Tuesday, June 21, 2016

অবশেষে আত্মার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। গীতার মহাত্ম নিয়ে পোষ্ট দেওয়ায় একজন শ্বেতসার উপনিষদের রেফারেন্স টেনে কমেন্ট করেছে,---
''বালাগ্রশভাগস্য শতধা কল্পিতস্য চ।
ভাগী জীবঃ স বিজ্ঞেয়ঃ স চানেন্তেয় কল্পতে।।''
----- ''আত্মার পরিমাপ, কেশাগ্রের ১০ হাজার ভাগের এক ভাগ।'' এই শ্লোকের আরেক অনুবাদে দেখা যাচ্ছে , ''একটি কেশকে দশ হাজার ভাগের এক ভাগ যেরকম সূক্ষ্ম জীব হলও সেরকম সূক্ষ্ম।''(সতীশ চন্দ্র মুখোপধ্যায় সম্পাদিত)
অর্থাৎ একজায়গায় অনুবাদ করা হয়েছে আত্মা হিসেবে, আরেক জায়গায় অনুবাদ করা হয়েছে জীব হিসেবে। মূল শ্লোকে দু'জায়গাতেই জীব আছে।
কিছু প্রাসঙ্গিক প্রশ্নঃ
১) আত্মার আকার-আয়তন তারা মাপেছিলেন কি দিয়ে?
২) আত্মা নাকি দেখা যায় না, ধরা যায়, ছোঁয়া যায় না। কিন্তু যদি আয়তন থাকে তবে মাইক্রোস্কোপিক ল্যান্সে এখনো আত্মার দেখা পাওয়া যায়নি কেন?
৩) আত্মা আর জীব কি তাহলে এক? জীবের মৃত্যু ঘটে বলে আমরা জানি, তবে কি আত্মার ও মৃত্যু ঘটে?
৪) উপরের শ্লোক অনুসারে আত্মা আর জীব যদি এক হয় তবে গীতার দ্বিতীয় অধ্যায়ে ২০ নাম্বার শ্লোক ''আত্মার জন্ম নেই, মৃত্যু নেই, ক্ষয় নাই, বৃদ্ধি নেই। শরীর নষ্ট হলেও আত্মা নষ্ট হয় না।'' মিথ্যা হয়ে যায় না কি?
দ্রঃ গীতায় আত্মার পরিমাপ নাই বললে-''উপনিষদ পড়েন, আত্মার আয়তন পেয়ে যাবেন''।
উপনিষদের আত্মার পরিমাপ দিয়ে গীতা মিথ্যা প্রমাণ করলে--''গীতাই আসল গ্রন্থ, উপনিষদের আগে বেদ গীতা পড়তে হবে।''
আসল গ্রন্থ গীতায় আত্মার পরিমাপ নাই, আত্মা একটা টোটালি গাঞ্জা তত্ত্ব ইত্যাদি কইলে ''উপনিষদ পড়েন আত্মার পরিমাপ পেয়ে যাবেন।'' এইগু
লা বাদ দিয়ে নতুন পিছিলামো হাজির করেন।

No comments:

Post a Comment