইশ, ছি: থুঃ ইত্যাদি অভিব্যক্তিতে প্রকাশ করে কতই না রঙ্গ করি।
যারা এই মেয়েটিকে টাকা দিয়ে এই পেশায় টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করে তারা কারা? তাদেরকে কি আমরা চিনি নাকি চিনি না? নাকি চিনেও না চেনার ভান করি? নাকি আমি আপনিই তাদের অন্তর্ভুক্ত? একারণেই কি সমস্ত সমালোচনা মেয়েটির উপর চাপিয়ে আমরা নিজেদের দোষ লুকাতে চাই? আমাদের কিছু অঘটন ঘটে না কেন? আমরা কেউই মেয়েটির মত আলাদা বিশেষণ বিশেষিত হই না কেন? আমরা কি কোন পরিবারে থেকে বেশ্যা-ভোগ করি? না করলে মেয়েটির মত আমাদের আলাদা কোন আলয় থাকে না কেন? আমাদের বাসায় কি জানে আমরা বিবাহিত বা অবিবাহিত অবস্থায় বেশ্যা ভোগ করছি? যদি জানে তবে মেয়েটির মত আমাদের উপর ঘৃণা বর্ষিত হয় না কেন? না জানলে আমরা আমাদের পরিবারের সাথে প্রতারণাটা করছি কেন? করে পার পেয়ে যাচ্ছি কিভাবে? মেয়েটিও আমার মত একি কাজ করে পার পাচ্ছে না কেন?
ভিন্ন প্রসঙ্গ: বিয়ের আগে সম্মতিতে ছুদাছুদি করলে কোন ছেলের যদি বাল না ছিঁড়া যায়, মেয়েদের মানসম্মান এতো চুলোয় যায় কেন? এইটা যতদিন মেয়েরা না বুঝবে, যত দিন এক ছেলে একটা মেয়েকে ছুদে ছেড়ে দিলে সেই মেয়েটা আরও দশটা ছেলেরে ছুদে ছেড়ে দেওয়ার মত শক্ত মানসিকতা গড়তে না পারিতেছে, আর যতকাল বিয়ের নামক কমিটমেন্টের নামে প্রতারণার সিস্টেমটা বন্ধ না হচ্ছে; ততদিন সাবিরার মত মেয়েরা প্রেমিকের সাথে বিয়ের দিন-সুন্দর করে বউ সাজার স্বপ্ন ভঙ্গের জ্বালায় জ্বলে পুড়ে ছারখার সুইসাইড খাবে। আর পুরুষতান্ত্রিক সমাজ তাকে গলা বড় করে বেশ্যা ডেকে সুবিধাজনক অবস্থানটা বজায় রাখবে।

No comments:

Post a Comment