প্রকৃতিগত কারণে বাংলার মানুষ পাকিস্তানি, আফগানি, সৌদিয়ান থেকে উদার হওয়ার কথা, জানি না ঠিক কিনা। এখনো গ্রামে গৃহিণীরা ঘরে বাইরে পুরুষের পাশাপাশি সমান তালে কাজ করে। যদিও তারা দাসীর জীবন পালন করে তবুও তাদের নাই এক খণ্ড অবসর। তাদের পরিচয় এখনো গৃহিণী সঙ্গিনী, তারা এখনো বোরকা হিজাবে আবৃত হয়ে ঘরে ভেতর ঢুকে যায়নি। এখনো গ্রামের পুকুর অথবা নদীর ঘাটে নারী পুরুষ ছেলে মেয়ে একসাথে স্নান করে কাপড় বদলায়। আমরা এখনো শিখিনি নারী মানে খাদ্যবস্তু, একে ঠিকমত ঢেকে না রাখলে মাছি বসবে, যার পাখনায় যুক্ত থাকে মরণ বীষ।
গ্রামের সহজ সরল পুরুষদের ধর্ম শিক্ষা কম, দশ পনেরো বছর আগে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে টিভি আসায় বিনোদনের মাধ্যম শুক্রবারের বাংলা সিনেমা এবং রবিবারের ছায়া-ছন্দ। এখন ঘরে ঘরে ডিশ আছে হিন্দি বাংলা সিরিয়ালের পাশাপাশি ইংরেজি চ্যানেলও চলে। এক সাথে বাড়ছে ইসলামিক চ্যানেল, তামলীগ-জাতায়েত, ওয়াজ মাহফিল, হামদ-নাত, এবং ওয়াজের ক্যাসেটের প্রচার। একারণেই বোরকা হিজাবটা কিছু না বুঝেই হয়তো বাঙ্গালি নারীরা গ্রহণ করে নিচ্ছে। শরিয়া আইন আসলে যে শ্রেণী মরণ কামড়টা খাবে তারা হল নারী। এমনিতেই ৯৫% মুসলিম কান্ট্রিতে নারী তার কোন রকমের ন্যায্য অধিকার পাচ্ছে না, ঘরে ঘরে ধর্ষিত হচ্ছে, দোষ নিচ্ছে না পুরুষেরা। শরিয়া আসলে একবারে আল্লার আইন অনুযায়ী নারীকে চিকিৎসা করা হবে। এতে করে ইসলাম এবং ইসলামের আল্লা নবী নারীকে যে মধুর সম্মান দিয়েছে তা স্বচক্ষে বাংলার ধর্ষকামী নিষ্ঠুর পুরুষেরা দেখতে পাবে। যে যে দেশে শরিয়া এসেছে সে সে দেশ পৃথিবীর নাম্বার ওয়ান নারী নির্যাতনকারী ধর্ষক কান্ট্রি। ইসলাম স্বয়ং বিভিন্নভাবে ধর্ষণ কে সাপোর্ট করে। বাংলাদেশও এদের তালিকায় নাম লেখাক, তা না হলে আমাদের আর জাত থাকে না, তা না হলে ইসলামিক সংস্কৃতিটা আর রক্ষা হয় না। আমীন।
এইজন্যই এই ব্যাঙ্গাত্মক ইভেন্ট খোলা। শরিয়ার খারাপ দিক নিয়ে যার যার মত করে ব্যাঙ্গাত্মক ভাবে লিখুন।
No comments:
Post a Comment