Tuesday, July 5, 2016

বাংলা ওয়াজে যখন মূর্তি ভাঙ্গার থ্রেট দেওয়া হয়, লোকে এগুলোকে পুণ্য জ্ঞান করে ধর্মের মহাত্মা ভেবে অন্তরে গেঁথে নেয়। বাংলা ওয়াজে যখন নাস্তিক হত্যার জন্য উস্কানি দেওয়া হয়, লোকে সেগুলোকেও ধর্ম রক্ষার জন্য আবশ্যিক করণীয় বলে অন্তরে গেঁথে নেয়। পরে সময় সুযোগ বুঝে পুণ্যের কাজটা তারা করে নেয়। কিন্তু স্বীকার করে না ইসলাম এসব অকাজ সমর্থন করে।
গতবছর নাস্তিকতার অভিযোগ এনে সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে কতল বা মাথা কেটে হত্যার হুমকি দিয়েছিল কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক আলেমদের সংগঠন হেফাজতে ইসলাম। আলেম সংঘটন কিছু থেকে কিছু হলেই কল্লা কাটার হুমকি ধমকি প্রকাশ্যেই দেয়। এগুলোর বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষ থেকে কোন রকমের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। আচ্ছা কওমী মাদ্রাসার পোলাপান বা আলেমগণ কি ইসলামের বাইরের কিছু?
আলেম ওলামা মোল্লা সহ সাধারণ মুসলিম আমজনতা সবাই সংখ্যালঘু নির্যাতন আর নাস্তিক হত্যার এইসব থ্রেটকে খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার হিসেবেই নেয়। হত্যার পরের জঙ্গি সংঘটনের স্বীকারোক্তির পরে বলে, দেশে কোনও জঙ্গি নাই, এইগুলা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বা ইসলাম এইসব হত্যা সমর্থন করে না। ইসলাম যা সমর্থন করে এবং তাই একমাত্র বৈধ যদি হয়, তবে তারা কেন এইসব থ্রেট ও খুনাখুনিকে ইসলামের নামে অপব্যাখ্যা বা ষড়যন্ত্র বলে মাঠে নামছে না? নাস্তিক হত্যা বা বিধর্মী হত্যার অথবা পেটানোর জন্য তারা ঠিকই লাঠি ব্যানার নিয়ে মাঠে নামছে। ধর্মের কি পারস্পরিক বৈপরীত্য!
এইসব কথা এইজন্যই বলা। আজ দেখলাম তসলিমা নাসরিনকে কেরালা থেকে হত্যার হুমকি দিয়েছে ইসলামিক স্টেট। বাংলাদেশ থেকেও ইসলামি মৌলবাদীদের দ্বারা মৃত্যুর পরোয়ানা পেয়ে তিনি দেশ ছেড়েছিলেন ২২ বছর আগে। আজও পরিস্থিতি একটুকু বদলায়নি। অনেকেই এই থ্রেটে বগল বাজিয়ে খুশি হচ্ছেন, যেমন হয়েছিলেন বাইশ বছর আগের বাঙ্গালি মুসলিম সমাজ। আজ তসলিমা নাসরিন কে হত্যা করা হলে বগল বাজানিওয়ালারাই বলবে, ইসলাম জঙ্গিবাদ সমর্থন করে না, ইসলামে জঙ্গিবাদের কোন স্থান নেই, ইসলাম জঙ্গিবাদের নামে মানুষ হত্যা সমর্থন করে না, ইসলাম একটি শান্তির ধর্ম। আহা! শান্তির ছড়াছড়ি দেখতে দেখতে ক্লান্ত!
বিবিসির কাছে ‪#‎প্রধানমন্ত্রী‬ জোকসঃ
১. শেখ হাসিনা বলেছেনঃ //মেয়েদের শিক্ষা ও কাজ দিলে বাল্য বিবাহ কমবে// । আন্তর্জাতিক শিশু অধিকার সনদ অনুযায়ী (বাংলাদেশ এতে অনুস্বাক্ষর করেছে) ১৮ এর নীচের বয়সীরা শিশু হিসাবে স্বীকৃত। অন্যদিকে সরকার মেয়েদের বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স ১৬ চিন্তা করেছেন । তবে কি দেখা যাচ্ছে সরকার একদিকে নিজে বাল্য বিয়ের বা শিশু বিয়ের বৈধতা দিতে চাচ্ছেন আবার আবার অন্যদিকে বাল্য বিবাহ কমানোর উপায় বাতলে দিচ্ছেন । হাস্যকর !
বাংলাদেশ এখনো ধর্মনিরপেক্ষ আছে বলে তিনি মনে করেন কি না? এরকম প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন ,// ১৯৭৫ সালে আমার বাবাকে হত্যার পর সামরিক শাসক দেশের ক্ষমতা নেয়। তারা সংবিধান সংশোধন করে এবং সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষতা শব্দটি বাদ দেয়। আমার দ্বিতীয় দফা শাসনামলে আবার ধর্মনিরপেক্ষতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করি।// দেশে ব্ল্যাশফেমী আইন বহাল আছে এখনো । যেদেশে প্রতিটা ওয়াজ মাহফিল এ ইসলাম বাদে দুনিয়ার অন্য সব ধর্মের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর পরও ব্ল্যাশফেমীতে কোন বিচার করা হয় না । অথচ ইসলামের বিরুদ্ধে কোন পোষ্ট দিলে/ কথা বললে বা লিখলে নির্দ্বিধায় সংখ্যালঘুদের বাড়ি জ্বালানো হয় । এসবের কোন বিচার হয় না । কিন্তু লতীফ সিদ্দীকিকে গত পরশু হেফাযতে ইসলাম প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়ে যায় এবং সে ইসলামের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করায় তাকে জেল জরিমানা পোহাতে হয় ব্লগারদের দিনে দুপুরে চাপাতি দিয়ে কেটে কল্লা ফেলে দেয়া হয় । দেশ কি তবে ইসলাম ধর্মের পক্ষে নিরপেক্ষ ?বাংলাদেশ এখনো ধর্মনিরপেক্ষ!! হাস্যকর !
জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে: তিন ব্লগারের ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে প্রশ্ন করা হয়, সরকারের সঙ্গে জঙ্গি ইসলামপন্থীদের কোনো সমস্যা আছে কি না। উত্তরে শেখ হাসিনা বলেন, //বিএনপি জঙ্গিদের উৎসাহিত করেছে। আমাদের দুজন সাংসদকে হত্যা করা হয়েছে। আমিও আক্রান্ত হয়েছি। আমি সরকার গঠন করার পর থেকে সন্ত্রাসী বা উগ্রপন্থীদের ছাড় না দেওয়ার কথা ঘোষণা করি।// প্রধানমন্ত্রী বলেন, //জঙ্গিবাদ দমনের বিষয়টি অনেক কঠিন হলেও এখন তা নিয়ন্ত্রণে আছে।//
হুম সেটা হেফাজতের হুমকি, আনসারুল্লার হুমকি আর আজকের পত্রিকার বা টিভির খবরের নতুন নতুন জঙ্গির খবর দেখলেই বুঝা যায় । তবুও যদি বলা হয় জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রনে ,তবে তা হাসির উদ্রেকের জন্য যথেষ্ট ।
তিনি আরো বলেছেন//, ‘একটি বা দুটি ঘটনা ঘটতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে কী হয়েছে? তাহলে আমরা কি ওই দেশটিকে কেবল সন্ত্রাসীদের দেশ বলব? মোটেও তা নয়।’// প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে কয়টা লেখক বা ব্লগার হত্যার খবর জানেন ? উনি কি সন্ত্রাসী আর জঙ্গি কে একি পাল্লায় মাপছেন বা একি সংজ্ঞায় ফেলছেন ? যেমন করে জামাত শিবির পেট্রোল বোম মারলে অথবা অভিজিৎ বাবু অনন্তের খুনিদের দুর্বৃত্ত বলা হয় ?
জঙ্গিদের হত্যাকাণ্ডের তালিকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, //আমরা তালিকার ব্যক্তিদের নিরাপত্তায় সব ব্যবস্থা নিয়েছি। এ ছাড়া, ওই তালিকা যারা বানিয়েছে, তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। //
শেখ হাসিনা লিস্টেড কত জন ব্লগারকে নিরাপত্তা দিয়েছেন কেউ কি সেই খবর জানেন বা শুনেছেন? বাবু হত্যার পর খুনিরা যে সাথে সাথে ধরা পরলো তাদের বিচার প্রক্রিয়ার কতদুর কি ?
অভিজিৎ এ র জন্য এফবি আই পর্যন্ত আসলো খুনি কই ? প্রশাসন আছে কেন ? খুনি ধরতে কি সাত পাঁচ দিন লাগে ? এই যে হেফাযত বা আনসারুল্লাহ হুমকি দিচ্ছে এদের কে ধরা হচ্ছে না কেন ? নাকি খুনি নিজে এসে যদি বলে যে, ''আমি খুন করেছি বা আমিই তালিকা বানিয়েছি '' তবেই সরকার বলবে আমাদের খুঁজে বের করা যথার্থ হয়েছে ? কৌতুক আর কাকে বলে !?
১) বিশ জন বিদেশীকে যখন জবাই করে হত্যা করা হলও, ঠিক তখনই সবাই বুঝতে পারলো বাংলাদেশ এক গভীর সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে। কারণ বিদেশীরা মানুষ। লেখক, ব্লগার, প্রকাশক, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট, সমকামী অধিকার কর্মী, মুয়াজ্জিন, বৌদ্ধভিক্ষু, ধর্মান্তরিত ও ভিন্ন মতের মুসলিম ধর্মগুরুসহ, পুরোহিত, হিন্দু এরা মানুষ না।
২) টিভিতে রাতভর ক্রমাগত বারাক ওবামা ছবি, খালেদা জিয়ার নিরাপত্তার নিউজ দেখলাম। প্রধানমন্ত্রীর দেখা পেলাম না, তিনি তখনো ঘুমাচ্ছিলেন। কমান্ডো স্টাইলে ''অভিযান সফল হইছে'' বলে পুরো ক্রেডিট নিজের ঘাড়ে নিয়ে দেশবাসীর কাছে একশন মুভির নায়িকার রোল পালন করে এমন বক্তব্য তিনি দিবেন, সেটা আগেই বুঝতে পেরেছিলাম।
৩) জঙ্গিরা নামাজ পড়া বাদ দিয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে, তাদের কোন ধর্ম নাই--প্রধানমন্ত্রী। 'নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবার' তবে কোন ধর্মের অংশ?
৪) মিডিয়ার একই খবর আর ছবি দেখতে দেখতে মুখস্থ করে, ক্লান্ত হয়ে যখন ঘুম দিলাম। তখন ঘুম থেকে উঠে শুনি সরাসরি সম্প্রচারে মিডিয়ার নিন্দা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এর পরবর্তী কমান্ডো অভিযানে কোন রকমের সংবাদ প্রকাশ নিষিদ্ধ করলেই অভিযান পুরোপুরিভাবে আরো সফল হবে আশা রাখি।
৫) গতকাল সকালে যখন আনসার আল ইসলাম এক টুইট বার্তায় বলেছিল, বাংলাদেশের ডিপ্লোমেটিক জোনে এই প্রথম হামলা চালাতে যাচ্ছে ধর্মযোদ্ধারা। সরকার তখন সেহেরী, ইফতারী, উন্নয়নের জোয়ার আর ঈদের শপিং নিয়ে ব্যস্ত ছিল। আজকে যখন হামলা সফলভাবে শেষ হয়েই গেলো, তখন না হয় উন্নয়নের ঝলক একটু দেখিয়েই দিল!
৬) চ্যানেল গুলো নিয়মমাফিক ঘণ্টার খবর ছাড়া ইদের শপিং, ঈদ, পাঞ্জাবীর দাম, কোপা, লীগা ইত্যাদির খবর প্রচারের উপর বেশ জোর দিয়েছে আজ। গণজাগরণ মঞ্চের মত কোন জাগরণ যাতে ভুলেও না হয়, সে ব্যাপারে সরকার মনে হয় বড্ড সচেতন। পাঁচ সাত রেলের উদ্বোধন করে উন্নয়ন দিয়ে কতদিন এসব জঙ্গি ইসলামী রুই কাতলা ঢেকে রাখা যায় সেটাই এখন দেখার বিষয়!
৭) দুজন পুলিশ, ছয়জন জঙ্গি আর বিশজন বিদেশী মোট কত জন?
সংযুক্তিঃ প্রধানমন্ত্রী কি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে সরাসরি সম্পরচার দেখতেছিলেন? আমি তো প্রথমদিকে একটু দেখার পর আর দেখি নাই, আপনারা কি দেখছেন?
১) ন্যাকামি দেখছি মরুষদের, ন্যাকামি দেখছি পুরুষদের, আজকে ন্যাকামি দেখলাম প্রধানমন্ত্রীর। ইনিয়ে বিনিয়ে তিনি 'ইসলাম শান্তির ধর্ম' এইটা রক্ষায় এবং প্রচারে ব্যস্ত সেইটাই বলতে চাইছেন। মানুষের জীবনের চেয়ে ধর্ম রক্ষা যখন খুব প্রয়োজনীয় হয়ে উঠে তখন মানুষ এমনেই কয়। থুঃ
২) আস্তিকেরা কয় নাস্তিক আর জঙ্গিদের মধ্যে কোন পার্থক্য নাই। তেমনি কোন কোন নাস্তিকেরা গুলশানে ইসলামী জঙ্গি হামলার সাথে রেডিক্যাল ফেমিনিজমের সাদৃশ্য খুঁইজা পাইতেছেন, ছিঃ--। উগ্র নারীবাদীদের লেখনিতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে শত শত প্রগতিদন্ডের ঈমান ভেঙে পড়েছে। উগ্র নারীবাদীরা জঙ্গিদের হাতে অস্ত্র তুইলা দিছিল। উগ্র নারীবাদীদের এহেন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
৩) যারা দেশের এই অবস্থার মধ্যেও নারীবাদীদের ন্যুড ছবি বানিয়ে মানুষের ইনবক্সে সেন্ড করে করে সহি নারীবাদের প্রচার চালাইতে চাইতেছেন তাদের জন্য আবারো বলি। সব পুরুষ যদি এক হয় এইকাজ গুলো করতেছে কোন ভাল পুরুষ? তারা কার ঘরের ভাই, কার ঘরের বাপ, কার ঘরের স্বামী বা কার কার বন্ধু? এদের জন্য অযুত নিযুত করুণা!
৪) বোরকা হিজাব দেখলে জঙ্গিরা ছেড়ে দেয়, মারে না। কারণ ইসলামে বোরকা হিজাব পরতে বলা হয় নাই। বোরকা হিজাবের সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নাই। অতএব ইসলামের সাথেও জঙ্গিবাদের কোন সম্পর্ক নাই। (প্রমাণিত)
৫) সুরা পড়লে জঙ্গিরা ছেড়ে দেয়, মারে না। কারণ ইসলামে সুরা বলতে কিছু নাই। সুরার সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নাই। অতএব ইসলামের সাথেও জঙ্গিবাদের কোন সম্পর্ক নাই। (প্রমাণিত)
৬)আন্তর্জাতিক ভাবে ইসলাম প্রতিষ্ঠার কাজ উদ্ধোধন উপলক্ষে সানডে-মানডে ক্লোজ কইরা দিলাম... --জাতির উদ্দেশ্যে ভাষনে প্রাইমজোকার।
৭) আজ মহিমান্যিত রাত্রি। এইসব ভুলে গিয়ে প্রার্থনা করে আল্লার কাছে মাফ টাফ চেয়ে নিয়ে চলেন আমরা হাসিখুশি মনে ঈদ উদযাপন করি।
সংযুক্তিঃ এইসব ছবি আমার ইনবক্সে কেউ পাঠাচ্ছে না কেন? ডলা খাওয়ার চান্স নিতে ভয় পান? শুওরের বাচ্চারা আপনাদের বলছি, যারা এইসব ছবি পেয়ে হাত মারতে পারে তাদেরকে পাঠান এবং আপনারা নিজেরাও হাত মেরে ঠান্ডা হয়ে; এই পবিত্র রাত্রিতে অশেষ নেকি হাসিল করে সহী নাস্তিক ও নারীবাদীর তকমা পান। আমীন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এইবার বলেছেন জঙ্গিরা সবাই বাংলাদেশী, কারণ পরিচয়টা আর ঢেকে রাখার উপায় নাই। পুলিশ পরিচয় দেয়ার আগেই আইসিস দিয়ে দিয়েছে। এর আগে শুনেছি দেশে কোন জঙ্গি নাই। এবার যখন দেশে জঙ্গি পাওয়াই গেলো, তবে এখন বলতে হয় এসব জঙ্গিবাদের সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নাই, ইসলাম জঙ্গিবাদ সমর্থন করে না। আগে জঙ্গি বাঁচাতে কইতেন--জঙ্গি নাই। আর এখন ইসলাম বাঁচাইতে কোমল স্বরে ধীরে ধীরে কইতেছেন--ইসলাম শান্তির ধর্ম।
এই ইসলাম কি আপনাদেরকে বাঁচতে দিবে? মনে হয় না। আইসিসের মত ইসলামের রেফারেন্স দিয়ে দেশি জঙ্গিরা যখন বলবে, ‘যারা ইসলামকে শান্তির ধর্ম বলে তাদের কথা শুনবেন না। ইসলাম একদিনের জন্যও শান্তির ধর্ম ছিল না। ইসলাম যুদ্ধের ধর্ম। আল্লাহর শাসন প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যেতে মহানবী আমাদের আদেশ দিয়েছেন।’ তখন বুঝবেন ইসলামের সাথে শান্তি কোথায় কোথায় কিভাবে জড়িত। নাস্তিকেরা কইলে কোপাইতে আসেন, অপেক্ষা করেন---তারা যখন আপনাদেরকে জবাই করতে আসবে তখন ওম শান্তি বইলা মাথাটা বাড়াইয়া দিয়েন প্লিজ।
দেশে গার্মেন্টস শিল্পের প্রসারের কারণে পোশাকের জগতে বিপ্লব ঘটেছে। যার প্রভাব ছেলে মেয়ে উভয়ের মধ্যেই পরেছে। কম পয়সায় ভাল পোশাক পাওয়া খুবই সহজ। একিভাবে বিপ্লব ঘটেছে ঘড়ি এবং স্যান্ডেলে। দেশ ইসলামি-করণের দিকে এগিয়ে যাওয়ায় ছেলেরা পশ্চিমা আধুনিকতায় যতটুকু এগিয়ে গিয়ে গিয়েছে, মেয়েরা সেই তুলনায় কম। অনেক মেয়েই ঘরে ট্রাউজার হাফ প্যান্ট টিশার্ট পরে অভ্যস্ত থাকলেও বাইরে বের হয় সালোয়ার কামিজে। এক শ্রেণী ঢাকনার উপরে সালোয়ার পরে নারীর পা দেখানো ট্যাবু ভাঙতেছে, আরেক শ্রেণী হিজাব বোরকার মধ্যপ্রাচ্যের স্টাইল রপ্ত করতেছে। মাথার উপরে যে যত বেশি হিজাবের ভাজ ফেলতে পারে সে তত বেশি ইসলামী স্টাইলিশ। শাড়িতেও বাঙ্গালি মেয়েরা অনন্য, কোন পার্টি, বিয়ে বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সবাই কম বেশি শাড়ি পরতে অভ্যস্ত। যেহেতু মেয়েরা শরীর ও রূপ বেচে খায়, পুরুষকে আকর্ষণ করার জন্য পোশাকের আধুনিকতার বিকল্প নেই এটা তারা জেনে গেছে। মাসে একবার পার্লারে যায় না এমন মেয়ে খুব কম পাওয়া যাবে।
অন্যদিকে ছেলেদের রূপ দেখিয়ে বাঁচতে হয় না, চলতে হয় না, বলে তারা সব ধরনের পোশাকের আধুনিকতা টাকে গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে রাখেনি। তারা আরামদায়ক, সহজ পশ্চিমা পোশাকটাকেই বেছে নিয়েছে। আবার ঘরে লুঙ্গি টাও রেখেছে, বাদ দিয়ে দেয়নি। কিন্তু কোন অনুষ্ঠানে তাদেরকে লুঙ্গি পাঞ্জাবী বা ফতোয়া পরে যেতে দেখা যায় না। তারা যায় সেই প্যান্ট, শার্ট, টি-শার্ট, টাই-স্যুট ইত্যাদি পরে। মেয়েরা কিন্তু এখনো রাবীন্দ্রিক লেস ওয়ালা ব্লাউজ আর এক পেড়ে শাড়িতে বেশ আধুনিক। ছেলেরা পোশাকের দিক দিয়ে আধুনিকতা আনলেও, আমার মনে হয় চুলের স্টাইলে বাংলাদেশের ছেলেরা কিছুটা পিছিয়ে। যেহেতু মুখের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলার জন্য চুল টা একটা ফ্যাক্ট সেটা এখনো তারা বোধ হয় বুঝে উঠতে পারেনি। অনেক ছেলেকেই দেখেছি হাফ প্যান্ট টিশার্ট স্যান্ডেল ঘড়িতে বেশ স্মার্ট মনে হলেও চুলের স্টাইলের কারণে ক্ষেত মনে হয়। তারা সেটা হয় বুঝে না, আর না হয় পারিবারিক ভাবে একটা আঁতেল টাইপের চুলের স্টাইল রেখে তারা অভ্যস্ত।
এখন আসি ক্রাশের ব্যাপারে। আপনি কার উপর ক্রাশ খাবেন, কার উপরে খাবেন না, সেটা আপনার ব্যাপার। কেউ খায় রূপে , কেউ খায় স্মার্টনেসে, কেউ খায় গুণে। কিন্তু আপনার মা বোনের ধর্ষকের উপর আপনি ক্রাশ খাবেন না। অথবা আপনার বাবা ভাইয়ের খুনির উপরেও ক্রাশ খাবেন না। সাধারণ দৃষ্টিতে এটাই স্বাভাবিক। ধর্মের বাহক বোরকা ওয়ালির উপর অনেক স্যাকুলার নাস্তিক ক্রাশ খায়, ওটা স্বাভাবিক ভাবে গ্রহণীয় হয়। এখানেও তারা উপরের পুরুষালি সুবিধাবাদী একটা ভূমিকা পালন করে। যেহেতু তারা পুরুষ। যদিও সে একটা ধর্মের নিষ্পেষণ পীড়নকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম বহন করে, তবুও তা গ্রহণযোগ্য। মেয়েটা সুন্দর স্মার্ট কিনা, ভাল মাল কিনা সেটাই এখানে মুখ্য।
মেয়েদেরকে বলছি আপনাদের মাথাটা একটু কাজে লাগান। একবার ভাবেন কোন ধর্ম আপনাকে যদি করে ঐশ্বরিক নিয়ম কানুনের দোহায় দিয়ে আপনার স্বাভাবিক জীবন প্রবাহকে বিঘ্নিত, সেই ধর্মকে আপনি কি লালন করবেন কি করবেন না? সেক্ষেত্রে আপনি কোন স্টাইলটা নিজের মধ্যে গ্রহণ করবেন করেন। কিন্তু সেই ধর্মের বাহক, ধারক, জঙ্গি খুনির উপরে যদি আপনি ক্রাশ খান, তবে বুঝতে হবে আপনি আপনার মাথা সেই সব বোরকাওয়ালী টাইপের মেয়েদের মত অকার্যকর রেখেছেন, অথবা আপনি লাইফে কোন স্মার্ট ছেলে দেখেন নাই। ছেলেদেরকে স্মার্ট বানিয়ে নেওয়া যায়, আপনার মত আপনি তাকে বানিয়ে নিন, কিন্তু কার উপরে ক্রাশ খাওয়া যায়, কার উপরে খাওয়া যায় না সেটা ভাবার মত মগজটা আগে তৈরি করুন। তা না হলে উপরের বোরকাওয়ালীর জামাই স্যাকুলার পুরুষটিও আপনাকে নিয়ে হাসি ঠাট্টা করবে। ভুলে যাবেন না সমাজটা পুরুষতান্ত্রিক।
http://bangla.jagoroniya.com/mass-media/1042/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B8%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97-%E0%A6%9C%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%BF-%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B6
১) আইসিসের প্রকাশিত জঙ্গিদের নাম, পুলিশের দেওয়া নাম আর বাস্তবের নামের মিল নাই কেন? 
২) আইসিস ছবি না দিলে সাধারণ জনগণ এভাবে জঙ্গি সনাক্ত করতে পারতো কি?
৩) আইসিস জঙ্গির ছবি প্রকাশ না করলে আমরা পুলিশের থেকে আসল ছবি পেতাম কি? 
৪) আইসিস ছবি প্রকাশ না করলে আমরা কি বিশ্বাস করতাম দেশে জঙ্গি আছে?
৫) আইসিসের ছবি ধরে পুলিশের দেওয়া জঙ্গির ছবি না মিলালে আমরা কি বুঝতে পারতাম এরা বাঙ্গালি? (কারণ তারা নাকি হিন্দি আর ইংলিশে কথা বলিতেছিল)। 
৬) জঙ্গিদের ছবি দেখে ফেসবুকে পরিচয় ফাঁস না হলে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী কি স্বীকার করতেন দেশে জঙ্গি আছে বা এরা বাঙ্গালি?
৭) ইসলাম থেকে রেফারেন্স দিলেও ''ইসলাম মানুষ হত্যা সমর্থন করে'' সেটা লোকে বিশ্বাস করতে চায় না কেন?
৮) ইসলাম মানুষ হত্যা সমর্থন করলে, সেটা কিভাবে শান্তির ধর্ম হয়?
৯) ইসলাম শান্তির ধর্ম বলে ঢোল পিটিয়ে কি শান্তি স্থাপন সম্ভব?
১০) জঙ্গি নাই বলা কি পরোক্ষভাবে জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষক করা নই?
১১) জঙ্গি থাকার পরেও 'ইসলাম শান্তির ধর্ম'' বলা কি পরোক্ষভাবে ইসলাম ধর্ম কে কলঙ্ক থেকে বাঁচানোর চেষ্টা নয়?
১২) ইসলাম বাঁচালে কি ইসলাম আপনাকে বাঁচাতে পারবে?
১৩) ইসলাম ধর্মে যদি মানুষ হত্যা নির্দেশ থাকে, জঙ্গিদের তা পালন করা কেন অনৈসলামিক হবে?
১৪) অনৈসলামিক হলে মুসলিমরা ওইসব রেফারেন্সের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামছে না কেন?
১৫) আন্দোলনে না নেমে ইহুদি নাসাদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে কত দিন পার পাওয়া যাবে?
১৬) আপনার আমার ঘরের কে জঙ্গি সংঘটনের সাথে জড়িত তা বোঝার উপায় কি?
১৭) নামাজ রোজা পড়ুয়া, নিয়মিত মসজিদে যাওয়া শান্ত শিষ্ট ছেলেরা জঙ্গি হয় কেন?
১৮) নামাজ, রোজা, কোরান, ইসলাম এবং মসজিদের সাথে জঙ্গিবাদের সম্পর্ক কি?
১৯) মসজিদের সাথে ইসলামের সম্পর্ক কি?
২০) ইসলামের সাথে আল্লাহু আঁকবারের সম্পর্ক কি?
২১) আল্লাহু আঁকবারের সাথে জঙ্গির সম্পর্ক কি?
২২) জঙ্গিরা আল্লাহু আঁকবার বলে কেন?
২৩) বললে ইসলামের অবমাননা হয় না কেন?
২৪) অবমাননা হলে আন্দোলন হচ্ছে না কেন?
২৫) নাস্তিকেরা ধর্ম নিয়ে কিছু বললে অবমাননা হয়, জঙ্গিরা অবমাননা করলে সেটা অবমাননা হয় না কেন?
২৬) তবে জঙ্গিরা কেন ইসলামের মাসতুত ভাই হবে না???