Wednesday, November 16, 2016

সন্তান কোন অন্যায় করলে তাকে শাসন করার অধিকার প্রতিটা বাবা মায়ের আছে। সন্তানকে মারার অধিকারও তারা রাখে। তারা যেহেতু জন্ম দিয়েছে সেহেতু সন্তানের উপর খবরদারিটা তারা বরাবরই বজায় রাখে। নিম্নবিত্ত পরিবারে একটা বয়সের পর ছেলেরা আর বাবা মায়ের ধার ধারে না। আমাদের গ্রামের প্রায় সব পরিবারের ছেলেই বয়স ১৫/২০ এর মধ্যে বিয়ে করে বাবা মা থেকে আলাদা হয়ে স্বাধীন জীবনযাপন করে। তারা খোলাখুলি বিড়ি খায় ছোট বড় সবার সামনে। সিনিয়রিটির বিষয়টা তারা পাত্তা দেয় না। শেষ বয়সে বাবা মাকে দেখাশুনাও তারা করে না। মন চাইলে দিন পনেরো পরে বাবা বা মাকে ডেকে এক দুই বেলা খাবার দিলে দেয়, না দিলে নাই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাবা মায়ের সাথে সন্তানদের সম্পর্ক থাকে বৈরি। গালিগালাজ মারামারি পর্যন্ত গড়ায়। উচ্চবিত্তেও বাবা মায়ের সাথে সন্তানের দূরত্ব অনেক। তারাও একটা বয়সে স্বাধীন জীবন যাপন করে।
সমস্যা হল মধ্যবিত্তে। মধ্যবিত্ত শ্রেণীর বাবা মায়েরা তাদের সন্তানদের তাদের বগলে নিয়ে ঘুমাতে চায় জন্ম থেকে মৃত্যু অব্দি। বাবা মা যে স্বপ্ন দেখে সে অনুসারে সন্তান মানুষ না হলে তারা পড়ে যায় বিপদে। সন্তানকে তারা শাসন করে সবচাইতে বেশি। যেহেতু প্রয়োজনের চেয়ে নিতান্ত কম উপার্জনে সংসার চালাতে হয়, নিজেদের সুখ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে সন্তানকে ভাল ভাল খাইয়ে পরিয়ে বড় করে; সে কারণে সন্তানের উপর তাদের দাবিটা ঋণদানের মত। আমি তোমার জন্য এই এই দিয়েছি, এই এই ত্যাগ করেছি, তোমাকেও আমাদের অমুক তমুক দিতে হবে। না হলে চলে অত্যাচার। 
মধ্যবিত্তের সন্তানেরা জীবন যেভাবে দেখে সেভাবে নিম্নবিত্ত আর উচ্চবিত্তের দেখার উপায় নেই। তারা থাকে সর্বদা বাবা মা এবং বড়দের আশীর্বাদ পুষ্ট সন্তানের পাল। তারা থাকে খুব আদুরে। আদরটা চলে শাসনের ফাঁকে ফাঁকে, আদরটাও যেন শাসন মিশ্রিত। গোল্ডেন পেলে সেলফোন পেতে পারো টাইপ আদর। এসব আদুরে সন্তানদের সমস্ত কাজ বাঙালি পিতা মাতা মেনে নিবে, উইদাউট রিলেশনশিপ। পিতা মাতা সন্তানের ভালোর জন্য গায়ে হাত তুলতে পারবে, সন্তান ভালবেসে নিজের ভালোলাগাকে মূল্যায়ন করে প্রেমিক/প্রেমিকার হাত ধরলে তারা তা মেনে নিবে না। তারা সন্তানের সর্বোচ্চ ভাল চায় কিন্তু সন্তানের নিজের ভালোলাগা ভালবাসার জায়গাতে তাদের অবজেকশন। মধ্যবিত্ত শ্রেণীর পিতামাতারা চায় সন্তান বিয়ে করবে বা প্রেম করবে তাদের দেয়া রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী মানুষকে। এইসব সন্তানেরা তাদের বাবা মাকেও কখনো হাত ধরতে দেখে না। তাদের ভালবাসাবাসি থাকে পর্দার আড়ালে অপরাধের মত অপ্রকাশিত।
এক বাঙালি পুরুষের স্ত্রী সেদিন দেশ থেকে এলো। পরদিন তার এক ইতালিয়ান বন্ধু জিজ্ঞাস করলো, কাল রাত তোমার কেমন কেটেছে? তিনি অন্যদিকে তাকিয়ে ভাবলেশহীন ভাবে বললেন, কাল রাতে বৃষ্টি ছিল। এমন একটা ভাব, তার স্ত্রী আসা না আসাতে তার কিছুই আসলো গেলো না। মধ্যবিত্ত বাঙালিরা তাদের ভালবাসা আড়াল করতে ভালবাসে। তারা যে সন্তান জন্ম দেয়, এক্ষেত্রে তারা এমন ভাব করে- স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কোনরকমের ছোঁয়াছুয়ি ছাড়াই সন্তান আকাশ থেকে পেটে পড়েছে। মেয়েরা অপারগ বলে পেট ফুলানোটা বন্ধ করতে পারে না, সম্ভব হলে তাও করতো। এরা সত্যিই এক আজব চিড়িয়া। সবকিছুকে তারা সাধুবাদ জানাবে, শুধু প্রেম ভালোবাসা আর ভালবাসার প্রকাশ ছাড়া। কেউ কারোর সাথে প্রেম করলো, একটু ভালবাসার প্রকাশ করলো, এই শুরু হয়ে গেলো চুলকানি। তাদের পেটে সবই হজম হয় উইদাউট লাভ, তা হোক নিজের সন্তানের অথবা অন্যের সন্তানের। এটা হয়তো মধ্যবিত্তের অর্থনৈতিক সামর্থ্যহীনতার সাইড ইফেক্ট।http://bangla.jagoroniya.com/mass-media/2554/%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A6%BE-%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%85%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A7%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A4-%E0%A6%85%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%A4
১) 'মরি মরি একী লজ্জা!' 'সমাজের একী অধঃপতন!' 'মেয়েটি একা কাপড় খুলেনি ছেলেটিও খুলেছে।' 'মেয়েটা না হয় একটা ভুল করেই ফেলেছে।' 'এরকম ঘটনায় সম্মান কেন একার শুধু মেয়েদেরই যাবে?' আরে ভাউ থামেন, অনেক তো হলো জ্ঞানদান, দিনশেষে যেই লাউ সেই কদু। আমরা কিন্তু রাখাল বালকের ধম্মের অনুসারী, ধম্ম এসব এলাউ করে না আর আমরা কিন্তু পর্ণও দেখি না। তবে দেশি মাছের স্বাদই আলাদা, পাইলে ছাড়ি না। তাই বলি কি- সবারই এরকম ভিডিও বের হোক। ভাউয়েরা আপ্পিরা আপনারা সবাই অন্যের ধারণ করা ভিডু দেখে দেখে এভাবে কতদিন সুখ পাবেন? নিজেরাও নিজেদের ভিডিও ধারণ করুন, তারপর মিডিয়ার প্রচার করুন। নিজেও সুখ পান অন্যদেরও সুখী করুন। এরপর না হয় একটা প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করা হবে। কার চেয়ে পটু মারায় কে বেশি এগিয়ে? আমরা সবাই একই উম্মার ভাই ভাই। মানুষ বেঁচে থাকলে বদলায়। নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, মানুষ হত্যা আমাদের গা সওয়া হয়ে গেছে, আশা করি এটাও এক সময় সহনশীল হয়ে যাবে।
২) গলির মোড়ে দাঁড়িয়ে সদ্য দাঁড়ি গজানো পোলারা যখন বিড়ী (বিড়ী খাওয়া কি জায়েজ না নাজায়েজ?) ফুঁকতে ফুঁকতে এর ওর বোনের পাছ আটে চল্লিশ গুণে, তখন রাখাল বালকের উশর ধম্ম আর নারীর সর্বোচ্চ সম্মান হলদে হয়ে সুয়ারেজ লাইন দিয়ে বঙ্গোপসাগরে ভেসে যায়।
৩) এর ওর প্রেমিকা, বোন, খালা, মামি কতজনরে ভাইবা যে হাতের ছাল তুলছেন, সেটা আপনি ছাড়া কেই বা ভাল জানে ভাউ? ফেবুতে তনু হত্যার বিচার চাই এ লাইক দিতে দিতে পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া বড় আপ্পিদের কতবার মনে মনে ধর্ষণ করেছেন হিসেব করেছেন?
৪) ছোট বড় বসন দিয়ে চরিত্র নির্বাচন মানুষের মাথায় আপনি আসেনি, ধম্ম থেকে এসেছে। নারী যদি বসন খুললে চরিত্রহীন হয়ে যায়, তাহলে পুরুষের বসনের কথা ভাবুন, ভাবুন তারা কতোটা চরিত্রবান?
৫) নারীরা পুরুষের ছুদা খায়, তারপর আবার পুরুষদেরই সমালোচনা করে! তারা কত্তবড় নিমকহারাম, চিন্তা করছেন?
ভালবাসার মধ্যে ছেদ আমার পছন্দ নয়।
কোন ঐশ্বরিক বাণীও যদি
আমার প্রেমের সময় আবির্ভাব হয়,
ইচ্ছে করে আল্লার আরস, দেবালয় সহ
সবখানে আগুন জ্বেলে দেই।
বড় বড় প্রেমের প্রাসাদ ভেঙ্গে চুরচুর হয়ে যায়,
সমস্ত রাজা মহারাজার রন্তভাণ্ডার
মিথ্যে, মূল্যহীন, ফাঁকা আস্ফালন মনে হয়,
যেই মুহূর্তে আমি কাউকে হৃদয়ে স্থান দেই।
অবশ্য আমাকে চড়া দামে
এর মূল্যও পরিশোধ করতে হয়।
তবুও প্রেমের জন্য, ভালবাসার মানুষের জন্য
দেউলিয়া হতে আমার কোন আপত্তি নেই।
১) তিন বছরের কল লগ ডিলিট দিতে সময় লাগে মাত্র কয়েক সেকেন্ড।
২) যুগ পাল্টেছে, এখন আপনাকে নিজেকেই বড় বলে বড় হতে হয়; লোকের কথায় কিছুই আসে যায় না।
৩) কাছের মানুষের অনুরোধ ফেলতে না পারাটা বড় দুর্বলতার বহিঃপ্রকাশ।
৪) সময় দিয়ে যদি অনেক কাঙ্ক্ষিত সময় কিনতে হয়, তবে সে সময়ের সাথে অন্য কোন মূল্যবান বস্তুরও তুলনা চলে না।
৫) বিষও অমৃতের সমান মধুর লাগে যদি সেখানে প্রেম থাকে।
৬) প্রেমে পরলে যা হয়---
ক) তোমার সাথে কথা বললে এতো এনার্জি পাই যে, যে কোন কষ্টের কাজ আমি হাসিমুখে করতে পারব।
খ) তোমার সাথে কথা বললে তুমি আমার সমস্ত শক্তি নিয়ে নাও, এতো দুর্বল লাগে... মনে হয় যেন বসা থেকে উঠে দাঁড়ানোর শক্তিটাও অবশিষ্ট নাই। যে কারোর একটু টুকায়ই জ্ঞান হারাব।
৭) যে কোন খারাপ সিচুয়েশনকে নেশার তালে তলিয়ে ভুলিয়ে দিয়ে পৃথিবীর সবচাইতে সুখী মানুষ ভাবার অনুভূতি দিতে পারে যে ঔষধ, তার নাম প্রেম।
সবসময় কবিতা লেখার অনুরোধটা ছিল,
অহেতুক জনের অপ্রত্যাশিত অনুরোধ
না রাখলেও চলে বলে, আর সব ঠিকঠাক লেখা হলেও
হিসেব করে কবিতা-টাই আর মাথায় এলো না।
আমার বোনের মেয়ে পড়ে কলেজে, আর ছেলে ক্লাস ফাইভে। সারাদিন বাসা-বাহিরের কাজ, বাজার-রান্না,ছেলেকে স্কুল থেকে আনা নেওয়া, ওর পড়া, খেলা ইত্যাদি নিয়েই তার সময় চলে যায়। সে আমাকে কয়েকদিন আগে বলছিলও, ''আরেকটা বাচ্চা নিতে হতো আমার, ভুল করেছি, ছেলেটা তো আর এক বছর পর একা একাই যাতায়াত করবে স্কুলে, নিজের পড়াও নিজেই করবে, তখন আমার সময় কিভাবে কাটবে?'' আমাদের সমাজের বাবা মায়েরা যারা সন্তান নেন, ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় সবই নিজেদের প্রয়োজনে। প্রথমত সন্তান উত্তরাধিকার, বংশলতিকা রক্ষা করবে, দ্বিতীয়ত মানুষ হিসেবে জন্মের একটা অবধারিত নিয়ম হলো সন্তান লালন পালন এবং ভরন পোষণ। মানুষকে কিছু না কিছু কাজ নিয়ে ব্যস্ত থেকে জীবন পার করতে হয়। অভিভাবকেরা সন্তান ধারণ পালন কে জীবনের কাজের অংশ হিসেবেই মেনে নেয়। এটা কিন্তু একজন মানুষ কে মানুষের মত মানুষের হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নয়, সেটা নিজেদের প্রয়োজনেই নিজের অপূর্ণ সাধ আহ্লাদ পূরণের জন্যই করে থাকে। এখানে পুরোপুরিভাবে ব্যক্তিগত আত্মতুষ্টি এবং স্বার্থ জড়িত।
নিজের জঠর ছিঁড়ে বের হয়ে আসে বলেই অথবা নিজের রক্তের টাকায় খাইয়ে পড়ে বাঁচে বলেই সেই সন্তানের প্রতি থাকে বাবা মায়ের সীমাহীন ভাল ভাল ভালোবাসা। একজনের সন্তান ফার্স্ট হতে হলে কাউকে না কাউকে সেকেন্ড হতে হবে। সব বাবা মা-ই চায় আমার সন্তান যেন সেকেন্ড না হয়। একজন পিতা বা মাতা নিজের সন্তানের যতোটা ভাল চায়, ঠিক ততোটুকুই অন্যের সন্তানের খারাপ চেয়ে থাকে। সাধ্যের উপরে নির্ভর করে স্বার্থের পাল্লা। কেউ হয়তো হাজার টাকার জামা কিনে দিতে পারে সন্তানকে, কেউ বা শত টাকার, আক্ষরিক ভাবে স্ট্যাটাস অনুযায়ী পোশাকের চাকচিক্যে ওজনে তারতম্য থাকলেও, সন্তানের জন্য স্বার্থের ভাবানুবাদ সকল বাবা মায়ের এক।
ভাইয়ে ভাইয়ে সম্পর্ক একসময় নষ্ট হয়ে যায়, ভাইদের সন্তানদের উত্তরাধিকার রক্ষার খাতিরেই। মেয়েরা সন্তান জন্মদান লালনপালন করলেও, উত্তরাধিকারে সম্পত্তির সঠিক বণ্টনের নীতি না থাকায় এক্ষেত্রে স্বার্থটাও হিসেব করতে হয় ছেলে সন্তানের উপর নির্ভর করে। এখানে আরেকটা বিষয় বাদ পরে গেলো-সেটা হল ভালোবাসা। সন্তান ভালবাসার ফসল, বাবা মেয়ের সন্তানের প্রতি ভালবাসাও থাকে প্রবল। এটা এমন নয় যে, সন্তানের প্রয়োজনে তারা ভালবেসে জন্ম দেয়, এটা এমন-নিজেদের প্রয়োজনে সন্তান জন্ম দিয়ে তাদেরকে ভালবাসে। ভালবেসে সেই ভালবাসার প্রতিদানও তারা ধার দেওয়া টাকার মতো পদে পদে স্মরণ করিয়ে দেয়। কিন্তু স্বার্থের কাছে সেই ভালবাসাটা হার মেনে যায়। যদি স্বার্থের কাছে ভালোবাসা হার মেনে না যেতো তবে একজন সুস্থ বাচ্চার চেয়ে একজন প্রতিবন্ধী বাচ্চা অবহেলিত থাকতো না। অথবা সম্পত্তি থেকে শুরু করে নারী পুরুষের বৈষম্য মূলক হাজারো নীতি তৈরি হতো না। একটা ছেলে এবং একটা মেয়ে একই মায়ের গর্ভে জন্ম গ্রহণ করার পরও মেয়েটি পরিবারের একজন গৌণ সদস্য হিসেবে ট্রিট হতো না। একই রকম মানব সত্ত্বা হিসেবে জন্মগ্রহণ করেও, মেয়েদেরকে খড়কুটোর মত অস্তিত্বহীন ভাসমান জীবন যাপন করতে হতো না।
''আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে'' ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর রচিত অন্নদামঙ্গল কাব্যের একটি লাইন। সতেরশো সনের মাঝামাঝি থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত এই লাইনটি শিক্ষিত অশিক্ষিত সবার কাছেই সমান ভাবেই সমাদৃত, ভালোই সমাদৃত। লাইনটা শুনতে ভাল শোনায়, কাজেও ভাল দেখায়। এরকম স্বার্থপর পিতা মাতা থাকলে সন্তানদের নিজেদের ভালমন্দ কাজের বা বিচারের আর কি চিন্তা, সমস্ত ঠিক করার জন্য দুনিয়ার সবচেয়ে সেলফিশ প্রাণী বাবা মা তো আছেনই। শ্রদ্ধা, প্রেম, ভালোবাসা, স্নেহ, মায়া-মমতা, যাই বলা হোক না কেন; একটা ভাল সম্পর্কের ভিত্তি হলো স্বার্থ স্বার্থ এবং স্বার্থ।
একটু ভর্তির খবর নেওয়া যাক-
-ভাবী আমার ছেলে তো বুয়েট।
-ও আমার টা মেডিকেলে।
-শুনছি রুমানা ভাবীর মেয়ে নাকি কোথাও চান্স পায় নাই?
-পাবেই বা কীভাবে, ওই মেয়ের লেখাপড়ায় মন আছে? চরিত্রেরই তো ঠিক নাই। মাথায় শুধু ছেলে ছেলে আর ছেলে ঘুরে।
- আর ওই মেয়ে যে সুন্দরী, পোলাদের যন্ত্রনায় ওরে বেশিদিন ঘরেও রাখা যাবে না, এতো টাকা পয়সা খরচ করে পড়ায়েই বা কি লাভ? সেই তো পরের ঘরেই যেতে হবে।
আর নিশীতে ঘুমকাতুরে হিমবালকের
দূরদেশের পাখিটির কথা ঘুণাক্ষরেও মনে রবে না।
দ্বিপ্রহরের ঘুঘুর ডাকে চলতি পথে উদাস হয়ে
মেঘাচ্ছন্ন দিনের আলোর কুহক ধরা মনে খবর
ব্যাথার হাতে মেসেজ করে তাকে আর জানাতে হবে না। 
অন্ধকারের ছায়া বাড়লে ফোন কল কাটার কথা ভুলে গিয়ে
'আমার কিন্তু ঘুম পাচ্ছে না'
বলতে বলতে রেগে গিয়ে সে আর নাই হবে না।
কথার সাথে ব্যাথারা সব অঙ্গে অঙ্গে মিশে গিয়ে
একই শব্দে তাল মিলিয়ে সুর তোলার চেষ্টা করবে না।
আর রাত্রিতে পাখিটির মাথার ভেতরে ঘুণপোকারা
কুট কুটিয়ে মগজ কেটে ঘুম চিবোবে।
কামড়ে কামড়ে ক্লান্ত হয়ে ঘুম বিলিয়ে বিস্ফারিত চোখে
বর্তমানের মায়ার খেলা দেখতে দেখতে মন ভুলাবে।
বার বার প্রতিবারই রাত কে দিন ভেবে ভুল করবে
ভুলতে ভুলতে নীদ্রাহীনতার রোগে ভোগবে,
আরপর অতীতস্মৃতির ফুলের ঝুড়ি বিস্মৃত হবে।
আগ্নেয়গিরির জ্বলন্ত লাভা চাটা আগুনখেকো তৃষ্ণা নিয়ে
কয়েক আলোকবর্ষের সঞ্চিত অপেক্ষা শেষে
আমাদের জিহ্বাটা শিকারির মত লকলক করে লালায়িত হয়।
আমরা নিজেরা একেকজন রাস্তার ধারে
শুকনো ভেজা সব গু শুঁকা কুকুরের থেকেও নিকৃষ্ট কুকুর যেন! 
তৃষ্ণার চাওয়ার আর না পাওয়ার আক্ষেপের অন্ত নেই।
আজও বিশ্বজুড়ে ক্ষুধায়, দারিদ্রে, হতাশায়, দুঃখ-যন্ত্রনায় মানুষ মারা যায়। ধর্ম মোল্লা পুরোহিতকে মানুষের দ্বারে ভিক্ষার বেলাল্লা কোরমা পোলাও ছাড়া কারো মুখে দু'মুঠো ভাত কোনদিন কাউকেই দিতে পারেনি। জনসংখ্যা আর অশিক্ষা কুশিক্ষার ভারে জর্জরিত বাংলার মানুষেরা আজও এক ধর্মকে শ্রেষ্ঠ করতে অন্যকে মারিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়। কতো বড় অমানবিক দৈন্যতার শিকার মানুষ! ভাবলে বিস্ময়ের সীমা থাকে না! মানুষের মাথায় এতটুকু বোধ কাজ করে না, সব কিছু ছাড়িয়ে আমরা মানুষ। ধর্ম আল্লা ভগবান ঈশ্বর যদি থেকে থাকেন তবে তিনি অন্যকে নিন্দা করার, হত্যা করার, ধ্বংসযজ্ঞে মেতে উঠার শিক্ষাটা অন্তত দেওয়ার কথা না।
আজ যেসকল হিন্দু পরিবারকে দেখছেন দেশ ত্যাগের রাস্তা ধরেছে। এরকমভাবেই ৪৭ এর পর থেকে প্রায় ৫০ শতাংশ হিন্দু দেশ ছাড়ার এই পথ পাড়ি দিয়েছে। তাদের সবারই অন্তরের গহীনে নাসিরনগরের মত শত নগরীর ক্ষত জড়িত। ৩০০ পরিবারের আগুন বড় বলে আজ তাপটা গায়ে লেগেছে। এক দুই তিন করে কতো তিন লক্ষ, তিন কোটি পরিবার এভাবেই দেশছাড়া হয়েছে। আমরা সেগুলো কখনোই দেখেও দেখিনি, তাদের পরিবারের কান্নার বন্যায় এখনো বঙ্গের নদী প্লাবিত হয়। আমরা যারা মুসলিম পরিবারে জন্মেছি তাদের কখনো বুঝার সাধ্য নেই আপন প্রিয় প্রতিবেশির অত্যাচারে নিষ্পেষিত হয়ে ভিটেমাটি ছাড়া কতোটা অপমানের, কতোটা লজ্জার, কতোটা দুঃখের, আর কতোটাই বা যন্ত্রণার!
দোল চেয়ারে বসলেই
ঘুম চলে আসে না।
রাত্রি বাড়লে চেনা ঘুমেরা
ধর্ষক প্রেমিকের মত
চুমুর ছলে ধর্ষণ সেরে,
ভোর হওয়ার আগেই
নিজের অস্তিত্ব ও উপস্থিতিকে
আত্মবিশ্বাসের সাথে অস্বীকার করে।
ই বিষণ্ণ, ক্লান্ত, আর অবসন্ন ভিনদেশী রাত্রিতে,
বহু বছরের সঞ্চিত শীতের আভরণ খুলে, অসীমের আঁধার ভেঙ্গে
হাড়ভেদী আলো আর উত্তাপ ছড়ায়ে;
হৃদয়ের মাটিতে বসন্ত আসে।
ক্ষণিক হাসিতে, ক্ষণিক কথায় আর ক্ষণিক আশ্বাসে-
মনের আকাশে যখন তখন ঝাঁকেঝাঁকে সারস পাখি ডানা ঝাঁপটায়!
বিয়ার পানের অভ্যাসটা নতুন। আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি এই অভ্যাসটা আমার সাথে সাথে রয়ে যাবে অনেকদিন। বিভিন্ন ব্র্যান্ড ছাঁকা শেষে একটাতে থিতু হবো হয়তো। বরফ শীতল বিয়ারের গ্লাসে চুমুক দিতে দিতে বইয়ের পাতা উল্টাতে বেশ লাগে। আমার প্রাগৈতিহাসিক আধুনিক এন্ড্রয়েড ফোনের বাতিটা আর জ্বলে না অনেকদিন। এটা ঠিক করাতে যে টাকা ম্যাকানিক দাবী করেছে সেই টাকা দিয়ে আরেকটা ভাল মডেলের এন্ড্রয়েড মোবাইল কেনা যাবে। নতুন কোন ফোন কেনার তাড়া অনুভব করছি না ভেতর থেকেই। কথা বলার জন্য একটা ফোন আছে, কালে ভদ্রে রিং বেজে উঠে, আর না হলে আমিই রিং বাজাই। সপ্তাহে চারদিন কালিজিরা বেচা ছাড়া দিন রাতের বেশিরভাগ সময় ঘুমিয়ে কাটাই। যেন কয়েক শতাব্দীর ঘুম নিয়ে পুনর্জন্ম ঘটেছে আমার।
খুব অল্প সময়ের জন্য ফেবুতে এলে ছাইয়ে চাপা পরা পুরনো আগুনে হাত পোড়ানোর জ্বালার মত সমস্ত গায়ের চামড়া খসখস করে। ল্যাপটপের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকি ঘণ্টার পর ঘণ্টা, অনুভূতিরা যেন সূচের খোঁচায় প্রাণ ক্ষতবিক্ষত করে তুলে, হাঁপিয়ে উঠি। অস্থির সময়, অসহ্য অসহায় নৈতিকতা! তবুও এফ বি থেকে বের হতে ইচ্ছে করে না। নেশার করা মাতালের মত মাথা ঝিম ঝিম করতে থাকে। এরপর আমার ক্লান্তি, হতাশা আর দৈন্যতার সবচেয়ে কাছাকাছি পৌঁছানো এক প্রাণের আহ্বানে আবার ঘুমাতে যাই। মেয়ে হয়ে জন্মানোর কৃপা সরূপ পুরুষদের আহ্বান আরেক দফা সামনে এগিয়েছে। এখানে বিদেশীরা ডাকে প্রেমের জন্য নয়, এরা ডাকে জৈবিক তাড়নায় বিছানায়। বেশ কয়েকজনকে বলেছি আমার প্রেমিক বা স্বামী আছে দেশে; তবুও তারা নির্লজ্জের মত অবিশ্বাস করে। বলেই বসে- প্রেমিক থাকলে সমস্যা কি, আমরা থাকি একসাথে, তোর প্রেমিক এলে আলাদা হয়ে যাবো। কি জানি আমার চেহারা দেখে হয়তো মনে হয় আমি প্রেম ট্রেম করতে পারি না। এদেরকে কেমনে বুঝাই প্রেম ছাড়া শরীর উপভোগ করতে পারলে এতদিনে কয়েকটা বাচ্চার মা হওয়ার মত সৌভাগ্য অর্জন করতে পারতাম।
তাছাড়া অতীতের চরিত্রহীনতা বা সুচরিত্রের শীর্ষে পৌঁছানো নিঃসঙ্গ প্রেমিকেরাও ছুঁতে পারে না আমার মনের কোন কোণ। খুব দুঃসময়ের পাশে থাকা এক বন্ধুর সঙ্গ ছাড়া আমার সমস্ত অন্তরাত্মা জুড়ে আছে ঝর্ণার মত ঠাণ্ডা শীতল এক কণ্ঠস্বর, আর দ্যুতিতে ভরপুর দুটি উজ্জ্বল চকচকে চোখ, যা কিনা আমার ভেতর বাহির তোলপাড় করে ভুলিয়ে দেয় ভাল মন্দ বিচারের বোধবুদ্ধি এবং দিন তারিখ সনসহ স্বার্থ হিসেবের সময়জ্ঞান।
স্বল্প পোশাক যদি আধুনিকতা হয় তাহলে পশুরা সবচেয়ে বেশি আধুনিক।
কবিতা আবৃত্তি করলে যদি কোন ব্যক্তি সেক্যুলার হয় তাহলে শিমুল মোস্তফা সবচেয়ে বেশি সেক্যুলার।
খাবার খেয়ে বেঁচে থাকা যদি মানুষের কাজ হয় তাহলে জন্তু জানোয়ারেরা সবচেয়ে বেশি মানুষের মত বাঁচে।
সেক্স করলে যদি মানুষের বাচ্চার জন্ম হয় তাহলে কুকুর শকুরের সেক্সে সবচেয়ে বেশি মানুষের বাচ্চা জন্মে।
ধর্ষণ করলে যদি কেবল নারীর চরিত্র নষ্ট হয় তাহলে পুরুষেরা সবচেয়ে বেশি চরিত্রবান।
স্বল্প পোশাক যদি ধর্ষণের কারণ হয় তাহলে সবচেয়ে বেশি পুরুষের দ্বারা ধর্ষিত হয় পশুপাখি।
খঙ্কি মাগী বলে অসাম্প্রদায়িকতা *দাইলে যদি মানবতাবাদ হয় তাহলে সব খঙ্কি মাগী গমনকারী পুরুষেরাই মানবতাবাদী।
রাস্তায় দাঁড়িয়ে মূত্র বিসর্জন যদি সভ্যতা হয় তাহলে কুকুরেরা সবচেয়ে বেশি সভ্য।