Tuesday, March 29, 2016

ইতুর (Ettila Roy Etu) পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম, স্কুলে ইসলাম ধর্ম এবং সনাতন ধর্ম বইয়ের নাম চেঞ্জ করে 'ইসলাম ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা' এবং 'সনাতন ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা' করা হয়েছে। কিছুদিন আগে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ধর্মীয় শিক্ষাকে নৈতিক শিক্ষার মূল ভিত্তি বলেছেন। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দেশের সবার ধর্মীয় শিক্ষা নিশ্চিত করবেন।
একই ক্লাসে দুইটা ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম, দুইটা ভিন্ন ধারার আচার আচরণ, দুটো সৃষ্টিকর্তার পরিচয়সহ দুই ধরণের ধর্মীয় সংস্কৃতি শিক্ষা দিচ্ছে, একই সময়ে একটা নির্দিষ্ট প্রজন্মকে দুই ধরনের আদর্শের শিক্ষা- সম্পূর্ণ দুই রকমের মানুষ তৈরি করছে। এটা কেমন করে একটা জাতির ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নৈতিক শিক্ষার মানদণ্ড হয়? তা তো স্পষ্টত এক-পাক্ষিক সাম্প্রদায়িক অপশিক্ষা। হিন্দুরা কৃষ্ণের বহুবিবাহ, নির্লজ্জ লুচ্চামির চরিত্রটাকে নারী উপকারের তকমা হিসেবে নিয়ে নৈতিকতা শিখবে, অন্য দিকে মুসলমানেরা মোহাম্মদের বহুবিবাহ নারী লোভী কামুক চরিত্রটাকে নারী উপকারের আদর্শ জানবে। এভাবেই তারা দুই ধর্মের দুই বিশ্ব লুচ্চা, নারী বিদ্বেষী, কামুক, খুনি অবতারদের সবচেয়ে বেশি নারী বান্ধব হিসেবে জানবে । এক পক্ষ আবার অন্য পক্ষের অবতারের জন্য লালন করবে একরাশ ঘৃণা, হিংসা ও করুণা।
ধর্ম শিক্ষা আসলে আমাদেরকে কোন কোন বিষয়ে নৈতিক শিক্ষা দেয়! গুরুজনকে সম্মান, ছোটদের স্নেহ, মিথ্যা বলা মহাপাপ, কবরের আজাব মুক্তির দোয়া, স্বর্গের লোভ, নরকের ভয়, পূজা, নামাজ, ঈশ্বরের উপাসনা। এইগুলোকে নৈতিক শিক্ষা বলে? স্কুল ধর্ম বই গুলোতে ধর্মের সব ভাল ভাল জিনিস গুলো উপস্থাপন করা হয়েছে, খারাপ গুলো বাদ দেওয়া হয়েছে। এটা ধর্ম ব্যবসায়ীদের এক ধরনের হিপোক্রেসী। যারা স্কুলের শিক্ষাব্যবস্থায়ও দিব্যি ব্যবসা করে চলছে। যে শিক্ষার শুরুতেই হিপোক্রেসী তা কিনা হচ্ছে শিক্ষার ভিত্তি! একটা বাচ্চা স্কুলে ধর্ম বই পড়ে যতটুকু জানবে তা হল দুধকলা শিক্ষা। এইটুকু শিক্ষায় শিক্ষিত করে জাস্ট ধার্মিক সাপ টাকে পোষা হয়, অন্য কিছু নয়। এর পরবর্তী সময়ে কেউ তাদের নিজেদের ধর্মের কুসংস্কারাচ্ছন্ন বা অন্যায় অংশ তুলে ধরলে, সেই সাপটা বিষাক্ত ফণাটা তুলে নড়েচড়ে তেড়ে আসবে ছোবল দিতে।
ধর্মীয় শিক্ষা কখনো নৈতিক শিক্ষার ভিত্তি হতে পারে না। ধর্মীয় শিক্ষা একজন মানুষকে সাম্প্রদায়িক, সহিংস, এক কেন্দ্রিক, নারীর প্রতি তুচ্ছ ভাবাপন্ন, হিংসুটে, খুনি, মিথ্যেবাদী, স্বার্থপর এবং পরকালের লোভ/ভয়ে পরে বিচার বিবেচনাহীন মানসিক বিকারগ্রস্ত প্রাণী হিসেবে করে গড়ে তুলে, অন্যকিছু নয়।
সবশেষে বলতে চাই, প্রতিটা ধর্ম নারীকে পণ্য এবং ভোগের বস্তু ভাবতে শেখায়। মানুষকে যে ধর্ম মানুষের মর্যাদা না দিয়ে অমানুষের মত ট্রিট করে, তারা দেবে নৈতিক শিক্ষা? হাউ ফানি!

1 comment:

  1. নাস্তিক খানকির পোলা, বিয়ে করা মানে লুচ্চামি? তাহলে তোর বাবা কত বড় লুচ্চা সেটা বল?

    ReplyDelete